আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইমামদের খুতবা মনিটরিং করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণার অংশ হিসেবে এখন থেকে মসজিদের ইমামদের জুম্মার নামাজের খুতবা মনিটরিং করবে সরকার। প্রথমে পর্যায়ে রাজধানীর মসজিদগুলোর খুতবা মনিটরিং করা হলেও ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন এলাকার মসজিদের খুতবাও এর আওতায় আসবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশ, র‌্যাব ছাড়াও মাঠপর্যায়ের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, আনসার ভিডিপি সদস্য সবাইকে নিয়োজিত করে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যদেরকে নিজ এলাকার জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ সম্পর্কিত কার্যক্রম সমন্বয় করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটির সর্বশেষ সভা গত ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নেয়া অনুযায়ী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে ঢাকা শহরের মসজিদে শুক্রবারে জুম্মার নামাজের সময় ইমামদের দেয়া খুতবা মনিটরিং করা হবে। মনিটরিংয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তা প্রতি শুক্রবারে ১০টি মসজিদে গিয়ে খুতবা মনিটরিং করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনেই প্রতিবেদন পেশ করবে।

সেসব প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এর আগে গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য শুক্রবারের জুম্মার নামাজের খুতবার সময় মুসলি্লদের সামনে তুলে ধরার জন্য ইমামদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সে অনুযায়ী ইমামসমাজ জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য রাখছেন কি-না অথবা জঙ্গিবাদের পক্ষে কোনো বক্তব্য দিচ্ছেন কি-না তাই মনিটরিং করা হবে। এ বিষয়ে স্ব্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ-সম্পর্কিত সুস্পষ্ট কর্মসূচির উল্লেখ ছিল, সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ বিষয়ক কমিটি গঠন ও অন্য পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মাদ্রাসা, মসজিদসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণা, জুম্মার নামাযে খুতবা-পরবর্তী জঙ্গিবাদবিরোধী সচেতনতামূলক বক্তব্য দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রী সমাবেশ বা অ্যাসেম্বলির সময় জঙ্গিবাদবিরোধী সচেতনতামূলক বক্তব্য দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কমিটি গঠনের পর এখন পর্যন্ত ১৬টি বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ বৈঠকে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটির মিটিংয়ে যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তা বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা মনিটরিংয়ের জন্য গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সে অনুযায়ী এখন থেকে ইমামদের খুতবা মনিটরিং করা হবে সুত্র ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.