ফরিদপুর মফস্বল শহর। এটি উন্নত না হলেও উন্নয়নশীল শহর। এই শহরে আছে ৬টি সরকারি কলেজ , ৩ টি বেসরকারি কলেজ, ৭টি সরকারি স্কুল, কয়েকটি বেসরকারি স্কুল, ৩টি মাদ্রাসা। ২৫০ শয্যা মেডিকেল হাসপাতাল, সরকারি হাসপাতাল ১টি।
এই শহর এর মাঝে আছে কুমার নদী যা শহরটিকে দুটি ভাগে ভাগ করছে।
একপাশে বাজার থাকায় নামকরণ করা হয় এপারবাজার , এবং শহরের অন্য পাশকে ওপারবাজার। বাজার এবং শহরের যোগাযোগ মাধ্যম দুটি ব্রিজ, একটি আলিপুর ব্রিজ এবং অন্যটি লোহার ব্রিজ।
লোহার ব্রিজ টির বয়স কয়েক যুগ। কালের বিবর্তনে এর আর বিবর্তন হয়নি, হয়েছে ক্ষয় ।
আব্বু’র কাছে শুনেছি এর নিচে দিয়ে একসময় লঞ্চ-ইস্টিমার চলত।
কালের সাথে তা এখন শুধুই গল্প কথা। বয়স এর সাথে জীর্ণ হয়েছে ব্রিজটি , হয়নি কোন মেরামত না পূর্ণ দেখাশুনা। কোথাও ক্ষতি হলে দায় সারা ভাবে হাতুড়ে ডাক্তারের মত পট্টি পরেছে এখানে ওখানে। রেলের স্লিপার আর লোহার পাতে গড়া এই ব্রিজটি প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কে বাজার পারাপার করাচ্ছে।
বৃদ্ধ ব্রিজটি কাল পর্যন্ত বয়সের ভার আর কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
কিন্তু আজ তাকে দেখলাম ভেঙ্গে পরেছে কুমার নদীতে সরকারের অবহেলার ভারে।
গতকাল রাতে চিটাগাং থেকে রেল লাইনের জন্য আনা পাথর ভরা ৬টি ট্রাক এর একটি ভুলবশত এই ব্রিজটি পার হতে যেয়ে ব্রিজ সহ ভেঙ্গে পড়ে। এই ব্রিজ এর কোন পাশেই নেই কোন সাইনবোর্ড , যা ভারী কোন যানবাহন কে সাবধান করতে পারে।
এই ব্রিজ আমাদের ফরিদপুরবাসীর বাজার আর শহরের যোগাযোগ মাধ্যম এর একটি , আমাদের অনেক অতীত ঘটনার নিরব সাক্ষী। সরকার এর অবহেলা আর তত্ত্বাবধানের অভাবে আজ ফরিদপুরবাসী ব্রিজটিকে হারাল।
এই ক্ষতির দায় ভার কে নেবে ? সরকার না ফরিদপুরবাসী ?? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।