একটা গাড়ী খুজছি , ব্যাক টু দ্য ফিউচারে যাওয়ার গাড়ীটা খুজছি / তথ্যের অংক , যুক্তির জ্যামিতি
পৃথিবীতে কিছু সত্যি আছে যেগুলো অনুচ্চারিত থাকে।
তার একটা হল - পৃথিবীতে অন্যতম জনপ্রিয় বিষয় কি ?
যৌনকলা এবং পর্ণ গ্রাফী।
মানতে চান বা না চান - এটাই সত্য।
যারা এগুলো নিয়ে চেচামেচি করতেসে তারা কোন মহাপুরুষ কিংবা মহামানবী না।
এরকম বহু মহাপুরুষ আছে যারা খাবার টেবিলে খুটে খাওয়া মোরগ আর বিছানায় হালুম বলে ঝাপিয়ে পড়া বাঘ।
মেয়েরাও এগুলা জানে।
হুমায়ুন আহমেদের একটা মুভি - সম্ভবত 'দারুচিনি দ্বীপ' - সেখানে নায়িকাকে তার চাচী নায়িকার বিয়ের পাত্র প্রসঙ্গে শুচিবায়ু দেখানোয় খোঁচা মেরে বলেছিলেন -
'তোমার বাপ- চাচারাও কোন রসগোল্লা না , তোমার জামাইও কোন রসগোল্লা হবেনা। '
ইংগিতটা কোনদিকে সেটা সহজেই বোধগম্য।
মেডিকেল সায়েন্সেও নাকি এটা আছে - মেয়েদের বডি ফ্লুইড / হরমোন নাকি অ্যাসিডিক , আর ছেলেদের বেলায় এটা নাকি বেসিক।
এই যে রোমান্সের কেমিস্ট্রি নিয়া কত হাহা হিহি - গুজুর গুজুর - ফুজুর ফুজুর দিনরাত চলতেসে অফলাইনে- অনলাইনে , নাটকে - সিনেমায় - সেটা শুধু মেন্টাল কেমিস্ট্রি না, শারীরিক কেমিস্ট্রিও।
ইংলিশ ফুটবল টিমের এক্স কোচ সুইডিশ সভেন গোরান এরিকসন এক বাঙালি লন্ডনি মেয়ে ফারিয়া আলমের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলো।
ফারিয়া ইংলিশ ফুটবল ফেডারেশনে চাকুরিরত ছিলো।
সেই ঘটনাটা নিয়ে ব্যাপক ফলো আপ হয়েছিলো।
পরিস্কার মনে আছে - সেই ফারিয়া আলম বুড়া এরিকসনের সাথে তার যৌন সম্পর্কের বর্ণনা দিতে গিয়ে এক ক্লোজ বান্ধবীকে বলেছিলো - হি ইজ স্টিল সুগার !
আমাদের দেশের ফ্রড গতিশীলরা ফারিয়া'র এই মন্তব্যকে কিভাবে দেখবেন ?
তার যৌন জীবনের অধিকার , তার ব্যক্তিগত যৌনানুভুতি , তার হেন তেন।
কোন মানবপ্রাচীর হবে না ?
হবে না কোন সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া ?
শফী হুজুর পুরুষরা মেয়েদেরকে দেখে কিভাবে কামাতুর হয় প্রতিদিনের জীবনে সেটা নিয়ে কথা বলতে গিয়েই তেতুলের প্রসংগটা এনেছেন।
যদিও আমি এ ধরনের শব্দচয়নের সাথে একমত নই।
কিন্তু বাস্তবে যে এমনটাই ঘটে নারীর প্রতি পুরুষের যৌন কামনায় সেটা কিন্তু মিথ্যা না।
মনে করিয়ে দেই - 'পদ্মা নদীর মাঝি' চলচ্চিত্রে কুবের প্রচন্ড ঝগড়ার এক পর্যায়ে তার স্ত্রীকে বলে -
'পোলা বিয়ানির লাইগা জন্মাইছোস, পোলা বিয়াবি , কোন কতা নাই'।
নটরডেমে বাংলার জনপ্রিয় ম্যাডাম মার্লিন ক্লারা পিনেরো পড়ে পড়ে শোনাতেন বই থেকে।
এই ডায়ালগটা বলার সময় ম্যাডামের মুখ কালো হয়ে গিয়েছিলো , বিটলা পোলাপানের তো - সেই কি হাহা হিহি !
আজ থেকে ১ যুগেরো বেশী সময় আগের ঘটনা , এখনো মেমোরিতে ফ্রেশ।
মানিক বন্দোপ্যাধ্যায় কি এই সংলাপটা তার উপন্যাসে লিখে নারীর অবমাননা করসেন নারীকে পোলা বিয়ানোর মেশিন বানিয়ে ?
বাকি বাস্তব জীবনটাকে তুলে আনসেন ?
