পর্ব---১স্বপ্ন চূড়া- ১--- তারেক মাহমুদ
পর্ব---২ স্বপ্ন চূড়া- ২--- তারেক মাহমুদ
পর্ব---৪ স্বপ্ন চূড়া- ৪--- তারেক মাহমুদ
পর্ব---৫ স্বপ্ন চূড়া- ৫--- তারেক মাহমুদ
প্রচন্ড ঠান্ডায় হঠাৎ ঘুম ভেগে গেল আমার । আমি দরজার পাশে শুয়ে ছিলাম আর দরজাটা একটু ফাঁকা ছিল আর এতেই রাতের সকল ঠান্ডা বাতাস আমাকে কাপিয়ে তুলেছে । মোবাইল অন করে সময় দেখলাম । ভোর চারটা এখনো বাজেনি । এখন আর ঘুম আসবেনা ভেবে পাস থেকে জ্যাকেট নিয়ে গায়ে দিয়ে বসে রইলাম কিছু সময় ।
এরপর আস্তে আস্তে বাহিরে এলাম । পাহাড়ের প্রথম ভোর । চারিদিকে তাকালাম । এখনো আধাঁর কাটেনি । চারিদিকে সুন সান নিরবতা, এর মাঝে আমি একা জেগে আছি পৃথিবীর পথে…।
আস্তে আস্তে আধাঁর কেটে যাচ্ছে । চারপাশ দেখে মনে হল এই গ্রামটা বেশ ছোট । অল্প কিছু ঘর বাড়ি নিয়ে এই গ্রাম গড়ে উঠেছে । তবে এই পাহাড়টা বিভিন্ন ফুলে ভরে উঠেছে । যা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল ।
মোবাইলে এলাম বেজে উঠল, সাড়ে চারটা বেজে গেছে । আমি রুমে গিয়ে সবাইকে ডেকে দিলাম । কিন্তু কেউ উঠছেনা । সৌম্য ভাই শুধু হুম…হুও…ও..ও..ও… করে চুপ হয়ে আবার ঘুমাতে লাগলেন । মনা ভাইকে ডাকতেই উঠে বসলেন ।
আমি ক্যামেরা হাতে নিয়ে ঘরের বাহিরে বের হয়ে এলাম । শুভ্র হাওয়া আমাকে মাতাল করে দিল । আমাদের শহরে এ বাতাস স্বপ্নেও ভাবা যায়না । পাহাড়ে পাহাড়ে ফুলের সমারহ । পাহাড় যে আমার বাসায় সাদা কাঞ্চন আছে।
আর এটা লাল সাদা মিলিত একটা রং । দেখতে খুব ভাল লাগল । ছবি তুলতে তুলতে আরো কয়েক জন উঠে এসেছে । আর এর মাঝে আমাকে প্রকৃতি ডাকছে । পাশের টয়লেটে দৌড় দিলাম ।
সৌম্য ভাই বলেছিল আমাদের বনে জংগলে বসতে হতে পারে । কিন্তু এখানে বেশ সুন্দর ব্যবস্থা করা আছে । এরা স্যানিটেসনের ব্যাপারে বেশ সর্তক ।
ব্রাশ নিয়ে আমরা কয়েক জন পাহাড়ের নিচে সেই পানির পাইপের কাছে চলে এলাম । গতকাল রাতে আধাঁরের কারনে বুঝতে পারিনি কতটা নিচে নেমেছিলাম ।
কিন্তু ভোরের আলোয় বুঝতে পারলাম পানি অনেক নিচে ।
পাহাড়ের গা বেয়ে অনেক নিচে এসেই দেখি গতকাল রাতে আমি যেটাকে একটা পাইপ ভেবেছিলাম সেটা আসলে বিশাল আকৃতির বেশ কিছু বাঁশ জোরা দিয়ে পাইপের আকৃতি দিয়েছে । বাঁশের এক মাথা উপরে দূরে কোন এক ঝিরির মুখে বাঁধা আছে আর এই পাশে পরিষ্কার পানি চলে আসছে । আর বাঁশের ভিতর দিয়ে পাইপের মতো ছিদ্র । এই ছিদ্র কি ভাবে করল এটা ভেবেই পেলাম না ।
