আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রলীগ কি সরকারের ‘প্যারামিলিটারি ফোর্স’???

গত ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটি স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে পারবে না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যেখানে তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের একটা ধারা (যেখানে বলা হয়েছে “বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নির্দিষ্ট সময় পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায়ের শতভাগ তার নিজস্ব আয় ও উৎস থেকে বহন করতে হবে”) বাতিলের জন্য আন্দোলনে নেমে তারা সরকারী দলের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের বর্বর ও নিষ্ঠুর হামলার শিকার হন। ছাত্রদের অধিকার আদায়ের দাবিকে স্তব্ধ করতে ছাত্রলীগের এ হামলার ঘটনা এবারই নতুন নয়। ক্যাম্পাসে তারা প্রতিনিয়তই ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে সদা তৎপর। এইকথা বিএনপি’র ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। অর্থাৎ সরকারের যেকোন সিদ্ধান্ত ও কার্যকলাপের বিরোধীতা করলেই সরকারী দলের ছাত্রসংগঠনের পুলিশি আচরণ ও নির্যাতন এখন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এখন তাই প্রশ্ন উঠা খুবই স্বাভাবিক যে ছাত্রলীগ কি সরকারের ‘প্যারামিলিটারি ফোর্স’? বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিকথা এই প্রসঙ্গে আমি একটু অতীত ঘুরে আসতে চাই। আমাদের উপমহাদেশে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ নামের প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস খুব বেশিকাল আগের নয়। উপনিবেশের ‘কল্যাণে’ ইউরোপ থেকে শুরু হওয়া ‘এনলাইটেনমেন্ট’ এর প্রভাব ভারতীয় উপমহাদেশে পড়তে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। এরই ফল হিশাবে ইউরোপের উনবিংশ শতাব্দীর উদারনৈতিক শিক্ষার আদর্শে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আর তাই গোড়া থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ও চাপমুক্ত থেকে জ্ঞানসাধনার আইনগত ভিত্তি স্বায়ত্বশাসন।

এ স্বায়ত্বশাসন নির্দেশ করে ক্ষমতার সংকীর্ণ আবর্ত থেকে মুক্ত হয়ে মানবসভ্যতার সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের নিকট দায়বদ্ধ থেকে বিশ্ববিদায়লয়গুলো জ্ঞানচর্চার পথ তৈরি করে দিবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য মূলত এইখানেই। তাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব হল রাষ্ট্র বিশিবিদ্যালয়গুলোকে পৃষ্টপোষকতা করে যাবে ও সর্বস্তরের মানুষদের জন্য জ্ঞানার্জনের দরজা খোলা রাখার সুযোগ তৈরি করা। গ্রীক রাষ্ট্রের অভিজাততন্ত্রের বাস্তবতাকে অস্বীকার করতেই গণপ্রজাতন্ত্রের নাগরিকদের শিক্ষিত করতে প্রতিষ্ঠিত যে বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে ক্ষমতা, অর্থ ও বিত্তের দাপট প্রতিষ্ঠিত হয়ে জ্ঞানার্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সাথে অসংগতিই সৃষ্টি করবে। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট একমেরুর পুজিবাদী বিশ্বে গোলকায়নের ধোঁয়া তুলে প্রয়োজনীয় আর সবকিছুর মত পশ্চিমা বিশ্বে ইতিমধ্যেই শিক্ষাকে অত্যন্ত লাভজনক পণ্যে পরিণত করা হয়েছে।

