© ২০০৬ - ২০১১ ত্রিভুজ অপরাধী অপরাধী-ই, অপরাধীর কোন ধর্ম নেই। কারণ ধর্ম পরিষ্কার ভাবেই অপরাধের বিপরীতে অপস্থান করে। আর তাই কারো অপরাধে তার ধর্মীয় পরিচয় তুলে ধরাটা হয় অপরিপক্কতা নতুবা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ব্যপার।
গত কয়েক মাসে দেশে 'পরিমল জয়ধর' সহ আরো প্রায় গোটা দশেক হিন্দু শিক্ষকের নামে যৌন হয়রানী ও ধর্ষনের অভিযোগ এসেছে। সেসব নিউজের শিরোনামে তাদের "হিন্দু" পরিচয় তুলে ধরতে দেখা যায়নি কিন্তু যখনই কোন মুসলিম নামধারী অপরাধীর নামে নিউজ হয় তখন সেখানে "ইমাম", "মাদ্রাসার শিক্ষক" ইত্যাদি বিশেষন ব্যবহারে সংবাদ সংস্থাগুলোকে বেশ আগ্রহী দেখা যায়।
এটা যে শুধুমাত্র আমাদের দেশেই হয় তা কিন্তু নয়। কিছুদিন আগে নরওয়ের বর্বরোচিত হামলার বিষয়ে আমি ফেসবুক ও কিছু বিদেশি নিউজ সংস্থায় "ইসলাম"-কে দায়ী করে নিউজ ও প্রচুর স্ট্যাটাস দেখিছি। যখনই প্রমাণীত হলো যে আক্রমণকারী "মুসলিম" নয় তখন আর তার ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে কোথাও কোন আওয়াজ শোনা গেল না। এটা হচ্ছে বর্তমান চলমান বিশ্বের একটা বাস্তবতা।
বিষয়টা এখন অনেকটা এরকম দাঁড়িয়ে গিয়েছে- (ইন্টারনেটে অনেক প্রচলিত একটা কৌতুকের ফরম্যাটে)-
এক আরব মুসলিম নিউইয়র্কের এক পার্কে একটা কুকুরের আক্রমণ থেকে এক ব্যক্তিকে রক্ষা করতে কুকুরটিকে গুলি করে মেরে ফেলে।
ঘটনা দেখে সংবাদ কর্মীরা সাথে সাথে ছুটে আসে, লোকটির সাহস ও সাহায্যের প্রশংসায় তারা পঞ্চমুখ-
সাংবাদিকঃ আপনি নিশ্চয় একজন সাহসী নিউইয়র্কবাসী
ব্যক্তিঃ না, আমি তা নই
সাংবাদিকঃ তাহলে নিশ্চয় একজন মহৎ হৃদয় আমেরিকান
ব্যক্তিঃ না, আমি একজন আরব মুসলিম
পরেরদিন পত্রিকায় খবর বের হলো-
"সন্ত্রাসী আরব মুসলিমের গুলিতে একটা নিরীহ কুকুরের জীবন নাশ"
দুঃখজনক হলেও, এটাই বাস্তবতা! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।