আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপি'র আইনজীবি এম.ইউ. আহম্মদের মৃত্যু ও নোংরা রাজনীতি এবং কিছু প্রশ্ন

সত্য যেখানে অসহায় আমি সেখানে হতে চাই সহায় ও সঙ্গী। বাচাল, ভন্ড, ধর্মব্যাবসায়ীরা, মিথ্যাবাদী, সত্য গোপনকারী, অন্ধ দলীয় সমর্থকরা আমার ঘৃনার পাত্র। গত ২ আগস্ট বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন আহমেদ ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীর সংবিধান ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেয়া সংক্রান্ত বক্তব্যের শুনানিকালে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দেশপ্রেম প্রসঙ্গ উঠে আসলে এজলাসে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতি হয়। ঐ সময় তারা বিচারপতিদের লক্ষ্য করে প্রিন্টারের ট্রে নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৪ আইনজীবীসহ প্রায় অর্ধশত আইনজীবীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধাদানের অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করার পর আইনজীবী এম ইউ আহমেদ গ্রেফতার হন ১১ আগস্ট।

ঐদিন ভোর প্রায় সাড়ে চারটায় ১১৬ নং সেগুনবাগিচার ৩ তলা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বাসভবন এ ভবনের ৬ তলায় হলেও তিনি ঘটনার দিন গ্রেফতার এড়ানোর জন্য ৩ তলার ৩০৪ নং রুমে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে ডিবি অফিসে নেয়া হয়েছিল। গ্রেফতারের বিস্তারিত দেখুন এখানে। এসি শহীদুল্লাহর বক্তব্য মতে, পুলিশ ১১৬ নং সেগুন বাগিচার ফ্লাটে রাত ২.১০ মিনিটে গেলেও দারোয়ান তাদের বিতরে ঢুকতে বাধা দেয়।

এ অবস্থা চলে প্রায় দুই ঘন্টারও বেশী। তার পর তারা এ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দাদের অনুমতি নিয়ে ভিতরে ঢুকেন এবং তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে ডিবি অফিসে যান। ঐ সময় সেহরীর সময় হওয়ার কারনে গ্রেফতার অভিযানে অংশ নেয়া অফিসাররা ডিবি অফিসের দায়ীত্বরত কর্মকর্তা এসআই ইন্তাজ আলীর কাছে এমইউ আহমেদকে বুঝিয়ে দিয়ে যে যার মত চলে যায়। ডিবি অফিসে ঢোকার আধা ঘন্টার মধ্যেই এমইউ আহমেদ তার বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। সাথে সাথে সবাইকে ফোনে বিষয়টি ডিউটি অফিসার সবাইকে জানালে কর্মকর্তারা সবাই ছুটে আসেন।

তার পর তারা তাঁকে দ্রুত প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন সময় প্রায় পৌনে ছয়টা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে তাঁর ইসিজি করানো হয়। ইসিজি রিপোর্টে তাঁর বড় ধরনের হার্টএ্যাটাক বলে উল্লেখ্য করা হয়। ইসিজি রিপোর্টটি পাওয়া যায় যখন তখন ভোর প্রায় সোয়া ছয়টা।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাঁকে চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এখন স্বভাবতই প্রশ্ন আসে এম ইউ আহমেদকে গ্রেফতারের পর অর্থাৎ ভোর সাড়ে চারটা হতে সকাল সোয়া ছয়টা পর্যনত্ম সোয়া দুই ঘণ্টা পর্যন্ত তাঁর অসুস্থতা নিয়ে গলদঘর্ম হতে হয়েছে ডিবি পুলিশকে। ডিবি পুলিশের হেফাজতে ছিলেন তিনি প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা। গ্রেফতারের পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ডিবি পুলিশকে তাঁর চিকিৎসা নিয়েই ছোটাছুটি করতে হয়েছে।

