আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতীয় হাই কমিশনের সাইট হ্যাকিং ও অহিংস নীতি

আমার চোখে বর্তমান... কিছু বাংলাদেশী পরিচয়ধারী (খুব সম্ভবত তারা বাংলাদেশী বটে) ভারতীয় সাইট হ্যাক করলেন। যতদুর জেনেছি তারা সাইটটির ফাংশনালিটির কোন ক্ষতি করেননি। কেবল হ্যাক করে তাদের যে মেসেজ দেবার ইচ্ছে ছিল তা দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তা বর্তমান সময়ের আলোচিত ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের প্রতি অসৈজন্যমূলক যে আচরন করা হয়েছে তার প্রতিবাদ মূলক। প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করি বলে হ্যাকিং অপছন্দ করি।

সবসময় একটু টেনশনে থাকি আমাদের কোন সাইট যেন হ্যাকারদের কবলে না পড়ে। তবুও মাঝে মাঝে খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যেতে হয়েছে। সে যাই হোক আমার আজকের লেখা, প্রযুক্তিবিদ হিসেবে হ্যাকিং অপছন্দ করা থেকে নয়, বরং ভারতের কাছ থেকে দাবী আদায়ে আমাদের কোন পন্থা নেয়া উচিত তা নিয়ে। বরাবরই মনে করি অহিংস আন্দোলনই সবচেয়ে কার্যকর। এর পক্ষে ইতিহাস সবসময়ই সাক্ষী দিয়েছে।

হ্যাকিং তা যতই অক্ষতিকরই হোক না কেন (সৌজন্য মূলক ভাবে ক্ষতি করা হয়নি কেবল মনোভাব জানিয়ে দেবার জন্য করা হলেও) আমি তা অহিংস বলব না। আমার গত লেখায় কার্যকর প্রতিবাদ বিষয়ে বলেছিলাম। বলেছিলাম যে ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেল ও ইন্ডিয়ান পন্য বর্জনই হতে পারে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদের অস্ত্র। আমি মনে করি ব্যক্তি পর্যায়ে যদি সবাই এইদুটি ছোট কাজ করতে পারি, তো ইন্ডিয়া আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আমাদের সাথে তার আচরন সংশোধন করতে বাধ্য হবে। যারা সাইটটি হ্যাক করেছেন বা যারা ইন্ডিয়ার এই আচরনে ক্ষুদ্ধ হয়ে আছেন, সবাইকে আহবান করি, আসুন অন্তত আমি আর আপনি ইন্ডিয়ার সব চ্যানেল বর্জন করি, ইন্ডিয়ার সব পন্য পরিহার করি, ততদিন পর্যন্ত যতদিন না তারা আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাদের আচরন সংশোধন করে।

প্রতিবেশীর কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান আদায়ে এরচে ভাল কোন পন্থা আছে বলে মনে করিনা। আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানের পন্থা কোন কাজ দিবেনা। আমরা পাকিস্তানী নই। আমরা বাংলাদেশী। আমাদের কাজ কর্ম চিন্তা চেতনা অবশ্যই উন্নততর হতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.