আর তাই তাদের বাজার বিস্তৃত করার স্বার্থেই দরকার অপেক্ষাকৃ্ত অনুন্নত ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রেও শিক্ষাকে লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করা। এতে তাদের সেরা সেরা প্রতিষ্ঠানগুলো সারা বিশ্ব থেকে মুনাফা অর্জন করতে পারে। তাদের এ স্বার্থের দেখভাল করছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ইউরোপের সংকট মোকাবেলায় সৃষ্ট আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক যারা বাজার উদারীকরণ ও সংস্কারের কথা বলে প্রতিনিয়তই বিক্রয়যোগ্য পণ্যের সংখ্যা বাড়িয়ে চলছে। এ প্রক্রিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণ যারা বাজারে কার্যকর চাহিদা তৈরি করতে ব্যার্থ হচ্ছে। আর খারাপ জেনেও দেশে দেশে রাজনীতিকেরা নিজেদের স্বার্থে এবং সামষ্টিক অর্থনীতি সামাল দেওয়ার জন্য তাদের পরামর্শগুলো গ্রহণ করে থাকে।

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও সমসাময়িক পরিস্থিতি বাংলাদেশের চলমান সরকার দেশের অর্থব্যবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ২০১০ সালে শুরু হওয়া পুঁজিবাজারের সংকট, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য, জ্বালানি সংকট ও তার কারণে স্থবির উৎপাদনব্যবস্থা, বিলাসদ্রব্যের আমদানি বৃদ্ধির কারণে বাণিজ্যে প্রায় ঘাটতি ও বাজেটে বিরাট অংকের ঘাটতির কারণে সরকার ইতিমধ্যেই অর্থব্যবস্থার ভারসাম্য রক্ষায় আত্নবিশ্বাস হারিয়ে আইএমএফের ঋণের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। যার কারণে মোড়লদের পরামর্শে চলছে জ্বালানি তেলের মুল্যবৃ্দ্ধিসহ অন্যান্য সেক্টরে সংস্কার যার অন্তর্ভুক্ত উচ্চশিক্ষার ব্যয়সংকোচন। বিএনপি সরকারের আমলে জারি হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদালয় অধ্যাদেশ থেকে শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও পরবর্তীতে এই পদক্ষেপ যে ক্রমেই উচ্চশিক্ষাকে বেসরকারী খাতের আধিপত্যে ছেড়ে দেওয়া হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যুক্তি থাকতে পারে যে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বেজুড়ে র্যাং কিং এ শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল বেসরকারী।

কিন্তু আমাদের এও দেখতে হবে যে আমেরিকার ক্ষেত্রে প্রতিটি স্টেটে রাষ্ট্রের স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। গবেষণা খাতে তাদের ব্যয় বিশ্বের মাঝে সর্বোচ্চ। তাছাড়া তাদের রয়েছে সহজ শিক্ষাঋণের ব্যবস্থা ও সমৃদ্ধ ব্যক্তিখাত যা তাকে পড়াশোনা শেষ করেই কাজের নিশ্চয়তা দিতে পারে। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই টিউশন ফি নেই। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে শিক্ষাকে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান গুরুত্বের বিষয় বিবেচনা করা হয়।

সম্প্রতি মন্দার প্রভাবে সুইডেনসহ কিছু দেশে শিক্ষার ব্যয় অবশ্য বৃ্দ্ধি পেলেও তা যৎসামান্য। আমাদের অবস্থাটা কিন্তু মোটেই তাদের মত নয়। এখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে আধাপেটা-একপেটা খেয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর দল যাদের বেশিরভাগই শহরে থাকার সংস্থানটাও করতে পারে না। তাদের জীবনের সব চাওয়া-পাওয়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ঘিরেই। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংবিধানে সংযোজিত জাতিসংঘের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষনাপত্রে ১৯৪৮ এর ২৬ নং ধারায় বলা হয়েছে যে “প্রত্যেকেরই শিক্ষালাভের অধিকার রয়েছে, রাষ্ট্র যথাসম্ভব শিক্ষাকে নাগরিকের নিকট সুলভ করিতে সচেষ্ট থাকিবে এবং কোন ধরণের শিক্ষা দেওয়া হবে তা বেছে নেওয়ার পুর্বাধিকার পিতামাতার থাকিবে।

