আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিফিলিসের জীবানু কার কাছ থেকে আসলো?

সভাপতি- বিক্রমপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, সম্পাদক ঢেউ, সভাপতি- জাতীয় সাহিত্য পরিষদ মুন্সীগঞ্জ শাখা পর্ব: এক আসাদের শিশ্ন কিছুদিন যাবৎ ব্যথা করছিল। ব্যথা বেড়েই চলছে। চাপদিলে টনটন করে। যেদিন দেখে পুঁজ পড়ল সেদিনই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। অসীমের কাছে গিয়ে খুলে বলে।

অসীম বিস্মিত হয়ে বলে, তোর যৌনরোগ হবে কেন? লক্ষণতো সিফিলিসের। দুজনে মিলে এক যৌন ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তার জানতে চায়, পতিতালয়ে যান? আসাদ ভীষণ লজ্জিত হয়ে পড়ে। কোনমতে বলে, না। : তাহলে ক্যাম্পাসে কারো সাথে? : না : লজ্জার কিছু নাই।

ডাক্তারের কাছে কিছু লোকাতে নেই। গ্রামের বাড়িতে কারো সাথে সেক্সচুয়াল সম্পর্ক আছে? : না : কারো সাথে কখনোই সেক্স করেন নাই। আসাদ নীরব হয়ে যায়। ডাক্টার আরো জানতে চায়, কার সাথে কতদিন আগে করেছেন? আসাদ অত্যন্ত কুণ্ঠিত ভাবে বলে, তার কাছ থেকে যৌন রোগ হওয়ার কথা না। : কেন? : আমি তখন মাত্র ক্লাস ফাইভে পড়ি।

তাছাড়া ঐ মেয়ের মধ্যে সিফিলিসের জীবনু থাকার কথা নয়। : মেয়ে কি করতো? : ও তখন ক্লাশ টেনে পড়তো। : যে মেয়ে আপনার সাথে সেক্স করতে পারে। সে অন্য কারো সাথে করে নাই এ কথা ভাবেন কি করে। আসাদ বিচলিতা হয়ে পড়ে।

তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়। ডাক্তার সাহেবের কথা যৌক্তিক। যে মেয়ে তার সাথে সেক্স করতে পারে, সে অন্য কারো সাথে কেন করতে পারবে না? ডাক্তার সাহেব বলেন, সে মেয়ের কাছ থেকেই আপনার শরীরে জীবনাু প্রবেশ করেছে। তারপর দীর্ঘদিন সুপ্ত অবস্থায় ছিল। ডাক্তারের কথা আসাদের কান দিয়ে ঢুকে না।

সালমা এতোটা খারাপ ছিল ভাবতে পারে না। বিশ্বাস করে না। তবে হিসাবের কথা, ওর মতো একটা মাইনর ছেলের সাথে যে সেক্স করতে পারে সেও ভাল হওয়ার কথা নয়। ডাক্তার ঔষধ লেখে, ইনজেকশন লেখে। ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হতেই অসীম ছেকে ধরে।

কিরে তোর জীবনের এ অধ্যায় কখনো তো বলিস নি? আমার কোন কথাতো তোকে না জানাই নি? আসাদকে ১২/১৩ বছর আগের ঘটনা খুলে বলতে হয়। সালমার বাবা ছিলেন খুবই পরহেজগার পরায়ন মানুষ। আব্বার সাথে ঘণিষ্ট সম্পর্ক হলে আমাদের বাড়িতেই ভাড়া থাকতে শুরু করে। আমি তখন ক্লাশ ফাইভে উঠেছি। সালমা ক্লাশ টেনে পড়ে।

সে বোরকা পড়ে স্কুলে যেত আসতো। বাইরের কেউ কখনো তার চেহরা দেখে নাই। একদিন আমি কি পড়ি, কোন ক্লাসে পড়ি যেনে আম্মাকে বলল, খালাম্মা আসাদতো খুবই মেধাবী ছেলে। কিন্তু রেজাল্ট খারাপ। ওকে একটু গাইড দিলে খুবই ভাল করবে।

মা সালমার উপরই আমার দায়িত্ব চাপিয়ে দিল। সন্ধা থেকে আটটা পর্যন্ত পড়ে ভাত খেতে আসি। খাওয়া দাওয়া করার পরে সালমা এসে নিয়ে যায়। রাত ১০টা বাজালে আমার দুচোখে রাজ্যের ঘুম নেমে আসে। সালমা আমার মাথায় হাত রেখে জিজ্ঞাসা করে, কিরে ঘুম আসছে? আমি মাথা নেড়ে বলি, হু।

: যা মুখ ধুয়ে আয় কথা আছে। আমি মুখ ধুয়ে আসি। ঘুম কমে। সে আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে, তোকে আমি খুব পছন্দ করি। তুই কি আমকে পছন্দ করিস? : খুব।