এই সময় কখন ও কিভাবে পুলিশ তাঁকে নির্যাতন করল ? কোন কোন পুলিশ সেই নির্যাতন দলের টীমে ছিল ? কিভাবে তা সম্ভব হলো ? এর পর টানা ছয়দিন তাঁর চিকিৎসা চলে পুলিশের হেফাজতে। জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের ডাক্তার আবদুলস্নাহ আল সাফির নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি বোর্ড সর্বৰণিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলে। ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে তাঁর জামিনের জন্য আবেদন জানান তাঁর স্ত্রী সেলিনা আহমেদ। শাহবাগ থানার মামলা নং ০৪, তারিখ ০২/০৮/১১, ধারা ১৪৩/৩৩২/ ৩৫৩/৩৩৩/৫০৬/৩৪ দ-বিধিতে দায়ের করা মামলার বাদী পুলিশ ইন্সপেক্টর ফজলুল রহমান ও তাঁর স্ত্রী সেলিনা আহমেদ জামিননামায় স্বাৰর করেন। জামিনে মুক্ত হয়ে যান এম ইউ আহমেদ।

পুলিশ হেফাজত থেকে তিনি চলে যান তাঁর স্ত্রী সেলিনা আহমেদের জিম্মায়। ত্রীর জামিননামা গ্রহণ : আইনজীবী এম ইউ আহমেদের স্ত্রী সেলিনা আহমেদ স্বাৰরিত জামিননামার আবেদনে যা লিখেছেন তা হুবুহু তুলে ধরা হলো। আমার স্বামী এ্যাডভোকেট মমতাজউদ্দিন আহমেদ (৫৭) পিতা মৃত লেদু সিকদার, সাং বোয়ালকান্দি, থানা শেরপুর, জেলা বগুড়া বর্তমানে ১১৬ ইস্টার্ন হোমস, সেগুনবাগিচা, থানা রমনা, ঢাকাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতাল হইতে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেয়ার জন্য চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশের নিকট হইতে জামিন গ্রহণ করিলাম। স্বাৰর : সেলিনা আহমেদ, তারিখ ১৬/৮/১১। ম্যাজিস্ট্রেটের রেকর্ডের জন্য আদেশনামা : জনাব ফজলুল রহমান, পুলিশ পরিদর্শক, ডিবি অফিস, ঢাকা-এর প্রতিবেদন পাওয়া গেল।

প্রতিবেদনে তিনি জানান যে, মামলার জিআর নামীয় আসামি এম ইউ আহমেদকে (৫৭) গ্রেফতারপূর্বক গোয়েন্দা বিভাগ অফিসে আনার পর সে বুকে ব্যথা অনুভব করে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন যে, আসামি হৃদরোগে আক্রানত্ম হয়েছে। তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতাল ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। আমি (আইও) সঙ্গে সঙ্গে আসামিকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় ও পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন ছিল।

আসামির চিকিৎসায় শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হইয়া আর তেমন কোন উন্নতি না হওয়ায় আসামির স্ত্রী তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর নিমিত্তে মৌখিকভাবে আমার নিকট আবেদন করেন। আবেদনের সময়ে আদালতের অফিস সময় অতিক্রানত্ম হওয়ায় আসামির উন্নত চিকিৎসাসহ জীবন বাঁচানোর জন্য মানবিক কারণে আমি (আইও) আসামিকে অস্থায়ী জামিনে মুক্তি প্রদান করি। আসামির স্ত্রী সেলিনা আহমেদ যথাযথ জামিননামার মাধ্যমে তাঁর স্বামীকে জামিনে গ্রহণ করেন। ম্যাজিস্ট্রেট আদেশে লিখেছেন, যাহা দেখিলাম। নথিতে সংরৰণ করা হোক।