” সংবিধানের এ স্বীকৃ্তি অনুযায়ী প্রত্যেকেরই যোগ্যতা সাপেক্ষে উচ্চশিক্ষা লাভের অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্রের উচিত নাগরিকের জন্য এটা সহজলভ্য করা। তাই আমাদের মত উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগকে সংকোচনের বিরুদ্ধে রুখে দড়ানো শিক্ষার্থী তথা সচেতন মহল মাত্রেরই অবশ্যকর্তব্যের আওতায় পড়ে। তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের শ্রেণীচরিত্র শাসকশ্রেণীর অনুকুলে নয়। শাসকশ্রেণী তাই তাদের প্রতিরোধে কঠোর হস্তে নেমে পড়াটাই শ্রেয় মনে করতে পারে।

ছাত্ররাজনীতি ও সরকারের প্যারামিলিটারি ফোর্স ছাত্ররাজনীতির ধারণাটা যদি মেনেই নেই তাহলে তার সংজ্ঞা দাঁড়ায়—“ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য যে রাজনীতি তাই ছাত্ররাজনীতি। ” এদিক থেকে ছাত্র সংগঠনের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্বই হল ছাত্রদের অধিকারগুলো সংরক্ষণে কাজ করে যাওয়া। কেউ যদি তাহলে একই সঙ্গে ছাত্র এবং রাজনীতিক কিন্তু তিনি ছাত্রদের অধিকার আদায়ে কাজ করছেন না তাকে তাহলে এই রাজনীতিকে কি ছাত্ররাজনীতি বলা যায়? একজন শ্রমিক রাজনীতি করলে যেমন তা শ্রমিক রাজনীতি হয়ে যায় না, একজন কৃ্ষক রাজনীতি করলে তা যেমন কৃ্ষিরাজনীতি হয়ে যায় না, একজন প্রলেতারিয়েত রাজনীতি করলেই যেমন তা শ্রেণীসংগ্রামের রাজনীতি হয়ে যায় না তদ্রুপ একজন ছাত্রাবস্থায় রাজনীতি করলেই তা ছাত্ররাজনীতি হয়ে যায় না। অপরদিকে ছাত্রত্বের পর্যায় অতিক্রম করেও কেউ যদি ছাত্রদের অধিকার নিয়া ভাবেন, কথা বলেন তবে তিনি ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত আছেন বলে মেনে নেওয়া যায়। মহামতি লেনিন এভাবেই শেণীচরিত্র বিশ্লেষণের পথ বাতলে দিয়েছেন।

যাই হোক, বলতে চাচ্ছিলাম যে ছাত্ররা রাজনীতি করলেই তা ছাত্ররাজনীতি হয়ে যায় না। ছাত্ররাজনীতি হতে হলে সে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হবে ছাত্রদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি। এ প্রসঙ্গে একটা কথা বলে রাখি যে আমাদের জাতীয় রাজনীতি ও আদতে রাজনীতির পর্যায়ে নাই। এখানে জায়গা করে নিয়েছে ব্যক্তিপুজা ও দলনীতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাষ্ট্রের বাইরের কেউ নয়।

এর প্রভাব তাদের মাঝে সক্রমিত হওয়া তাই খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যাদের জীবনই শুরু হয়নি তারাই তো স্বপ্নের একচ্ছত্র প্রভু। তাদের নিয়া আশাবাদী হতে সমস্যা কোথায়? দুঃখিত, আমি বেশি দূরে চলে যাচ্ছি। আসলে রাজনীতি বিষয়টি বহুমাত্রিক হওয়ায় একে নিয়ে বাঁধাধরা শব্দের মধ্যে আলোচনা শেষ করা খুবই কঠিন ও একপেশে হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাবে। তথাপি আমি মূল বিষয়টি উত্থাপন করেই আমার নিবন্ধের শেষ টানছি।

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যা কোন একক সমস্যা নয়। এটি দেশের নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের সমস্যা। উচ্চবিত্তরা যে এ সমস্যার বাইরে তাও কিন্তু নয়। এই সমস্যাটি জাতীয় ঐকমতের সমস্যা, এটি জাতিরাষ্ট্রের সোজা হয়ে দাঁড়াবার সমস্যা। এর প্রতিবাদ আসা উচিত সমাজের সকল স্তর থেকে।