আমি হয়তো কিছুই ভেবে বলিনি। : আমার কথা শুনবি? : হু। : আমি যা করতে বলবো করবি? : হু। কাউকে বলবি নাতো? : না বলবো না। : সত্যি।

: সত্যি। ঘটনা কতদূর যাচ্ছিল তা আমার অনুমানের বাইরে ছিল। সে আমার কপালে চুমু খেয়ে বলে ভেরি গুড বয়। চল আমরা গলাগলি ধরে শুয়ে পড়ি। পাশাপাশি গলাগলি ধরে শুয়ে পড়ি ঠিকই কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সে আমাকে তার বুকের উপরে তুলে নেয়।

আমার ঘুম ছোটে যায়। সে আমাকে আদর করতে থাকে, চুমুয় চুমুয় ভরিয়ে দেয়। আমার হাফ পেন্ট খুলে আমার শিশ্নটি নিয়ে নাড়তে থাকে। আমি এক বিস্ময়কর অনুভূতিতে আবিষ্ট হই। কিছুক্ষণ পরে ক্লন্ত হয়ে পড়ি।

সালমাও উঠে যায়। আমি উঠতে পারি না। নিস্তেজ হয়ে শুয়ে থাকি। মনে হয় এ মুখ আর সালমাকে দেখানো যাবে না। আমি কিভাবে তার দিকে তাকাবো।

আমি বুঝতে পারি না সালমা কি করছে। কিছুক্ষণ পরে সালমা মাথায় হাত রেখে বলে কিরে ঘুমিয়ে পড়েছিস। আমি নিচ দিকে মুখ করে উঠে বসি। সে আমার হাতে কয়েকটি সুপার বিস্কিট দিয়ে বলে খেয়ে নে। তারপর পানি খেয়ে ঘুমিয়ে পর।

আমার পড়াশুনা আছে। আমার তোলপাড় থামে না। এটা কি হল। সালমা পড়াশোনায় নিমগ্ন হয়ে পড়ে। সকালে ঘুম ভাঙ্গলেও দেখি সালমা পড়ছে।

আমি চুপচুপি পালাতে চাইলাম। ও মিষ্টি হেসে বলল, কিরে ঘুম ভাঙছে? যা, বাসায় গিয়ে ব্রাস করে মুখ ধুয়ে পড়তে বসবি। সন্ধ্যা হলেই চলে আসবি। আর মনে থাকবেতো কাউকে কিছু বলবি না। আমি এসে বাথ রুম করি, ব্রাস করি, পড়তে বসি।

একটা ঘোরের মতো লাগে। অস্থির লাগে। গোসল করি। খাওয়া দাওয়া করি। স্কুলে যাই।

কাছের বন্ধু তুই আর কামরুলের পাশে বসি না। সবার চেয়ে নিজেকে বড় মনে হয়। কয়েকটি মেয়ের কোমর বরাবর আড়চোখে তাকিয়ে দেখি, বোঝার চেষ্টা করি কিভাবে কি হল। আকলিমা ম্যাডাম ক্লাশ নিতে আসে। তার বয়স বেশি না।

তার কোমর বরাবর তাকাই। ওখানেই সবকিছু। ফুল, সমুদ্র, আকাশ, পাখি। স্কুল ছুটি হলে ঘুরে হাইস্কুলের পাশ দিয়ে আসি। বড় মেয়েদের কোমর দেখতে এদিক ওদিকে তাকাই।

স্কুল ছুটি হলে দল বেঁধে মেয়েরা হেটে যায়। আমি মেয়েদের দেখি; যেন দেখার মতো বড় হয়ে গেছি। সালমা ছাড়া আর কেউ বোরকা পড়ে না। ও নাকী খুব ভাল ছাত্রী। সন্ধ্যা হওয়ার জন্য উতলা হয়ে পড়ি।

বিকেল বেলা হঠাৎ মনে হয় আমাকে কি কেউ সন্দেহ করে? আমার আচরণ অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। সন্দেহ যাতে না করে তার জন্য প্রতিদিনের মতো মাঠে খেলতে যাই। বহুকাক্সিক্ষত সন্ধ্যা হয়। পড়তে যাই। আগ্রহে থাকি ও আদর করবে? তা করে না।

আমার বুক কাঁপে। পড়া দেখিয়ে দেয়। পড়তে বলে। আটটা বাঁজলে খেতে যেতে বলে। কোন রকম খেয়েই চলে আসি।

আজ আর ঘুম আসে না। আমি আড়চোখে সালমার কোমর দেখি। আমার আর কোন আকর্ষণ নেই। আর কোন চাওয়া নেই। কি পড়ি মাথায় ঢোকে না।

