শাদা পরচুল অন্ধকার সীমানাহীন আরক্তিম আকাশ খানি আমার;
কোন একদিন যদি ঢেকে যায়,
বেদনার পূর্ণ আঘাতে, বিদায়ী নীলে !
যদি আমার সাগরের সবটুকু জল স্রোতে,
মিশে থাকে-বিরহী নদীর কান্নাধারা
ছলছল ধ্বণির বেশে বুকফাঁটা হাহাকার ;
তবে, আর আসবো না তোমার কাছে ।
বলব না অন্তহীন এ সমুদ্র আর সুনীল আকাশের
ঘটাও মেলবন্ধন । ফিরিয়ে দাও ওদের,
হারানো সেই সুর আর হারানো সেই গান ।
নিশ্চিন্ত ভাবনাহীন দিনগুলো আমার, যদি হয়
বড় বিষন্ন, ক্লান্তির এক ইতিকথা !
বয়ে আনে দীঘল রাতের শেষ দীর্ঘশ্বাস;
যদি সোনালী স্বপ্নগুলো আসে শেষ হয়ে,
গুমড়ে মরে নিজের গন্ডির মাঝে !
আমার বাস্তব কাঁদে, তোমার অবাস্তবতার কষাঘাতে ;
ভয় নেই, জেনে রাখ, যাব না তোমার কাছে ।
বলব না- উচ্ছল দিনগুলি আর সাত রঙা স্বপ্ন,
ফিরিয়ে আনো ।
তার বুকে ঢালো আবার-
নতুন দিনের সুর, নব নব প্রাণ ।
কোনদিন যদি জল আসে দু চোখ ফেটে ।
কাজলে আমার কালো হয়ে যায়,
আমার অবুঝ খোকার, তুলতুলে দুটি হাত !
যদি জীবনে এসে ভর করে বিতৃষ্ণার খেলা,
বিদীর্ণ হিয়া সেধিয়ে যায়, আপন
শৃংখলে, তোমার সুখের সারথি হতে গিয়ে !
তখন,চলে যাব দূরে কোথাও, কোনদিন
আসব না তেমার কাছে । বলব না হৃদয়ে দিতে প্রাণ ;
আখি ভরে দিতে নতুন কাজলের রঙে ।
বলব না, ফিরে দাও টুকরো টুকরো আশা ।
রচনা : ২৪.১২.০৭
রাত্রি : ২.১০ টা
---------------------------------------------------
ফুটনোট : শেষ লিখেছিলাম অর্ধপূজা নামে অর্ধসত্য একটা কবিতা, যা অর্ধসমাপ্তই রয়ে গেল । সেই চার নভেম্বরের পরে আজ এই প্রথম লিখলাম । প্রায় দেড় মাস হল কিছু লিখি নি । কেন লিখিনি জানি না । আসলে আজ মনে হচ্ছে বেদনাই কবিতার মূল উৎস ।
সুখের কবিতা - সেও বেদনাকে পাশ কাটানোর অপপ্রয়াস । কারণ সুখের মূহুর্ত কয়টা ? সুখ দিয়ে দু:খ কে আড়াল করার চেষ্টাই আমরা করে যাই । হয় কি কোন লাভ ??
বরাবরের মত এবারের ঈদটা মাটি হয়ে গেল । বিধাতার কাছে প্রশ্ন, কি দোষ আমার ? যদি দোষ থাকে শাস্তি দাও, কেন আনন্দটুকু কেড়ে নাও । জীবনের সমস্তটা সময় আনন্দ কি খুজে বেড়ালাম পাইনি কোনদিন ।
আজ পেয়েছিলাম, কেন তা কেড়ে নিলে ??
------------------------------------------------
উৎসর্গ : প্রিয় বন্ধুরা, আগে প্রতিটা কবিতার নিচেই ফুটনোটের মত কিছু লাইন লিখে রাখতাম । এই কবিতার ফুটনোট টা বেশ বড়সড় । মজার ব্যাপার, তখন কলম দিয়ে লিখতাম । আসলেই এখন আর কলম দিয়ে লেখার এনার্জি পাই না । বারবার কাটতে হয়, খুব কষ্ট এক জিনিস বারবার লেখা ।
এই ফুটনোট টা দেখে অচেনা রাজ্যের রাজার কলমের আত্নকাহিনীর কথা মনে পড়ল । তাই কবিতাটা অচেনা রাজ্যের রাজাকে উৎসর্গ করলাম ।
ভালবাসা হেলাল মামাকে : আজকে কবিতাটা দিলাম প্রধানত হেলাল মামার জন্য । কদিন ধরে খালি ঘুমিয়ে থাকতে ইচ্ছা হচ্ছে । কিন্তু হেলাল মামা বারবার আমার দেয়ালে এসে নষ্ট ছেলের ইতিকথা দেখে চলে যাচ্ছেন ।
নতুন কোন পোস্ট নেই । খুবই লজ্জার ব্যাপার । তাই এখন টাইপ করে কবিতাটা দিয়ে দিলাম ।
আমার পরিবারের সদস্যরা আমার কবিতা লেখাকে মনে করেন একদম বেহুদা সময় নষ্ট । তাদের ধারণা এর মাধ্যমে আমি অপচয় করছি মূল্যবান সময় ।
তাই আজ ভাবছি, হেলাল মামার মত কবিতা প্রিয় কোন লোক যদি আমার বাবা হতেন তবে তিনি কি করতেন ?? আমি কবিতা র্লিখি দেখে খুশি হতেন ? প্রকাশকের কাছে দৌড়াদৌড়ি করে বই ছাপার ব্যবস্থা করতেন ?? নাকি সব বাবাদের মত তিনিও বলতেন, ওসব ছাইপাশ লেখার কোন মানে হয় না ? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।