আজকের ছাত্রলীগ যেভাবে ন্যয্য আন্দোলনকে দমনে রাস্তায় নেমে আসছে , তাদের সন্তানরাই একদিন হয়তো বৈষম্যের কষাঘাতে অন্যভাবে রাস্তায় নামবে। ছাত্রলীগের বুঝতে হবে এটা তাদের সরকারের সমস্যা না। এটা সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির ইশতিহার মাত্র। এতে রাষ্ট্রের সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অবশ্য এর গুরুত্ব বুঝতে না পারাটা ছাত্রলীগের সমস্যা না।

ছাত্রলীগের এ পচন একটি কৃ্ত্তিম সমস্যা যার জন্ম বিশ্ববিদালয়ের মাটিতে নয়। বীজটি উড়ে এসেছে ক্ষমতালোভী ব্যক্তিস্বার্থের রাজনীতির সংস্কৃতি থেকে যা এখন হাইব্রিডের মত বাড়ছে। ছাত্রসংগঠনের সরকারের প্যারামিলিটারি ফোর্স হিশেবে কাজ করা তাই রাষ্ট্রের জন্য এক অশুভ পরিণতি বয়ে আনবে। অসুখের তীব্রতা ও দাওয়াই ক্ষমতাসীন ছাত্রসংঠনগুলো যখন সরকারের নীতিসিদ্ধান্ত রাস্তায় নেমে বাস্তবায়নে লিপ্ত থাকে তখন একে তুলনা করা যায় সরকারের বিশেষ বিশেষ সরকারের রক্ষীবাহিনীর সাথে। গণতন্ত্র ও রক্ষীবাহিনীর সহাবস্থান থাকতে পারে না।

গণতন্ত্রের নামে বাংলাদেশের সরকারগুলোর স্বৈরাচারে ছাত্রদের সহযোগী করার শুরুটা আজকেই নয়। ১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর শাপলা চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মহাসমাবেশে তৎকালীন খালেদা জিয়া ঘোষণা করেছিলেন যে “বিএনপি লাগবে না, তাদের(বিরোধীদের) কর্মকান্ড বিকল ও অচল করতে আমাদের ছাত্রদলের বন্ধুরাই যথেষ্ট। ”সুত্র-দৈনিক ইত্তেফাক। অর্হতাত আজকে এ অবস্থার প্রাতিষ্ঠানীকরণ অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। তাই এ ক্ষত সারতে কিছু সময় লাগবেই।

আলোর পথে যাত্রা স্বাধীনতার পর দেশে অনেক কিছুর মত ছাত্ররাজনীতিরও পরিবর্তন হয়েছে এবং পরিবর্তনই কাম্য। স্থিতাবস্থার পক্ষে কোন যুক্তি নাই। আমরা চাইলেও পারব না এক জায়গায় অনড় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। ক্ষুদ্র থেকে বৃহতের দিকে , সরল থেকে জটিলতার দিকে, অপুর্ণতা থেকে পুর্ণতার দিকে, দুর্বলতা থেকে সবলতার দিকে কখনও বা প্রতিক্ষেত্রেই এর বিপরীত স্রোতে, আমরা প্রতিনিয়তই বদলে যাচ্ছি। হয় এগিয়ে যাচ্ছি-নয় পিছিয়ে যাচ্ছি।

পরিবর্তন জীবনের ধর্ম। যে পরিবর্তন অন্যের ইচ্ছায় হয়, যে পরিবর্তনে আমাদের ভূমিকা নাই, তা প্রায়শই নেতিবাচক হয়। যে পরবর্তন আমাদের সচেতন ইচ্ছার ফল, তারই ইতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই আমাদের ঠিক করতে হবে আর কতকাল আমরা অন্যের দ্বারা পরিবর্তিত হব। আলোর পথযাত্রায় আমাদের সচেতন ইচ্ছাটা কবে সমন্বিত হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.