ভাবি দশটা বাঁজতে কত দেরি। আজ আর ঘুমিয়ে পরি না। রাত দশটা বাজলে ও বলে, চল শুয়ে পড়ি। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত তার কথা অনুসরণ করি। এভাবে নিরুপোদ্রপেই এক বছর কাটল।

এর পরেই সালমার বাবা বদলী হয়ে চলে গেল। অসীম এতক্ষণ কোন কথা বলেনি। ও হতভম্ব হয়ে পড়েছিল। আসাদের শৈশবে কত বড় একটা ঝড় বয়ে গেছে তা বোঝার চেষ্টা করে। এক সময় বলে, সেই শৈশব থেকেই তোর সাথে অত্যন্ত ঘণিষ্ট সম্পর্ক।

কখনো কিন্তু বলিসনি? আসাদ বলে, আমি আর কাউকেই বলিনি। এতো বছর পর এই প্রথম কাউকে বললাম। এতোকাল ও আমার কাছে বিস্ময়কর ছিল। এরপর আর কোন নারীর সান্নিধ্যে যাইনি। আর কাউকে উপলব্ধি করতে চাইনি।

: সালমার খোঁজ কি এখন রাখিস? : কিছুটা। তবে দেখা হয়নি। আমাদের স্কুল থেকে স্ট্যান্ড করে; ও-ই প্রথম এবং শেষ। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ্যাপ্লাইড ফিজিক্সে অনার্স-মাস্টার্স করে । প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়।

বৃত্তি নিয়ে জাপান চলে যায়। পিএচডি করে ওখানেই আছে। আব্বার সাথে সালমার আব্বার দেখা হয়েছিল। সেখান থেকেই জেনে বাসায় বলেছিল। : সালমার কি সিফিলিস ছিল।

: ডাক্তারতো তাই বলল। তবে মেয়েটা আমাকে যে ভাঙ্গচুড় করে দিয়েছে তা বোধ হয় এই জীবনে কাটিয়ে উঠতে পারব না। আমার অন্য ছয় ভাইর সাথে আমার কোন মিল নেই। আমার চিন্তা , চেতনা, বিশ্বাস, অন্য রকম। মেয়েটা আস্তিক ছিল না।

ওর আব্বার প্রচণ্ড বিশ্বাসে ও আস্থা রাখেনি। নামাজ পড়তো কিন্তু নামাজের মধ্যেই আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে আবারো মনোযোগী হতো। আমার সাথে ওসব করেও গোসল না করে, অজু না করে নামাজে দাঁড়াতো। নামাজ টা ও অভ্যাসের মতো করে ফেলেছিল। : ও যত মেধাবীই হোক, তোর সাথে এসব করল কি করে।

এটা মেনে নেয়া যায় না। ওকে তোর এখন ঘৃণাই করা উচিত। : ও আমার শিক্ষক ছিল। ছিল আমার বাৎসায়ন। ওর আব্বার চরম ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে থেকেও মেধার কারণে অবিশ্বাসী হতে শিখেছিল।

আমার মধ্যেও অবিশ্বাসী হওয়ার বীজ ওই বপন করে যায়। ও শিখিয়েছে সবাইকে ম্যানেজ করেও যুক্তিবাদী হওয়া যায়। যুক্তি ছাড়া, প্রমাণ ছাড়া কোন কিছুতেই অন্ধ বিশ্বাস স্থাপন করা যাবে না। আমি মানিয়ে নিতে পারি নি। প্রতিকূল পরিবেশ সামলে নিয়ে নিজের লক্ষ্যে পোঁছানোই বড় কথা।

ও ওর লক্ষ্যে পৌঁছেছিল। ও জানতো ও বড় হবে। শিক্ষাই ওকে বড় করে তুলবে। ওকে কিভাবে ঘৃণা করবো? ওকে বাদ দিয়ে কাকে শ্রদ্ধা করবো? তবে এর চেয়েও ভয়াবহ ঘটনা আমার জীবনে ঘটেছে। ডাক্টারকে ওগুলো বললেই আর সালমার প্রসঙ্গ আসতো না।

অসীম আগ্রহান্বিত হয়। আসাদ ইতস্তত করে। আবার সিফিলিসের বীজ সালমার থেকে এসেছে নাকী আসার রাস্তা আরো আছে সেটাও অসীমের জানা দরকার। আসাদ খুলে বলে- আমি পঞ্চম শ্রেণীতে ফাস্ট হয়ে তোদের তাক লাগিয়ে দিলাম। আব্বার একান্ত ইচ্ছা, সে তার পীরকে কথা দিয়েছে আমাকে তাদের মাদ্রাসায় পড়াবে।