আস্তে আস্তে আমরা উপরে উঠে এলাম । বাকিরা সবাই বিছানা ছেরে উঠে গেছে । বাড়ির লোকজনদের দেখলাম উঠানে আগুন জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে ।
আমরা রুমে গিয়ে যার যার ব্যাক প্যাক গুছিয়ে নিলাম আর এই ফাঁকে মনা ভাই তার ল্যাপটপ চুলা জালিয়ে সকালের নাস্তা সুপ মিক্স তৈরি করছেন । এরপর পেলাম গরম গরম এক গ্লাস কফি ।
শরীর একদম চাংঙ্গ হয়ে গেল । নাস্তার পর্ব শেষ করে আমরা রওনা দিলাম বগালেকের উদ্দেশ্যে । এবার আমাদের সাথে গাইড হিসাবে এলেন সুভাষ দার শশুর সাধু ত্রিপুরা ।
আমরা গ্রামের পিছন দিয়ে বেশ কিছুটা সময় উপরের দিকে উঠলাম । এই পথটা খুব একটা খাড়া ছিলনা আর পাহাড়ের অনেক উপরে ছিলাম বলে সকালের সূর্যও আমাদের ধরতে পারেনি ।
কিন্তু বেশ পরিশ্রম হয়েছে এই পথটুকু হেটে আসতে নি ।
এরপর কিছুটা সময় আমরা হেঁটে এসেছি পাহাড়ের উপরে প্রায় সমতল পথ ধরে । চারিদিকে ঘন জংঙ্গল আর বাঁশ ঝাড় । এখান থেকেই সাধু দা আমাদের জন্য ছোট ও আরামদায়ক বাঁশ কেটে দিলেন । বেশ কিছুটা পথ চর্ড়াই উতরায়ের পর আমাদের সামনের পথে দেখতে পেলাম এক কিশোর আর এক কিশোরি ।
আমি আশে পাশে কোন গ্রাম দেখতে পেলাম না, তাই বুঝতেও পারলাম না এরা কোথা থেকে এসেছে ।
সময়ের সাথে সাথে এক সময় সূর্য আমাদের ধরে ফেলেছে । তবে সূর্যের আলোর তেমন তেজ ছিলনা । আর আমরা কিছুদূর এগিয়ে আসতেই চলে এলাম পাহাড়ের একেবারে উপরের শেষ প্রান্তে ।
এখান থেকে ঐ দূরে দেখা যাছে কুয়াশা আচ্ছন্ন কেওকারাডং রেঞ্জ ।
মাথা উচু করে মায়াবী এক ইশারায় আমাদের ডাকছে ।
এবার আমাদের নিচের দিকে নেমে যেতে হবে । নেমে যাবার পথটা প্রথম দশ মিনিট মোটামোটি ঢালু কম ছিল এরপর শুরু হল আমাদের আসল এডভেঞ্চার । সোজা খারা পথ দেখেই আত্তা রাম খাঁচা ছাড়া অবস্থা । এই পথে নামব কি ভাবে ভেবেই পাইনা ।
এই ঢালু পথের শুরুতেই ধুলূর মাঝে লুটিয়ে ছিল এক দুষ্ট বালকের হারিয়ে যাওয়া একটি মার্বেল বল । মনে মনে সাহস পেলাম এই ভেবে এই পথেই যেহেতু এই পথেই দুষ্ট বালকদের আনাগুনা, তাহলে অবশ্যই আমিও যেতে পারব ।
যেই ভাবা সেই কাজ আল্লাহ্ র নাম নিয়ে নামতে শুরু করে দিলাম। নিচের দিকে নামতে নামতে থমকে দাঁড়ালাম। সামনের বেশ কিছুটা পথ সুজা দেয়ালের মত নেমে গেছে।
আর এই পথ আরো ভয়ানক হয়ে ছিল ঝড়ে পড়া বাঁশ পাতার জন্য। আল্লাহ্ কে ডেকে বলি আল্লাহ্ এই পথ শেষ হয়না কেন? আমি বেশ ক্লান্ত হয়ে গেছি, আমার কাঁধ ব্যাথা হয়ে গেছে। শরীর ঘেমে একদম ভিজে গেছে, কিন্তু কিছুই করার নেই এখানে বিশ্রাম নেবার মত কোন জায়গা নেই। একবার মনে হল ব্যাগ প্যাকটিকে নিচে ছুড়ে ফেলি । আমার হাতের বাঁশ দিয়েই বাঁশ পতাগুলো সরিয়ে ক্লান্তিকে ভর করে আস্তে আস্তে নিচের দিকে নেমে আসছিলাম ।