ঠিক যেভাবে পদ্মা পাড়ের জেলেজীবনে জেলেনীরা শুনে থাকে তাদের স্বামীর কাছ থেকে ?
শফী হুজুর যেটা বলসেন তেঁতুল নিয়ে , এরচেয়ে রসালো মন্তব্য বাংলাদেশের পুরুষরা (রিফাইন্ড ভদ্রলোক , আর চাষাখাসা চার্লিশ লোকজন যাই বলেন) করে থাকেন নিজেদের ভেতরে আড্ডায় সেক্সুয়াল টিকা টিপ্পনিতে।
শুধু বাংলাদেশের পুরুষরা না , সারা পৃথিবীর পুরুষদেরই একি অবস্থা।
কুলাংগারপনায় ভর্তি আওয়ামী লীগ।
ইডেনের হলে লীগ নেত্রীর দয়ায় সিট পাবে , অথচ তাপসকে শয্যাসুখ দেবেনা - এমনটা হয় না বলতে গেলেই।
ময়মনসিংহ আনন্দমোহনের ঘটনাটা মনে আছে ?
আওয়ামীলীগের পাছা ঢাকার জন্য দালাল পত্রিকায় লিখেছে শ্লীলতাহানি।
কিন্তু আসলে কি ঘটেছিলো ?
অনুষ্ঠানের মাঝখানে লাইট নিভিয়ে প্যান্ডেল ভেঙ্গে অন্ধকারে মহিলাদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিলো সোনার ছেলেরা।
ধর্ষণ ইন্সটিংক্টে জোর করে চুমু খাওয়া , শরীর হাতড়ানো , ব্রেস্ট ফন্ডলিং এর ঘটনা ঘটেছে।
অনেক মহিলা লজ্জায় চেপে গেসেন সেদিনের ঘটনাটা।
জাবির মানিকের ১০০ রেপ তো কোন আগের আমলের ঘটনা।
মাত্র কয়েকদিন আগে ক্লাস ফোরের মেয়ে রেপড হয়েছে যুবলীগ নেতার হাতে।
ঐ মেয়ে সুইসাইড করেছে।
বলে শেষ করা যাবেনা এসব কুলাঙ্গার লীগের নারীদেহের প্রতি হায়েনা আক্রমণের ঘটনা।
শেখ হায়েনার অনুসারী বলে কথা।
এত এত ঘটনা - যে মনে রাখাই দায়।
কোন সুশীল কবে কোথায় সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ?
গায়িকা মমতাজ সংরক্ষিত নারী কোটায় এমপি হয়েছে শেখ হাসিনার চয়েসে।
কোন মমতাজ ?
যৌবন আমার লাল টমেটু খ্যাত মমতাজ।
সেই লাল টমেটু ফ্যান শেখ হাসিনার মুখে তেঁতুল নিয়ে বিষেদ্গার !
হরি রাম , রাম হরি !
সৈয়দ শামসুল হক - হুমায়ুন আজাদ নারীদেহকে নিয়ে কি কি যৌন মন্তব্য করেছে বিভিন্ন লেখালেখিতে সেটা কে না জানে ?
পাক সার বাদ পড়ে দেখসেন ?
রসময় গুপ্ত ফেল।
নারী অবমাননার , নারীদেহকে অবমাননার প্রতিবাদে কে কবে কোথায় মানব বন্ধন করেছে হুমায়ুন আজাদের বিপক্ষে ?
কেঁচোর গর্ত খুড়লে তো এ রকম অনেক সাপ বেড়ুবে।
ভারতে রীতিমত কামসুত্র নিয়ে মুভি হয় , রেখা সেখানে তার ছাত্রীকে শেখায় - আর্ট অফ লাভ।
পুরুষকে কিভাবে তৃপ্ত করতে হবে সেই আর্ট।
সেখানে নারী অবমাননা হয় ?
নাকি হয়না ?
ব্যাপক বিনোদনের সাথে শিল্প দর্শন হয় ?
ভারতের কামাক্ষায় যে মন্দির আছে যেটার গায়ে সব যৌনকলা স্ক্লাপচার সেগুলো বানিয়ে কি প্রাচিন ভারতের নারীলোলুপ রাজারা নারীকে উলংগ করেছে ?
নাকি শিল্প চর্চা করেছে ?
নারী অবমাননামুলক বলে সেগুলো কি ভেঙ্গে ফেলা উচিত , না কি প্রাচীন শিল্পকলার নিদর্শন হিসাবে রেখে দেয়া উচিত ?
ভদ্দরজনেরা , কি বলেন ?
মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর বিখ্যাত অধিকাংশ ভাস্কর্য-ই উলংগ নারী।
সেটা কি শিল্প ?
নাকি নারী অবমাননা ?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি জিজ্ঞেস করবেন না মাইকেল অ্যাঞ্জেলো - হুমায়ুন আজাদদেরকে যে -
'উনাদের কি মা বোন নেই , উনারা এমন কথা বলেন কিভাবে , এমন উলংগ নারীর ভাস্কর্য বানান কিভাবে ?'
