যখনি কোন বড় নাশকতা ঘটে তখনি একটি টিভি চ্যানেলের কর্মীরা হাজির হয়ে যায়। সবার আগে দর্শককে সংবাদ দিয়ে টিআরপি বাড়তে থাকে টিভি চ্যানেলটির। কিভাবে এটা সম্ভব তা খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর চিত্র। টিভি চ্যানেলের মালিক অন্য চ্যানেলকে পেছনে ফেলতে ভাড়াটে দিয়ে একের পর এক খুন,দূর্ঘটনা ঘটিয়ে নিজের টিভি চ্যানেলকে একনম্বরে নিয়ে আসে।
বেশ কিছুদিন আগে দেখা উপরের চিত্রটি একটি মুভির গল্প।
ইলেকট্রনিক মিডিয়া কিভাবে নিজেদের টিআরপি বাড়াতে ভয়ংকর সব নোংরা খেলা খেলে মুভিটিতে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
আজকে বাংলানিউজ২৪.কম এ একটা লেখা পড়তে গিয়ে বিশাল একটা ধাক্কা খেলাম। বাংলানিউজ২৪.কম কোন নোংরা খেলা খেলছে না তো?চলুন দেখে নেয় লেখাটি..
শিরোনাম:
যেভাবে রক্ষা পেলো ‘উপবন’, বাঁচলো শত জীবন
সাব্বির আহমেদ লিখেছেন..
রাত তখন সাড়ে ৩টা। বাংলানিউজের সংবাদ দেওয়া শুরু হবে যখন যা ঘটে, তখনই তা দিয়ে। এমন প্রস্তুতি নিয়ে বাসায় আমি তখন ঘুমিয়ে পড়েছি।
ভোরে বের হতে হবে হরতালের সংবাদ সংগ্রহ করতে। বালিশের পাশে রাখা আছে মোবাইল ফোনটাও।
ঘড়ির কাটায় যখন ৩টা বেজে ১৫ মিনিট। তখন একটি কল এলো আমার মোবাইল ফোনে। ঘুম ভেঙে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ফোনটি তুলে কানে ধরলাম।
ও প্রান্তে থেকে একজন বললেন, ‘‘আমি অমুক বলছি, কুলাউড়া থেকে। ’’
আমি বললাম- জি, বলুন। তিনি বললেন, ‘‘কিছু দৃর্বৃত্ত হরতালের স্লোগান দিয়ে বরমচাল-কুলাউড়া এলাকায় রেললাইন উপড়ে ফেলেছে। একটু পরে এ লাইন দিয়ে উপবন আসবে ঢাকা থেকে। ’’
এবার আমি উৎকণ্ঠার সঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলাম, “আপনি সত্যিই বলছেন তো?” তিনি বললেন, ‘প্রাকৃতিক প্রয়োজনে সাড়া দিতে বের হয়ে দৃষ্কৃতিকারীদের রেল উপড়ে ফেলার ঘটনাটি দেখেছি।
তাই, আমি নিশ্চিত।
সাব্বির আরেক জায়গায় লিখেছে, এর পর ভোর রাত সাড়ে ৪টায় স্বপন বড়ুয়াকে ফোন দেওয়া মাত্রই তিনি বললেন, ‘‘মাত্র দুই মিনিট আগে ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ ৬টি বগি লাইনচ্যূত হয়েছে। ট্রেনটি ধীরে ধীরে আসতে বলায় বড় ধরনের প্রাণহানি থেকে বাঁচা গেছে। তবে যাত্রীরা সামান্য আহত হয়েছেন। পরে ফোন দিচ্ছি।
উদ্ধার কাজে যাচ্ছি”
লেখাটি পড়তে পড়তে একধরেনর খচখচ শুরু হেয় গেল মনে । বাংলানিউজ২৪.কম এর ছবিগুলো দেখে খচখচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রীতিমত বিস্মিত হয়ে গেলাম। কারণ,যে জায়গায় রেল লাইন উপড়ে ফেলা হয়েছে সে জায়গার আশেপাশে কোন বাড়ি-ঘর দেখা যাচ্ছেনা। এরপর একে একে প্রায় সবগুলো জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ঘটনাটির ছবি দেখলাম। কিন্তু আশপাশে কোন বাড়ি-ঘর নাই।
পাঠক ভাল করে কয়েকটা পয়েন্ট লক্ষ্য করুন