বেশ কিছু সময় পরে একটু সমতল জায়গা দেখতে পেলাম ।
সমতলে আসার পর মনা ভাই আমাদের হাতে দু’টা করে খেজুর ধরিয়ে দিলেন । এখানে একটু বিশ্রাম নিয়ে ঢালো পথে আবার নামা শুরু করলাম । কিছু দূর নামার পর দূরে চ্যমা খাল পাড়াটি দেখতে পেলাম । আমরা আস্তে আস্তে নিচের দিকে নামছি আর দূর থেকে ঝিরির কল কল শুমধুর শব্দ আমাদের বিচলিত করছিল এই ভেবে যে কখন ঝিরির পানিতে নেমে শরীল একটু ঠান্ড করব ।
হাঁটতে হাঁটতে আমরা এক সময় পাহাড়ের নিচে ঝিরির পাশে চলে এলাম। আর এর সাথেই শেষ হল এই ভয়ানক পাহাড় বেয়ে নামার পর্ব । আর এদিকে এতোটা পথ পারি দিতে দিতে আমাদের পানির বোতল খালি প্রায় ।
ব্যাক প্যাক রেখে ঝিরির পানিতে নেমে আমরা হাত মুখ ধুয়ে নিলাম । ঝিরির পানি বেশ ঠান্ডা ছিল ।
এরপর ঝিরির পাশে বসে আমরা বিস্কুট খেয়ে ক্ষুধা মিটানোর বৃথা চেষ্টা করলাম ব্যাগ থেকে পানির খালি বোতল বেরকরে ঝিরি থেকে ভরে নিলাম । আর এর মাঝে রাকিব ভাই জানালেন প্রকৃতী তাকে ডাকছে । তাই তিনি প্রকৃতীর সাথে একাত্ত্ব হতে একটু দূরে এক ঝোপের ভেতর চলে গেলেন ।
রাকিব ভাই ফিরে এলে আমরা আবারো হাঁটতে শুরু করি । আমরা এখন চ্যামা খাল পাড়ার ভিতর দিয়ে হেঁটে চলেছি ।
এই গ্রামের পরে আমরা আবার এক ঝিরিতে নেমে গেলাম । এই ঝিরির দুই পাশে পাহাড়ি ঘন জঙ্গল আর বিশাল বিশাল গাছপালা দেখতে পেলাম । এই পাহাড়ি জঙ্গল আর বিশাল বিশাল গাছের কারনে সূর্য্যের আলো ঠিক মত নিচে পরছিল না আর ঝিরির পানি ছিল বেশ ঠান্ডা । ঠান্ডার কারনে হাঁটতে একটু কষ্ট হচ্ছিল তবে পাহাড় বাইতে হচ্ছে না ভেবেই ঠান্ডার কষ্ট ভুলে যাচ্ছিলাম । ঝিরির পানি বেশ পরিষ্কার ছিল, নিচের নূরি-পাথর সব দেখা যাচ্ছিল সাথে ছোট ছোট মাছ ।
পানির গভিরতা ছিল প্রায় তিন ফুটের মত । তবে এই গভিরতা ঝিরির কিছু অংশে ছিল । আর বাকি ঝিরি ছিল এক থেকে দেড ফুট এর মত ।
ঘন্টা খানেক ঝিরি পথে হাঁটার পর সামনে দেখলাম মুরং পুরুষের একটি ছোট দল। তারা আমাদের জানালেন সামনে টপলেস মুরং নারীর একটি দল কাজে যাওয়ার জন্য এই ঝিরি পথেই বের হয়েছে।
ওরা আপনাদের ভুল বুঝে দাঁ নিয়ে তারা দিতে পারে। তাই সাধুদা ও কয়েক জন মুরং পুরুষ আগে এগিয়ে গিয়ে আমাদের আসার কথা জানাল। টপলেস মুরং নারীর পথ থেকে সরে গেল আর কিছু মুরং নারীর কাপড় দিয়ে তাদের উর্ধাং ঢেকে দিল। আর আমরা তাদের পাশ কেটে চলে এলাম সমনের দিকে।
