আমাদের এক বন্ধু ছিল, সে খুব সুন্দর চিঠি লিখতে পারতো। তার চিঠির ভাষা খুব কঠিন ছিল। বাংলা সাহিত্যের কবিরা যেরকম দাঁতভাঙ্গা ভাষা ব্যবহার করতেন সে রকম। আমরা জিজ্ঞেস করলে বলতো, প্রেমের চিঠি লিখতে লিখতে এরকম হয়েছে।
আমি কখনো প্রেম করতে না পারলেও আমার সেই বন্ধুর এ ব্যাপারে যথেষ্ট যোগ্যাতা ছিল এবং সে একের পর এক প্রেম করে যাচ্ছিলো জীবনে স্থির না হওয়া পর্যন্ত।
তো শুরু হোক তার প্রেম কাহিনীর বর্ণনা।
তার প্রথম প্রেম শুরু ক্লাস ফাইভ-এ পড়ার সময়। সে সময়ের প্রেম মানে খেলার ছলে একটু ছোয়াছুয়ি এই আর কি। তার প্রথম প্রেম বেশিদিন স্থায়ী হয় নি। এরপর সে যখন ক্লাস এইটে, তখন সেভেনের এক ছাত্রীর (মাথিন নাম) প্রেমে পড়ে।
যদিও সে প্রেম ছিল একতরফা, তাই এটাও ভেঙ্গে যেতে বেশিদিন সময় লাগেনি।
মাঝে বেশ কিছুদিন বিরতি দিয়ে সে আবার প্রেমের খেলায় মেতে ওঠে। সে যখন ইন্টার ১ম বর্ষে তখন সে ক্লাস টেনে পড়ুয়া খালাতো বোনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যেহেতু প্রেমটা ছিল টিনএজ প্রেম, তাই এটি বেশ অনেক দিন টিকে ছিল। তাদের দু'জনের বাড়ি দুই জেলায় হলেও কঠিন ছিল তাদের প্রেম।
এমনও দিন গেছে, মেয়েটার সাথে দেখা করার জন্য সে বাড়ি থেকে এসে মেয়ের স্কুলের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতো।
দুই পরিবার তাদের সম্পর্ক জেনে যাওয়ার পর তাদের পক্ষে দেখা করা খুবই কষ্টকর হয়ে উঠে। মেয়েটিকে একপ্রকার ঘরের মধ্যে বন্দী হয়েই সময় কাটাতে হচ্ছিলো। আর ওদিকে ছেলের উপরও বিভিন্ন দিক থেকে চাপ আসছিলো মেয়েটির সাথে সম্পর্ক না রাখার জন্য। তাদের প্রেম সকল বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছিলো, কিন্তু মেয়ের গার্জিয়ান জোর করে তাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয়।
ফলে আমার সে বন্ধুটি কিছুটা আপসেট হয়ে পড়ে। তখন সে ঢাবি-তে অনার্স ১ম বর্ষে পড়ে। হাত কেটে নিজের রক্ত দিয়ে সে তার প্রেমিকার নাম লিখতো হাতে। এ কারণে তার ১ম বর্ষের রেজাল্টও খুব খারাপ হয়। যাহোক, সবার ঐকান্তিক চেষ্টায় সে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।