আপনি জানেন কি ? - আমাদের দেশের বিয়ে এবং স্ত্রীর ভরনপোষনের দায় সংক্রান্ত ফৌজদারি আইনের একধারায় পরিস্কার বাংলায় লেখা আছে - 'নারী দেহ সম্ভোগ' শব্দগুচ্ছ...
মামলার রায়েও এই শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হয়।
নারীর দেহকে যে সম্ভোগ করা হয় - এই সহজাত সত্যটা আইনেই স্বীকার করা হয়েছে , লীগাল কোডে ইনসার্ট করা হয়েছে , এবং সেটার জন্য সম্ভোগকারি পুরুষকে কি কি আইনগত দায় / লায়াবলিটি নিতে হবে সেটাও ডিফাইন্ড।
তাহলে আপনি কোন সে মহাপুরুষ - মহাশয় ?
কানা না হয়ে দুই চোখে সমানভাবে দেখে বিচার করেন...
কারন যারে আপনি দেখতে পারেন না তার সব কিছুই বাকা মনে হবে, যারে আপনি দেখতে পারেন তার সব সিধা !
মন্তব্য করবেন তো একটা স্ট্যান্ডার্ডে মন্তব্য করবেন...
তবে আমি বেশ বিরক্ত একটা ব্যাপার নিয়ে।
বড় আলেমদের কথাবার্তা ,লজিক মানুষকে গরমের ভেতরে ঠান্ডা ফীল করায়।
উত্তেজিত করেনা।
ইমাম আবু হানিফার একটা ঘটনা পড়েছিলাম আমার মরহুম তাব্লীগার নানাভাইয়ের এক বইয়ে।
জামাতের সাথে নামাজ পড়লে ইমাম সুরা পড়বেন , বাকিরা শুনবেন - এটা কিন্তু ইমাম আবু হানিফার ফতোয়া ছিলো।
তো এই ফতোয়া দেয়ার পর সে সময় একদল বিক্ষুব্ধ গোত্র আসলো দলবল বেঁধে তার কাছে কৈফিয়ত চেয়ে যে তার এতবড় সাহস হয় কিভাবে এই ফতোয়া দেয়ার।
ইমাম আবু হানিফা এত লোকের চিল্লাচিল্লি দেখে তাদেরকে বললেন - আপনারা সবাই আমার সাথে এইভাবে এক সাথে চিল্লাচিল্লি না করে আপনাদের ভেতরে একজনকে নেতা নির্বাচন করুন , উনি-ই আপনাদের পক্ষ থেকে আমার সাথে এ বিষয় নিয়ে কথা বলবেন , আমি তখন বুঝিয়ে বলবো - কেন আমি এই ফতোয়া দিলাম।
ঐ চিল্লাফাল্লা গোত্রের লোকরা তখন বলল -ঠিক আছে , অমুক আমাদের গোত্রের নেতা , উনি আমাদের পক্ষ থেকে আপনার সাথে কথা বলবেন।
ইমাম আবু হানিফা তখন বললেন - তাহলে তো আপনারা আমার ফতোয়া মেনেই নিলেন !
মামলা ডিসমিস।
ইমাম আবু হানিফা এ কারনেই ইমাম আবু হানিফা।
মুরব্বি আলেম হিসাবে মেয়েদেরকে ভালো কিছু বলবেন তো সেটা ভালো শব্দচয়নেই বলতে পারেন।
মেয়েরা বোকা না।
তারা জানে কোন নারীবাদি মহাপুরুষ তাদের কত শুভাকাংখি।
কোন নলেজেবল আলেম যদি সত্যিই ভালো লজিক দিয়ে বোঝাতে পারেন - তারা আপনাদেরকে ফলো করবে।
ঐসব ফ্রড গতিশীল নারী দরদীরা কেন এত নারীর প্রতি দরদ দেখায় সেটা মেয়েরাও জানে।
কিন্তু এসব তেঁতুল , লালা ঝরে, ছিলা কলা, খোসা ছাড়া আম, মাছি ঊড়ে - এগুলো কি ?
ইমাম আবু হানিফা যদি এফ আর সি এস ডাক্তার হন , তো বাংলাদেশী আলেমরা যারা এই সব তেঁতুল, খোসা ছাড়া আম, ছিলা কলা, মাছি উড়ার একজাম্পল দিয়ে থাকেন তারা হলেন হাতুড়ে ডাক্তার।
আল্লাহর ওয়াস্তে উলটা পালটা ডাক্তারি বন্ধ করেন।
রোগীর মরার দশা হবে তাতে।
আর খাবার টেবিলে খুটখুট মুরগী - বিছানায় হালুম হালুম হায়েনা নারীবাদিরা -
সাধু সাবধান ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।