আদেশনামার অনুলিপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসি ডিবি, ডিএমপি, ঢাকার নিকট প্রেরণ করা হলো বলে আদালতের নথিতে লেখা হয়। স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ১০ দিন : ১৬ আগস্ট রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তাঁর স্ত্রী সেলিনা আহমেদ জামিনে মুক্ত তাঁর স্বামী আইনজীবী এম ইউ আহমেদকে ভর্তি করান স্কয়ার হাসপাতালে। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যাপারে সাক্ষী হন এম ইউ আহমেদের ভাতিজা এ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক ও তাঁর এক শ্যালক। ১৬ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট পর্যনত্ম ১০ দিন স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ২৬ আগস্ট দুপুর ১টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।

মৃতু্যর আগ পর্যনত্ম স্কয়ার হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসায় ছিলেন আইনজীবী এম ইউ আহমেদ। স্কয়ার হাসপাতালের রিপোর্ট : স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আইনজীবী এম ইউ আহমেদের মৃতু্যর কারণ কি ছিল সেজন্য 'মেডিক্যাল সার্টিফিকেট অব কজ অব ডেথ' প্রদান করেছে। স্কয়ার হাসপাতালের দেয়া এ সার্টিফিকেটে উলেস্নখ করা হয়েছে যে, তার ছিল হার্ট বস্নক, নিউমোনিয়া, রক্ত দূষণ, জটিল কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিস, এ্যাজমা। এম ইউ আহমেদ ১৬ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট পর্যনত্ম স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে সার্টিফিকেটে উলেস্নখ করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট: শনিবার সকালে ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সেলিম হোসেনের উপস্থিতিতে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মদ কবির লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।

সুরতহাল রিপোর্টে জানানো হয়, লাশের দেহে কোন আঘাতের চিহ্ন (নো এবনরমালিটি ফাউন্ড) পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট: আঘাতজনিত বা নির্যাতনের কারণে আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু হয়নি। এ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত পুলিশী নির্যাতনে মমতাজ উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। মমতাজ উদ্দিনের স্ত্রী সেলিনা আহমেদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মমতাজ উদ্দিনের মৃত্যুর কারণ শনাক্ত করতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জুবায়দুল রহমানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।

মেডিক্যাল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন ডিএমসির এনাটমি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সেগুফতা কিশোয়ারা, প্যাথলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদ আলী ও ফরেনসিক বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক ডা. আখম সফিউজ্জামান। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। সকাল ১০টায় ময়নাতদন্ত শুরু হয়। দুপুর ১২টায় ময়নাতদন্তে শেষ হয়। মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান জনকণ্ঠকে জানান, মৃতের দেহে আঘাতজনিত বা নির্যাতনের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।

এ্যাডভোকেট আহমেদ নিউমোনিয়া, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রানত্ম ছিলেন। তাঁর মৃতু্যর কারণ আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৪টি আলামত ফরেনসিক ও মহাখালী রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জুবায়দুল রহমান ময়নাতদন্ত রিপোর্টটি রাজধানীর শেরে বাংলানগর থানার পুলিশ কনস্টেবল (নম্বর বিপি-৪০৯৯) আব্দুল হালিমের কাছে হসত্মানত্মর করেন। ময়নাতদনত্ম শেষে স্ত্রী সেলিনা আহমেদের কাছে মর্গ থেকে লাশ হস্তান্তর করা হয়। সূত্র: জনকন্ঠ এদিকে স্কয়ার হাসপাতালের এমইউ আহম্মদের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল জামিল বলেছেন,"হাইকোর্টে হট্রোগোলের মামলার আসামী বিএনপিপন্থী আইনজীবি মারাত্মক হার্ট এ্যাটার্কে মারা গেছেন।

কিছুতেই তার প্রেসার নিয়ন্ত্রন হচ্ছিলনা। হৃদরোগের পাশা-পাশি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সমস্যায়ও ভুগছিলেন তিনি। আর এ কারনে তিনি হাঁপাতেন। আর এ ধরনের হার্ট সমস্যার রোগী ৯০ ভাগই মারা যান। " কথাগুলো তিনি বলেছেন আমাদের সময়ের সাথে।

