তাহারা বঙ্গদেশে ধর্ম প্রচারে আগ্রহি হইয়াছিলো অতঃপর চিন্তা করিলো ধর্ম প্রচারে দেশের কলকাঠি নিজ হস্তে লওয়াটা বিশেষ জরুরি। কাজেই হাতে নিয়ে প্রান, বুকে নিয়ে মউদুদী দর্শন ইহারা ক্ষমতা দখলে ঝাপাইয়া পড়িল। তখনি বুঝিল বঙ্গদেশে গরীব রিক্সাওয়ালার পেটে ভাত বিনা ধর্ম ঢুকিবে না, নচেত ধর্ম প্রচারে এরা নিজ গুনে দাড়ায়া যাইতে পারিতো। কাজেই তাহারা এমন কাউকে খুঁজিল যাহারা অর্থনীতি-কলকব্জা সামলাইবে, আর সেই অবকাশে ইহারা ক্ষমতা ও ধর্ম একসাথে লালন করিবে। কেহ খেয়ালে পড়িয়া লুফিয়া লইলো তাহদের এমন পরিকল্পনা।
এই কর্ম সাধনের আগে এরা অবশ্য কিছু কাজ সারিয়া লইয়াছে। গরীব চাষার ছেলেকে ধর্ম পড়াইয়া বুঝাইলো পবিত্রকরন,দানশীলতা, বিরত থাকা এসকলের চাইতে বেশী দরকারি ধর্মের জন্য যুদ্ধ করা। ইহা পরকালে ফুলের বাগান আর পরী পাইতে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী পন্থা। কাজেই চাষার ছেলে মন লাগাইলো ধর্মের জন্য যুদ্ধ করি, অন্য কিছু করার আর ফুসরত পাইলো না। সে মক্কা যাইবার সংকল্প করিলে ধর্মের জন্য যুদ্ধ করিতে সময় পাইবে কখন?
ধর্ম প্রচারে আসিয়া ইহারা আরো বুঝিল গাত্র হইতে পূর্বের ময়লা ঝাড়িয়া লওয়া দরকার কাজেই ইহাদিগের শিষ্যদের মাঝে জ্ঞ্যান বিতরন করা হইলো।
জ্ঞ্যান পাইয়া শিষ্যগন দিকে দিকে বলিতে লাগিলো-
“আমার পূর্ব পুরুষের কালিমার ভার আমি কেনো লইবো আমিতো কিছু করি নাই” কথা খুবি সইত্য মানিতে হইবে।
তবে এমনি বুলি বার বার মুখ থুবড়ায়া পড়ে যখন তাহারা পূর্ব পুরুষের কালিমা ঢাকিতে বার বার আগিয়ে আসে। ধর্মপ্রচারকারীরা কিছুতেই তাহাদের ধর্ম গুরুকে ছাড়িবে না সে যত কালিমাই মাখিয়া থাক না কেনো। গুরুবিনে আকুল প্রান। গুরুগণকে বাচাইতে শিষ্যগন তখন ঝাপায়া পড়ে কিন্তু তখনো ইহা দিগের মগজ হইতে মুছিয়া যায় নাই একটি বুলি-
“আমার পূর্ব পুরুষের কালিমার ভার আমি কেনো লইবো আমিতো কিছু করি নাই”
কিছু শিষ্য বুদ্ধিমান ছিল, তাহারা তাহাদের গুরুর অপরাধ মানিয়া লইয়াছে ফলে বিশেষ উচ্চবাচ্চ করিলোনা বরং এই শুভ কাজে সমর্থন জানাইতে লাগিলো।
কিন্তু তাই বলিয়া ধর্মপ্রচারে লিপ্ত গোটা দলকে তো আর ছাড়া যায় না। কিন্তু দল তো আর বসিয়া নাই- তাহারা বঙ্গদেশে ধর্মের বুলি ছড়াইয়া গুরুচরন পাইতে মগ্ন।
এখানে বঙ্গদেশ কোন বিষয় না, বঙ্গদেশের সম্মান কোন বিষয় না। বিষয় হইলো ধর্ম।
বুদ্ধিমান শিষ্যরা কিন্তু চুপচাপ তাহরা উপায় খুজিয়া পাইয়াছে।
তাহারা চিন্তা করিয়া রাখিয়াছে ধর্মগুরুর শাস্তি না হইলেতো কোন কথা নাই কিন্তু হইয়া গেলে বলিতে পারিবো-“এখনতো আমরা নিষ্পাপ, আমার পূর্ব পুরুষের কালিমার ভার আমি কেনো লইবো, আমিতো কিছু করি নাই। ধর্মপ্রচারকারীদের তোমরা ধর্মপ্রচারে সাহায্য কর, নচেত পরিনাম শুভ নয়”
** এইসকল কর্মকান্ড ঠেকাইতে-ময়লামাখা ধর্মগুরুদের সাজা দিতে সদা বলিয়ান রইয়াছে এক ধর্মনিরপেক্ষ বাহিনী। তাহারা ধর্মগুরুদের (ময়লামাখা) সাজা নিশ্চিত করিতে পুরো বঙ্গদেশকে গাধার পিঠে চড়াইয়া মুলো দেখাইয়া বেড়াইয়াছে। কিন্তু কাউকে বুঝিতে দিতে চাহিতেছে না যে সাজা দেওয়ার কোন ইচ্ছা তাহাদের নাই, তাহলে বঙ্গদেশে তাহাদের আর কি কাজ পড়িয়া থাকে? এমনি করিয়া রাজনীতি, অরাজনীতি, চেতনা ব্যাবসা, ধর্ম ব্যাবসা চলিতে লাগিলো বঙ্গদেশে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।