আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রেসক্লাব যশোরের সম্পদ ও সাংবাদিকদের ঐক্য রক্ষায় নেতৃবৃন্দের আহবান

আমি বাংলার গান গাই আমি বাংলায় গান গাই আমি আমার আমাকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা ও সম্পাদক আহসান কবীর সংবাদপত্রে প্রকাশার্থে এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রেসক্লাব ভবনে সাংবাদিক ইউনিয়নের অফিসকক্ষ বরাদ্দের নামে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তাদের এই তৎপরতা যশোরের সাংবাদিকসমাজের ঐতিহ্যবাহী ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরির অপপ্রয়াসের নামান্তর। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, প্রেসক্লাব ভবনে সাংবাদিক ইউনিয়নের কক্ষ বরাদ্দের দাবির বিষয়টি সুরাহার জন্য প্রেসক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটির গত ১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে প্রেসক্লাবের একটি কক্ষ সাংবাদিক ইউনিয়নকে ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

কক্ষটি ব্যবহারের জন্য নীতিমালা প্রস্তুতের জন্য প্রেসক্লাবের সাবেক সকল সভাপতি ও সম্পাদকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন এবং কক্ষ হস্তান্তরের আগে তা ব্যবহারোপযোগী করার সিদ্ধান্ত হয় সভায়। প্রেসকক্লাব নির্বাহী কমিটির ওই সভায় সাংবাদিকদের দুই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। তাদের ওপর দায়িত্ব দেয়া হয় যে, তারা স্ব-স্ব ইউনিয়নের সদস্যদের বিষয়টি জানাবেন। ব্যাপক আলোচনা শেষে সাংবাদিক ইউনিয়নের উল্লিখিত দু'নেতাই (তাদের একজন প্রেসক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক, আরেকজন কার্যনির্বাহী সদস্য) প্রেসক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ফলে এ কথা বলা যায় যে, সিদ্ধান্তটি ছিল সর্বসম্মত।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, পরে আমরা গভীর হতাশার সাথে দেখলাম, সাংবাদিকদের একটি ইউনিয়ন প্রেসক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তের বিপরীত অবস্থান নিয়ে নানা ধরনের কর্মসূচি শুরু করেছে। গণতান্ত্রিক সমাজে একটি সংগঠন তার ইচ্ছানুযায়ী কর্মসূচি পালন করবেÑএতে কারও কিছু বলার নেই। কিন্তু গায়ের জোরে ভিন্ন একটি সংগঠনের সম্পত্তি দখল করতে চাওয়া অন্যায়। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার বোঝা দরকার যে, প্রেসক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটি প্রেসক্লাবের কক্ষ অন্য কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনকে বরাদ্দ দেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে না। কার্যনির্বাহী কমিটি শুধুমাত্র কাউকে কক্ষ ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে।

প্রেসক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটি সে সিদ্ধান্তই নিয়েছে। প্রেসক্লাবের সিদ্ধান্তের ভুল ব্যাখ্যা করে সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবের মুখোমুখি করার চেষ্টা শুধু সংঘাতই ডেকে আনবে। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি প্রেসক্লাবের সম্পদ রক্ষায় বদ্ধপরিকর। সদস্যরা বর্তমান কমিটিকে সে ম্যান্ডেটই দিয়েছেন। আমরা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যকে এ অবস্থানে দৃঢ় থাকার আহ্বান জানাই।

সংবাদপত্রে এই বিবৃতি প্রকাশের পর এ নিয়ে আর কোনও অস্পষ্টতা থাকবে না বলে নেতৃদ্বয় আশা করেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.