যাযাবর কিছুদিন আগেই সাকিব বাহিনীকে টেস্ট এবং ওয়ান-ডেতে নাকানি-চুবানি খেতে দেখলাম। তার রেশ কাটতে না কাটতে না কাটতেই জিম্বাবুয়ের কাছে আরেকটা হারের লজ্জা আমাদের বরণ করে নিতে হোল। ঢাকা এখন বিশ্বের বসবাসের সবচেয়ে অনুপযোগী শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। ১৪০ টি শহরের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর ১৩৮টি শহরকে পিছনে ফেললেও জিম্বাবুয়ের হারারের সাথে আর পেরে উঠতে পারিনি। তবে এই ব্যর্থতার কারনে সরকারের নিরলস প্রচেষ্টাকে কোন অবস্থাতেই খাটো করে দেখা ঠিক হবে না।

গত ২ বছরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তীব্র যানজট, অসহনীয় লোডশেডিং, পানি সংকট সহ রোড এক্সিডেন্টের মাধ্যমে দেশের মানী-গুণী মানুষ গুলোকে সরাসরি জান্নাতবাসী করার ক্ষেত্রে চমৎকার সাফল্য অর্জন করার পরেও কেন এই বিজয় অর্জন হোল না তা এখন প্রশ্নসাপেক্ষ। এর জন্য অবশ্যই সুষ্ট তদন্তের প্রয়োজন। গত সরকারের আমলে দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে হ্যাট্ট্রিক শিরোপা অর্জনের পর বিশ্বের দরবারে আমরা ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় এই প্রতিযোগিতাতেও আমাদের স্বপ্ন ছিল বিজয় ছিনিয়ে আনার। যাহোক, ভবিষ্যতে জিম্বাবুয়ের মতো দেশগুলোর কাছে আমাদের মাথা যেন আর নিচু না হয় তার জন্য আমার কিছু প্রস্তাব সরকারে জিল্লে-ইলাহিদের বিবেচনার জন্য পেশ করলাম।

১। আবুল হোসেন এবং শাহজাহান খানের মতো সোনার ছেলে সরি বুড়াদের খুঁজে খুঁজে বের করে দেশের গুরুত্বপুর্ন পদে নিয়োগ দিতে হবে। ২। জিম্বাবুয়েতে লোক পাঠিয়ে তাদের এই সাফল্যের রহস্য উদঘাটন করে সেই ফর্মুলা আমাদের শহরেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। ৩।

দেশের পত্রপত্রিকা এবং কিছু জনপ্রিয় ব্লগ এই সাফল্যের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়। এরাই দেশের সাধারণ জনগনের মগজ ধোলাই করে সরকারের উপর খেপিয়ে তুলেছে। এই কারনেই শাহেনশাহ আকবরেরা তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারছে না। এইসব পত্রপত্রিকা আর ব্লগগুলোকে ধরে ধরে ... বাঁশ দিয়ে আন্তঃজাতিক ট্রাইব্রুনালে বিচারের উদ্দেশ্যে আপাতত খাঁচায় ভরা যেতে পারে। দেশপ্রেমী পাঠকদের আরও যদি কিছু প্রস্তাব থাকে তাহলে অনতি বিলম্বে পেশ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

Click This Link ।