একটি মেধাবী ছেলেকে আলেম বানাবে। বড় ভাই কিছুটা নিমরাজি। দুই ভাইতো মাদ্রাতে পড়ছেই। ওর মেধা আছে। সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে সফল হবে, আর আসাদ কেন পিছে পড়ে থাকবে।

আব্বা বললেন, কে পেছনে থাকবে আর কে এগিয়ে যাবে তা নিশ্চিত হওয়া এত সহজ নয। ইহকাল কয়দিন। আসাদ পরকালের জন্য যা নিয়ে যাবে তুমি তা পারবা? বড় ভাই আর কোন কথা বাড়ান নি। আমি পীর সাহেবের আঙিনার মাদ্রাসায় ভর্তি হই। মাগরিবের নামাজ পড়ে বয়ান শুনতে শুনতে এশার আজান পড়ে।

নামাজের পরে মসজিদের বারান্দায় খাবার ব্যবস্থা। ভাত আর লাবরা জাতীয় কিছু। আমরা ধনী ছিলাম না। তবে খাওযার কষ্ট করতে হয়নি। পেটে প্রচণ্ড ক্ষুধা।

সামলে চলতে হবে। আস্তে আস্তে খেয়ে নেই। খাওয়ার পরে থাকার ঘরে আসি। বিশাল হলঘর। শতাধীক ছাত্রের পাশাপাশি থাকা ও পড়ার ব্যবস্থা এক ঘরেই।

হারিকেনের আলোয় কিছুক্ষণ সবার সাথে পড়ার পরেই ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুমের মধ্যে অনুভব করি আমার পেটে লাঠির গুতা পড়ছে। বুঝতে পারি পাশের সিনিয়র ছাত্রটি তার শিশ্ন দিয়ে ঠেলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাজামা খুলে ঠেলতে থাকে। আমার নিম্নাঞ্চল ভিজিয়ে দেয়।

আমি ঝিম মেরে পড়ে থাকি। আমার গা ঘিন ঘিন করতে থাকে। সিনিয়র ছাত্রটি ঘুরে শোয়। আমি উঠে বাইরে যাই। চার দিক নিস্তব্ধ।

পুকুর পার গিয়ে দেখি আশে পাশে কেউ নেই। পাজামা খুলে পুকুরের পানিতে ধুয়ে নেই। হলে ফিরার সময় মনে হয় পালাই। মামাকে বললে হয়তো মামা আব্বাকে রাজি করাতে পারবে। দেয়াল টপকে পালাই।

কতক্ষণ দৌঁড়াই তার পার হাঁটি। বাসস্ট্যান্ডের কাছে আসলে আজান পড়ে। আমার মনে হয় বাসস্ট্যাণ্ডে অপেক্ষা করলে ওরা এসে ধরে নিয়ে যাবে। আমি পরের বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে হাঁটতে থাকি। মামা বাড়িতে পৌঁছে মামাকে বলি, মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে এসেছি।

আমি মাদ্রাসায় পড়ব না। আব্বাকে বলেন আমি স্কুলে পড়বো। মামা গভীর চিন্তায় পড়ে যায়। মামা বলে, কাজটা ঠিক করস নাই। তোর আব্বা রাগি মানুষ।

মামা আমাকে নিয়ে বাড়ি আসে। আব্বা আগেই খবর পেয়েছেন। তিনি মন্টুকে নির্দেশ দেন ওকে এখনই সাইকেলে করে মাদ্রাসায় পৌঁছে দিয়ে আস। ওখানে ৪ শত ছাত্র দ্বীনের পথে পড়ছে। তুমি পারবা না কেন? মন্টু আমার দুসম্পর্কের চাচাতো ভাই।

আমাদের বাড়িতে আসে পড়াশোনার জন্য। কিন্তু ওর মাথায় কিছুই নাই। অসীম জানায়, আমার মনে আছে। তুই বলে যা। মন্টু আমাকে সাইকেলে নিয়ে রওনা দেয়।

বাড়ি ছেড়ে বড় রাস্তায় উঠার আগেই আমি আমার পা সাইলেকেল চেইনের ভিতর ঢুকিয়ে দেই। মন্টু সাইকেল নিয়ে পড়ে যায়। আমার পা চলে যায় চেইন আর প্যাডেলের মধ্যে। প্যাডেলের দাঁত পায়ের মধ্যে গেথে যায়। দরদর করে রক্ত বের হতে থাকে।

মন্টু সাইকেলে তালা লাগিয়ে আমাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়। সেখান থেকে ব্যান্ডেজ করা পা নিয়ে বাসায় আসি। আব্বা ধরে নেয় আমি ইচ্ছে করেই পা ঢুকিয়েছি। তোমাকে যেতেই হবে। সপ্তা খানেকের মধ্যে পা সেরে উঠে।