দেখুন বিস্তারিত এখানে। এখানে উপরোক্ত আলোচনা ও তথ্যের আলোকে এটা ষ্পষ্ট যে, এমইউ আহম্মেদ পুলিশের নির্যাতনে মারা যান নাই। মারা গেছেন মারাত্মক হার্ট এ্যাটার্কে। যে রোগে তিনি আগে থেকেই ভুগতেন। তবে আমাদের পুলিশের চারিত্রিক রেকর্ডের আলোকে তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা তাও পরিস্কার করে বলা যাবেনা।

যদিও প্রমানে বলে নির্যাতন করা হয়নাই। এখন আমার প্রশ্ন হল: তাঁকে যখন পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হল তখন তিনি জামিনে ছিলেন। তাহলে তাঁর উপর নির্যাতনের কাহীনিটি তাঁর মৃত্যুর আগে আমাদের দেশের বর্তমান মাঠ গরম করা বাঘা বাঘা তথা কথিত বুদ্ধিজীবি, বর্ষিয়ান আইজীবি (যাদের অতীত ইতিহার বিএনপির সাথে রাজনীতি) ও রাজনীতিবিদরা আবিস্কার করতে পারলেন না কেন ? তাঁর মৃত্যুর পর কেন ? আগে বললে নোংরা রাজনীতি করা যেতনা, তাই ? কারন তখনতো প্রমান করার উপায় থাকত। এখন যে তাঁর স্ত্রী সত্য কথা বলছে যে, এমইউ আহম্মদকে নির্যাতন করা হয়েছে এবং এ কথা তিনি বলে গেছেন, এটাই বা কতটুক বিশ্বাসযোগ্য। তাঁর স্ত্রীর ভাষা দেখেতো মনে হয় তিনিও কম রাজনীতি জানেন না।

ঢাল-নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার এবং অনেকটা হুজুগে নাচনে ওয়ালা মানবাধীকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান সাহেব এতদিন কোথায় ছিলেন ? উনাকেতো সব সময়ই দেখি ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেল ভুমিকায় ! আর কথাবার্তা অনেকটা বেসামাল ও বিবেক বর্জিত রাজনীতিবিদদের মত। এ পর্যন্ত কতটি মানবাধীকার কাজে অংশ নিয়েছেন ? কি কি কাজ করেছেন ? যদি কিছু করে থাকেনই, তা কি তিনি নিজে নিজেই করেছেন, না রাজনীতি ও ভবিষৎ দাওয়াই হিসাব করে করেছেন ? নাকি শুধু শুধু লম্ফ-জম্ফ পর্যন্তই ? কি কি প্রমানের ভিত্তিতে বিএনপি বলছে যে, পুলিশ নির্যাতনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে ? এটা কি রিয়েল না রাজনীতির হাতিয়ার তৈরীর উদ্দেশ্যে ? এ নোংরা রাজনীতি কি বন্ধ হবেনা ? নাকি এভাবে লাশ তৈরী করে আজীবন এ নোংরামী চলতেই থাকবে ? আজকের পুলিশকে কারা এ রকম তৈরী করেছে ? সাধারন জনতা না রাজনীতিবিদরা ? সাপ নিয়ে খেললে, সেই সাপে দংশন করলে তার দায় কার ? খেলোয়ারের না কি শুধু সাপেরই ? সাপকে ফনা তুলতে শিখিয়েছে কে বা কারা ? আর আজ যদি সেই সাপ তাদের সহ সাধারন জনতাকে দংশন করে তার দায় কার উপর বর্তাবে ? আবার যারা খেলোয়ার তাদেরকে কারা নির্বাচিত করে ? তারা কিভাবে এ দায়মুক্ত হবে ? তারা মানে দেশের সেই জনতা কেন দায় নিবেনা ? আমরা ওদের নির্বাচিত করে খেলতে না দিলে ওরা কি আমাদের জীবন ও সাপ নিয়ে খেলতে পারত ?...........এভাবে হয়ত হাজারো প্রশ্ন আসবে জবাব কি হবে ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.