১...প্রথমে লিখেছে রাত তখন সাড়ে তিনটা!কিন্তু ফোন এসেছে ৩টা পনের মিনিটে!সোয়া তিনটা আর সাড়ে তিনটার মধ্যে ব্যাপক ব্যবধান। বিশেষ করে মিডিয়া রিলেটিভ মানুষদের জন্য। এখানে প্রতিটা মিনিটের চুলছেড়া হিসেব হয়।
২...বাংলানিউজ২৪.কম এর সাব্বির আহমেদ কে যে ফোন করেছে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে আমি ‘অমুক’।
এতবড় কাজ করল একজন লোক সে লোকটার নাম নাই!!অথচ সাব্বির নিজের লেখায় লিখেছে সোর্সের বরাত দিয়ে একটা রির্পোট করেছে। সংবাদপত্রের সোর্স একটা বিশ্বস্থ সূত্র। সাধরণত সোর্সের নাম উল্লেখ করা হয়না । কিন্তু সাব্বির আহমেদ আর ‘অমুক’ এর কথপকথনে স্পষ্ট বোঝা যায় লোকটা সোর্স না একজন আমপাবলিক। যদি আম পাবলিক না হত তাহলে সাব্বির আহমেদ কখনই সোর্সের বিশ্বস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলত না।
৩..প্রায় প্রতিটা জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং খোদ বাংলানিউজ.২৪ এ দেওয়া ছবিগুলোতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে আশপাশে কোন বাড়ি নেই। রাতে একজন লোকের প্রাকৃতিক ডাক দিয়েছে আর সে ঘরের পাশে বিল রেখে অনেক দূর থেকে আসবে রেললাইনে? আরে ভাই প্রাকৃতিক ডাক সাড়া দিলে রেলালাইনে না এসেই ঘরের পাশের বিলেই তো বসে যাওয়ার কথা ..তাইনা?
৪...যে লোকটার কাছে বাংলানিউজ২৪.কম এর সাংবাদিকের ফোন নাম্বার আছে সে লোকটা নিশ্চয় অনেক সচেতন। কিন্তু লোকটার কাছে স্থানীয় থানার ফোন নাম্বার তো দূরে থাক অন্যকোন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা কিংবা লোকাল কোন সাংবাদিকের নাম্বারও নাই!কোন টিভি চ্যানেলের নাম্বারও নাই!!একজন লোক এতবড় একটি দূর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে দেখে একটা মিডিয়াকে জানিয়েই চুপ করে থাকবে?লোকটা যে সোর্স না তা সিওর এই পয়েন্টে। কারণ,সংবাদপত্রের একজন সোর্সের কাছে থানা কিংবা স্থানীয় মিডিয়ার নাম্বার থাকবেনা এটা একটা চরম হাস্যকর ব্যাপার।
৫..সোয়া তিনটা থেকে সাড়ে ৪টা!প্রায় সোয়া একঘন্টা।
এই সোয়া এক ঘন্টায় রেলটিকে অন্যকোথাও থামানো হয়নি কেন?যেখানে সংবাদ আগেই পাওয়া গিয়েছে সেখানে তো রেড এলার্ট জারি হয়ে যাবার কথা।
৬...বাংলানিউজ গত ২মাস ধরে যেকোন রাজনৈতিক সহিংসতার রিপোর্টের সাথে কোন না কোন ভাবে শিবিরের নাম জুড়ে দিচ্ছে...
৭..বাংলানিউজের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ প্রমাণিত যে এদের যারা বিজ্ঞাপন দেয়না তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে এবং বিজ্ঞাপন দিলে ঐ রিপোর্ট এডিট করে অন্য নিউজ ঢুকিয়ে দেয় কিংবা মুছে দেয়...
রেল নাশকতার পেছনে বাংলানিউজ২৪.কম এর কোন কারসাজি নাইতো তা খতিয়ে দেখার জোর দাবী জানালাম...
collected from FB ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।