এবার আব্বা নিজেই আমাকে নিয়ে পীর সাহেবের সাথে দেখা করে। পীর সাহেব একজন শিক্ষককে ডেকে তার জিম্মায় আমাকে দেয়। একইভাবে রাত আসে। মাগরিবের নামাজ, বয়ান, এশার আজান, নামাজ, খাওয়া দাওয়া। শোবার ঘর আলাদা।

শিক্ষকের খাটে তার সাথে শুয়ে পড়ি। গভীর রাতে ঘুম ভাঙ্গে। উপলব্ধি করি ওনি আমার শিশ্ন নিয়ে নাড়ছেন। কি করা উচিত বুঝতে পারি না। কিছুক্ষণ পরেই বুঝি ওনি আমার পায়ু পথে শিশ্ন প্রবেশ করাচ্ছেন।

আমি ব্যথায় কুকড়ে উঠি। দোজখের অনন্তকালের শাস্তি বয়ে যায় আমার উপর দিয়ে। আমি ভাবি সামলে নিতে হবে। পালিয়ে ঢাকায় চলে যাব ভাবতে থাকি। সে শুয়েছে ঘরে তালা লগিয়ে।

ঘরের ভেতরে ডাসা, সিটকিনির পরিবর্তে তালা লাগানোর ব্যবস্থা আগে খেয়াল করিনি। গোসল না করেই অজু করে ফজরের নামাজ পড়ি। নামাজের পরেই আমার কোমরে শিকল পেচিয়ে তালাবদ্ধ করে দেয়। শিকলের অপর মাথায় আধামন ওজনের গাছের গুড়ি। পালানের চিন্তা বাদ দিতে হয়।

দাগী আসামীর তিনগুন শাস্তি ভোগ করছি। দাগী আসামীদের ডান্ডাবেরি লাগানো থাকে, নিম্নমানের খাবার খেতে হয়। জেলের লোকেরাতো দাগী আসামীদের সাথে রাতের বেলা ওসব করে না। পড়া না পাড়াসহ এই ছুতা ঐ ছুতায় ঝপাৎ ঝপাৎ বেত্রাহত হয় না। এক মাসের মধ্যেই মনে হয় এই নরকে অনন্তকাল কাটাতে হবে।

এর থেকে নিস্তার নেই। এই এক মাসে প্রায় কিছুই পড়িনি। পড়তে তেমন হয়ও না। দশটার মধ্যেই সবাইকে ঘুমাতে হয়। রাতের খাবার খেয়ে সবাই একটু গুনগুন করে ঘুমিয়ে পড়ে।

আর আমি অপেক্ষা করতে থাকি আরেকটি শাস্তির। একটা আশাও জিয়ে রাখি, আমাকে মানুষ হতে হবে। আমি উচ্চ শিক্ষিত হবো। এখান থেকে বের হতে হবে। এর মধ্যেই হুজুররা আমার প্রতি সন্তুষ্ট হয়।

তারা নিশ্চিত হয় আমি পালাব না। আমার মধ্যে ইমানী শক্তি মজবুত হয়েছে। অথচ এই একমাসের অধিকাংশ দিনগুলোতেই আমাকে ফজর নামাজ পড়তে হয়েছে নাপাক অবস্থায়। একদিন শুভদিন আসে। আমাদের বড় হুজুর বিয়ে করে বউ নিয়ে এসেছেন।

হুজুরের বয়স ষাটের কাছাকাছি। সে নারিশা গিয়েছিল তার মুরিদদের ডাকে ওয়াজ করতে। রাতে খাবার খাওযার সময় খাবার পরিবেশনে সহায়তা করে মুরিদের ১১ বছর বয়সী বড় মেয়ে। সোবহে সাদেকের সময় হুজুর ঘুম থেকে উঠে মুরিদকে জানান, মো. নুর ইসলাম আমি স্বপ্নে নির্দেশ প্রাপ্ত হয়েছি তোমার কন্যাকে বিবাহ করার। স্বপ্নে দেখেছি তিনি আমার বিবি হয়েছেন।

হুজুর বলেন, জানোতো নবীজি যখন মা আয়োশা (রা.) কে সাদী করেন তখন তার বয়স ছিল ছয় বছর। তুমি রাজি থাকলে আজই আমার বিবি হিসাবে তাকে গ্রহণ করতে চাই। অন্য মুরিদদের মহা উৎসাহে ঐ দিনই বিয়ে হয়ে যায়। নববধুকে নিয়ে তিনি মাদ্রাসায় ফিরেন। হুজুর এ কারণে ছাত্রদের এদিন ভাল খাবার পরিবেশনের নির্দেশ দিয়েছেন।

