আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিম্বাবুয়ের ‘ঐতিহাসিক’ জয়

তাই টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। শনিবার শেষ দিনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১০৬ রান, আর জিম্বাবুয়ের ৫ উইকেট। স্বাগতিকদের জয়ের সামনে দেয়াল তুলে দাঁড়ালেও শেষ পর্যন্ত দলকে রক্ষা করতে পারেননি অতিথিদের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। দিনের তৃতীয় ওভারেই আদনান আকমলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে দলকে সাফল্য এনে দেন টেন্ডাই চাতারা। এরপর হারারে স্পোর্টস ক্লাবের ব্যাটিং-দুরূহ উইকেটে আব্দুর রেহমানকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মিসবাহ।

এই জুটিতে ৩৪ রান ওঠার পর রেহমানকে (১৬) কট বিহাইন্ড করেন টিনাশে পানিয়াঙ্গারা। পরের ব্যাটসম্যান সাঈদ আজমলকে চাতারা এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললে স্কোর দাঁড়ায় ২১৪/৮। ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান জুনায়েদ খানকে নিয়ে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন মিসবাহ। কিন্তু জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় নতুন বল নেয়ার পর অতিথিরা আর পেরে ওঠেনি। জুনায়েদকে গালিতে ম্যালকম ওয়ালারের ক্যাচে পরিণত করেন চাতারা।

দুই বল পর শেষ ব্যাটসম্যান রাহাত আলী রান আউট হয়ে গেলে ‘ঐতিহাসিক’ জয় পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটা তাদের তৃতীয় জয়। মিসবাহ অপরাজিত থাকেন ৭৯ রানে। ৬১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে চাতারা জিম্বাবুয়ের সফলতম বোলার। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও তিনি।

জীবনের চতুর্থ টেস্টে প্রথম বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করলেন চাতারা। সংক্ষিপ্ত স্কোর: জিম্বাবুয়ে: ২৯৪ (মাসাকাদজা ৭৫, টেইলর ৫১; জুনায়েদ ৪/৬৭, রেহমান ৩/৪৭) ও ১৯৯ (মায়োয়ো ৫৮, মাসাকাদজা ৪৪; রাহাত ৫/৫২) পাকিস্তান: ২৩০ (ইউনুস ৭৭, মনজুর ৫১; ভিটোরি ৫/৬১, পানিয়াঙ্গারা ৩/৪৩) ও ২৩৯ (মনজুর ৫৪, হাফিজ ১৬, আজহার ০, ইউনুস ২৯, মিসবাহ ৭৯*, শফিক ১৪, আদনান ২০, রেহমান ১৬, আজমল ২, জুনায়েদ ১, রাহাত ১; চাতারা ৫/৬১, উৎসেইয়া ২/৬২, পানিয়াঙ্গারা ১/৪৩, ভিটোরি ১/৬৯) ম্যাচ সেরা: টেন্ডাই চাতারা। সিরিজ সেরা: ইউনুস খান।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.