আমাদের বাংলাদেশে বসবাসকারী ৪৫টি আদিবাসী গোত্রের মধ্যে মুরংদের স্বাভাব সবচেয়ে বুনো প্রকৃতীর ।
মুরং নারী প্রধান সমাজ । সকল কাজেই মুরং নারীর অংশ গ্রহন করে থাকে । আর বিয়ের পর মুরং পুরুষ মুরং নারীর বাড়িতে এসে উঠে । এদের দেখা পাওয়া যায় বান্দরবানের বেশ কিছু দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় । অন্যান আদিবাসীদের কাছে এরা ছংছা নামে পরিচিত, যার অর্থ ‘পাহাড় চূড়ার বাসিন্দা’।
মুরংরা অন্য আদিবাসীদের এরিয়ে চলে । এদের নির্দিষ্ট কোন ধর্ম নেই । প্রথম দিকে মুরংরা শিকার নির্ভর ছিল । কিন্তু ইদানিং শিকারের অভাবে এরা জুম চাষ করছে আর তাই অনেকে দূর্গম পাহাড়ি এলাকা ছেড়ে অন্যান আদিবাসীদের কাছাকাছি এসে বসবাস করতে শুরু করেছে ।
আমরা আপন মনে বন পাহাড়ের মাঝে এই ঝিরি পথে হেঁটে চলেছি অনেকটা পথ ।
বিচিত্র সব গাছ, লতা পাতা আর নাম না জানা কতনা বাহারি ফুল দেখেছি এই ঝিরি পথে । এভাবে প্রকৃতির সাথে এক্যাত্ত হয়ে অনেকটা পথ চলে এলাম । চলার পথেই ঝিরিতে দেখতে পেলাম দুই বম নারীকে । তারা যাচ্ছিল গাছের শুকনো ডালপালা যোগার করার জন্য । তারা আমাদের দেখে কেমন যেন থতমত খেয়ে গেল ।
তারা আমাদের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল । আর যখনি আমি, মনা ভাই ও সৌম্য ভাই তাদের দিকে ক্যামেরা ফোকাস করলা তখনি তাদের একজন মুখ লুকিয়ে দাঁড়াল ।
তাদের অনুমতি ক্রমে ছবি তোলে আমরা আবার হাঁটতে লাগলাম। কিছু দূর পরে আমাদের সাথে দেখা হল ফুটবল হাতে একদল মারমা বালকের। ঠিক বুঝতে পারলাম না এরা এই পাহাড়ের মাঝে ফুটবল খেলার মাঠ পেল কোথায়!!! ঝিরির পাশে এক শুকনো জায়গা পেয়ে আমরা মিনিট পাঁচেকের জন্য দাঁড়ালাম।
আমরা লজেন্স ও ক্যান্ডি বের করে মুখে দিলাম আর ঐ পাহাড়ি বালকদেরও দিলাম। ওরা মহা আনন্দে লজেন্স ও ক্যান্ডি মুখে পুরে দিল। কিছু দূর যাওয়ার পর ঝিরির পানিতে মাছ ধরতে দেখলাম কিছু আদিবাসী মহিলাকে। জানতে পারলাম তারা এই ঝিরি থেকে ছোট ছোট মাছ ধরছে। এর কিছু দূর পরেই ঝিরি পথে পেয়ে গেলাম পাথরে গড়া এক প্রাকৃতীক সিংহাসন।
এখানে আমরা সবাই ছবি তুললাম। আরামের সিংহাসন ছেড়ে আমরা আবার হাঁটতে লাগলাম। পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে পাহাড়ি