আমার ডাণ্ডাবেরিটিও খুলে দেয়া হয়। সবাই যখন দুপুরের ভাল খাওয়া দাওয়ার আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সেই সুযোগে আমি আবারো পালাই। ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে পালালেও কিছুক্ষণ পরেই বুঝি দাদা ভাইর ঠিকানা জানি না। তাছাড়া ঢাকা যাবার মতো টাকাও নেই। তাই বাধ্য হয়েই বাড়িতেই ফিরে আসি।

দাদাভাইকে বাড়িতে দেখে আশার আলো দেখতে পাই। কিন্তু আব্বা আমাকে দেখেই রেগে উঠেন, তুই আবারো পালিয়ে এসেছিস? আমি নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকি। তোর খাওযার কষ্ট হয়? আমি নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকি। আব্বা বলেন, তোকে মন্টুকে দিয়ে এখনি পাঠাচ্ছি। আমি বলতে চাই কিন্তু আমার জবান বন্ধ হয়ে থাকে।

কান্না আমার কণ্ঠ রোধ করে রাখে। আমি ধরা গলায় বলি, আমাকে পাঠালে আমি গলায় দড়ি দেবো। আব্বা এই প্রথম তার সন্তানদের মধ্যে কাউকে থাপ্পর দিলেন। কিছুক্ষণ পরে জানতে চাইলেন, তোর সমস্যা টা কি? আমি শক্তি সঞ্চার করি তারপর বলি, যে হুজুরের সাথে থাকি ওনি রাতে আমার সাথে আকাম করে। আমার পায়খানার রাস্তায় ঘা হয়ে গেছে।

আমি হু হু করে কেদে ফেলি। আমি কাঁদতেই থাকি; কিছুতেই কান্না থামাতে পারি না। আব্বা কী তার সারা জীবনে এর চেয়ে ভয়াবহ কোন কথা শুনেছেন? তিনি বজ্রাহতের মতো নির্বাক হয়ে পড়লেন। ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। দাদা ভাই ঔষধ এনে দিলেন।

আস্তে আস্তে সুস্থ্য হয়ে উঠি। আমার ধারণা এই হুজুরদের মধ্য থেকেই তোর মধ্যে জীবানু ঢুকেছে। অসীম তার ধারণা প্রকাশ করে। : এতো দ্রুত সিদ্ধান্ত পোঁছানো ঠিক হল না। সালমাকে রেহাই দিতে পেরেছি ভেবে ভাল লাগছে।

ওকে বাঁচানোর জন্যই এই ঘটনাগুলো বলছি। আমার জীবনে এ ধরণের আরো ঘটনা আছে। : পৃথিবীর সমস্ত ঘটনা কি তোর উপরই ঘটেছে নাকী। আামার সারা জীবনে এরকম ঘটনাতো একটাও ঘটেনি। : মনস্তাত্তিক একটা ব্যাখ্যা আমার কাছে আছে।

আমি শৈশবে খুবই কিউট ছিলাম। আমর মধ্যে একটা যৌন আবেদন ছিল। সালমা, মাদ্রাসার ছাত্র বা শিক্ষকরা সেই যৌন আবেদনে আকৃষ্ট হয়েছিল হয়তো। : মাদ্রাসার ক্ষেত্রে এটা নতুন নয়। কদিন আগে আমি পত্রিকায় একটি ঘটনা পড়ি।

ছেলেটি ওর বড় ভাইয়ের ম্যাচে আসে বিশেষ কারণে। বড় ভাইর ম্যাচমেট না থাকায় পাশের খাটে শুয়ে পরে। ম্যাচের সকলেই মাদ্রাসার ছাত্র। বড় ভাইর আরেক ক্লাসমেট ম্যাচে আসে এবং ছেলেটির সাথেই রাতে থাকে। রাতে ওর সাথে সমকাম করে।

ভোর হলে ছেলেটিকে ২০ টাকা দিয়ে যায় খাওয়া দাওয়া করার জন্য। ভয়ে লজ্জায় ছেলেটি কিছুই বলতে পারে না। পরের রাতে বড় ভাইর বন্ধুটি তার আরেক বন্ধুকে নিয়ে উপস্থিত হয়। দুজনে মিলে ওর সাথে সমকাম করে। : ঐ ছেলেটির মধ্যেও হয়তো যৌনাবেদন ছিল।

আসাদ তার মত প্রকাশ করে এবং কষ্টের হাসি হাসে। : হয়তো ছিল, তবে যৌন আবেদন না থাকলেও স্বামী-স্ত্রী সেক্স করে। এক্ষেত্রে অভ্যাসও একটা ব্যাপার। অভ্যস্ত হয়ে পড়েলে যে কারো সাথেই সমকাম করতে পারে। সারা পৃথিবীতেই সমকামীরা বাচ্ছা ছেলেদের পছন্দ করে।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাসেও পড়েছি অপরাধ জগতের এক গড ফাদার সমকামী এবং একটি কিউট ছেলের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। আচ্ছা তুই আরেকটি ঘটনার কথা বলছিলি। আসাদ বলে, হ্যা সেটা বড় আপার বাসা থেকে ফেরার পথের ঘটনা। তখন রাত্রে ঢাকা থেকে লঞ্চে আসতে হতো। বড় ভাই লঞ্চে উঠিয়ে দিয়ে গেলেন।

এক বুড়ো চাচাকে বলে গেলেন একটু দেখতে। বুড়ো তার কাথা বিছিয়ে বিছানায় আমাকেও শুতে দিল। আমি ঘুমিয়ে পরি। আবার অনুভব কঠি সেই মাদ্রাসার বড় ভাইর মতো বুড়ো আমার প্যানট খুলে তার শিশ্ন দিয়ে ঠেলছে। আমি উঠেই বুড়ের গালে চড় বসিয়ে দেই।

বুড়ো চড় খেয়ে গাল চেপে ধরে দৌড়ে চলে যায়। : কাথা বালিশ রেখেই চলে গেল? আর আসেনি? অসীম হু হু করে হেসে উঠে। : হ্যা। আমি ঐ কাথা বালিশে আরামে ঘুম দেই। অভ্যাস থাকায় ঘটনাটা আমর মধ্যে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া করেনি।

সকাল হলে লঞ্চ যখন আমাদের ঘাটের কাছে আসে তখন দেখি বুড়ো এসেছে। কাথা বালিশ ছেড়ে দিলাম। : হ্যা! এখান থেকেও জীবনু আসতে পারে। তবে সম্ভাবনা কম। আবার এমনও হতে পারে তিন জায়গা থেকেই এসেছে।

এত কাল একজনের জীবনুর সাথে অন্যজনের জীবনাু যুদ্ধ করে নিস্তেজ ছিল। তারপর বহু বছর পর তিনজনেরটাই আক্রমন করেছে। হা হা করে অসীম হেসে গড়িয়ে পড়ে। হাসি কমলে জানতে চায়, নাকী তোর জীবনে আরো কোন ঘটনা আছে। : আছে।

অবশ্য সেখান থেকে জীবনু আসে নি। তখন সিক্স থেকে সবে সেভেনে উঠেছি। ঐ পীর সাহেব ওয়াজ করতে এসেছেন। ওয়াজে বললেন, এদেশের মুসলমানরা আইস্টাইন, এডিশন, নিউটনের মতো মূর্খদের বই পড়ে কিন্তু ইসলামী মনীষীদের বই পড়ে না। নীল আমস্ট্রং চাঁদে গিয়ে আজানের শব্দ শুনে, কয়েক বছর পওে মিশরে এসে যখন আজান শুনে তখন তার মনে পড়ে চাঁদে গিয়েতো এই শব্দই শুনেছি।

সে জানতে পারে এটা মুসলমানদের নামাজে আসার আহবান তখন তিনি মুসলমান হয়ে যান। পৃথিবীতে যা কিছু আবিস্কার হয়েছে সব কিছু কোরআন রিসার্চ করেই হয়েছে। এরোপ্লেন আবিস্কার হয়েছে কোরানের বোরাকের ধারণা থেকে। গণিতের অনেক তত্ত্ব মুসলমানরা আবিস্কার করেছে। এগুলো ছিল আলেকজন্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ইহুদী নাসারারা সব কিছু আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। রাতে হুজুরকে খাবার খাওয়াচ্ছি। হুজুরকে বললাম যদি অনুমতি দেন তবে কথা জিজ্ঞাসা করি। হুজুর মহাখুশি- আলহামদু লিল্লাহ! এটাইতো জানতে চাওয়ার বয়স। বল কি জানতে চাও।

আমি বলি, হুজুর আপনি ওয়াজে বললেন এডিশন মূর্খ। মূর্খ হয়ে তিনি বৈদ্যুতিক বালভ আবিস্কার করলেন কিভাবে? হুজুর কোন কথা বলে না। সেই সুযোগে দ্বিতীয় প্রশ্ন করি, হুজুর আমার এক স্যার বলেছিলেন, মাস খানেক আগে নীল আমস্ট্রং নাকী ভয়েস অফ আমেরিকাতে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি মুসলমান হননি, চাঁদে গিয়ে ফাঁটাদাগ দেখেন নি বা আজান শুনেননি? হুজুর কোন জবাব দেন না। আমি পাখা দিয়ে বাতাস করি। আবারো জানতে চাই, হুজুর কোরআন রিসার্চ করে ইহুদী নাসারারা এতো কিছু আবিস্কার করে ফেললো তাহলে আমার মুসলমানরা কেন পারছি না? আমরা কি কোরআন বুঝি না? হুজুর খাচ্ছেই।