ফুলের ছবি তুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি । কিছুদূর যাওয়ার পর আমরা এই ঝিরি থেকে উঠে আরেক ঝিরিতে গিয়ে নামলাম আর এই ঝিরির সমনে আমাদের বিস্ময় করে দাঁড়ীয়ে আছে বিশাল দেহী দুই গয়াল। গয়াল বর্তমান গরুর লাস্ট ওল্ড ভার্সন (গরুর আদি পিতা) ।
এর মাংশ ও দুধ অস্ট্রেলিয়ান গরুর চেয়ে বেশ উচু মানের । গয়াল এমনিতে খুব নিরিহ তবে শত্রু মনে করলে গুত দিতে পিছু পা হয়না । কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে গয়ালের ফটোসেশন করলাম । এর পর গয়াল বাবাজী হঠাৎ হামবা… বা… বা…বা… করে উঠল । সৌম্য ভাই খুব সম্ভবত একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিল ।
তাই সে বলে উঠল…. চলেন চলেন সামনে আগাই, গয়াল মনে হয় বিরক্ত হচ্ছে ।
গয়ালকে পিছনে রেখে আমরা সমনের এক বাঁক পেরুতেই মারমা ছেলেরা জানাল সামনের ঐ পাহাড়ের চূড়ায় হচ্ছে বগালেক । পাহাড়ের চুড়াটা দেখে এবার মনে মনে একটু শান্তি পেলাম । যদিওবা ঐ পাহাড় এখনো অনেক দূরে । আমরা ঝিরি পথ থেকে সূর্য্যকে নিয়ে উঠে এলাম জনেরাশ পাড়া নামের মুরং দের গ্রামে ।
এই গ্রামে তেমন বাড়ি ঘর নেই । আর কোন মানুষ জন দেখতে পেলাম না । আমরা যে পথ ধরে যাচ্ছি তার এক পাশে মুরংদের একটি ঘর আর এক পাশে মাঝারি আকারের একটি তেতুল গাছ । তেতুল গাছের নিচে সবাই ব্যক প্যাক রেখে বাড়ির উঠনে বসে পানি চকলেট বেরকরে খেতে লাগলাম ।
মনা ভাই তেঁতুল গাছের দিকে তাকিয়ে দেখে গাছ ভর্তি তেঁতুল ।
আর বকর ভাই গাছের নিচে গিয়ে হা হয়ে তাকিয়ে দেখছে পাঁকা পাঁকা তেঁতুল গাছে ঝুলছে, কিন্তু পারবে কি ভাবে। গাছে পাঁকা তেতুল আর পেটে ক্ষুধার জ্বালা…..আমি উঠে পরলাম গাছে ।
গাছ পাঁকা তেঁতুল দিলাম সবার হাতে । সবাই খোশা ছারিয়ে খাওয়া শুরু করে দিল পাকা তেঁতুল। তুতেল গুলা যেমন টক ছিল তেমনি লোভনিয়, বেশ বড় বড় সাইজ, দেখলেই জ্বিভে জল চলে আসে।
এর মাঝে আমরা যে বাড়ির উঠনে বসে ছিলাম সে বাড়ির এক বৃদ্ধা মহিলা এসে হাজির । তার কাছে আমরা লবন চাইলাম । কিন্তু সে আমাদের কথা বুঝতে পারছেনা ।
তারপর তেঁতুল দেখিয়ে বললাম খাব । তখন সে বুঝতে পেরে আমাদের লবন এনে দেয় ।
এবার তেঁতুল খাওয়া কাকে বলে…….। সবার তেঁতুল খাওয়া দেখে মনে হল এরা এই জীবনে যে আর কখনও তেঁতুল খায়নি । আসলে সারাদিনের পরিশ্রম ও ক্লন্তির পর তেঁতুলকে মনে হয়েছিল অমৃত্যের স্বাদ।
তেঁতুল খেলে কি আর পেঁটের ক্ষুধা যায়!!! শুধু পেঁটটাকে মিছে সান্তনা দেয়া
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।