আমি জানতে চাই, আচ্ছা বিশ্ববিদ্যালয়টি পুড়িয়ে দিলে আজকে কিভাবে আমরা বলছি বর্তমানের আবিস্কার গুলো ওখানে ছিল। এর মধ্যেই আব্বা ঘরে ঢুকে। আমি পাখার বাতাস বাড়িয়ে দেই। হুজুরের খাওয়া দাওয়া শেষ হয়। আব্বা বলেন আপনাকে খেদমত করতে পারলাম না।

হুজুর কোন জবাব দিলেন না আব্বার কথায়। আমাকে দেখিয়ে বললেন, এটা আপনার ছেলে? আব্বা বললেন জি হুজুর ক্লাশ সেভেনে উঠেছে। হুজুর বললেন, মাথা খুব ভাল। রাতে হুজুরের সাথে একই বিছানায় শুই। : হুজুরও তোর সাথে? : আরে না।

তবে আশঙ্কা অবশ্যই ছিল। মাঝ রাতে আমার ঘুম ভাঙ্গে। প্রচণ্ড পেশাব পেয়েছে। পেশাব করে শুইনি। হুজুর গভীর ভাবে ঘুমাচ্ছেন।

আমি বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছি। কাকে ডাকব। এক সময় সহ্য করতে পারছিলাম না। তখন মাথায় দুষ্টুবুদ্ধি খেলে। আমাকে তোমরা কম কষ্ট দাও নাই।

ডিমলাইটের আবছা আলোয় দেখি হুজুর গভীর নিদ্রায় নিমজ্জিত। তার লুঙ্গি বেরিয়ে আছে। সেই লুঙ্গিতেই আস্তে আস্তে প্রশ্রাব করি। অসীম হাসতে হাসতে আবারো গড়িয়ে পড়ে। ধাতস্ত হয়ে বলে, বলিস কি? ওনি বুঝতে পারল না? : ওনিতো গভীর ঘুমে।

আমি একটু দূরে গিয়ে ভাল ছেলের মতো শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে আব্বা হুজুরকে ডাকতে এসে দেখেন ওনি কাচুমাচু ভঙ্গিতে বসে আছেন। আব্বা বলেন, হুজুর আমরা বসে আছি, আপনার পিছনে নামজ পড়ব বলে। হুজুর বলেন, আসলে কি হয়েছে, কখনো এরকম হয়নি। কিভাবে যেন ঘুমের মধ্যে পেশাব করে দিয়েছি।

আপনারা পড়ে নিন। : তুই যে এতোটা সাহসী তা কিন্তু এতোদিনেও বুঝিনি। : আমি আসলে সাহসী নই। এটা পরিকল্পিতও না। আকস্মিক একটা ঘটনা।

জেদ আর নিরুপায় একসাথে কাজ করেছে। তাই বলতে পারি ঘটনাটা ঘটাইনি, ঘটে গেছে। : আর কেউ জানে আকি আজই প্রথম আমি জানলাম। : এক হিসাবে তুই ই প্রথম আর এক হিসাবে তুই অনেক জনের পরে। একটি ফান ম্যাগাজিনে একটু ঘুরিয়ে লিখেছিলাম।

: সেই প্রাইমারী থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত শুধু আমি আর কামরুল তোর বন্ধু। এতকিছু চেপে রাখলি কি করে। : অতটুকু বয়সে এতোগুলো ঘটনার সন্মুখে পকেড়ছি তখন এমন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করতাম না। আমাকে তোরা বুঝতে পারতিস না। সেই প্রভাব আমি কাটিয়ে উঠতে পারিনি।

তোরা দুজনকে আমি বন্ধু ভাবি। শৈশশ থেকে তোদের সাথে সম্পর্ক না থাকলে তোরাই আমাকে বন্ধু ভাবতি না। যেমন অন্য কেউ ভাবে না। হুমায়ুন আজাদ শামসুর রাহমানকে নিঃসঙ্গ শেরপা বলেছেন। আমি ভিতরে ভিতরে পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃসঙ্গ মানুষ।

আমাকে তোরা নারী বিদ্বেষী বলিস। কি করবো আমার যে নিঃসঙ্গ থাকতেই ভাল লাগে। একজন এবং কয়েকটি ঘটনা আমাকে নিঃসঙ্গ করে দিয়েছে। ঔষধের গুণে অল্প দিনের মধ্যেই সুস্থ্য হয়ে উঠে আসাদ। সম্পূর্ণ উপন্যাসটি লেখা হয়েছে.. পরবর্তী কিস্তি পড়বেন আগামীতে.. ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.