একজন খেটে খাওয়া-শ্রমজীবী মানুষ। নিজের অধিকারের কথা বলতে চাই ও অন্যের শুনতে চাই। তাই বলে দেশ, দেশের মাটি, আলো-বাতাশ ও মানুষকে বাদ দিয়ে নয়। মজুরি কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন ২৭ সেপ্টেম্বর
আগামী ঈদেও বাড়তি বেতন পাচ্ছে না রাষ্ট্রায়ত্ত কলকারখানার লক্ষাধিক শ্রমিক
জাফর আহমেদ
এক বছর আগে 'জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন' গঠিত হলেও ঈদের আগে কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারছে না। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কমিশন গঠিত হওয়ার সময় চার মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়।
এরপর নানা অজুহাত দেখিয়ে কমিশন ছয় মাস কোন কাজই শুরু করতে পারেনি। এ সময়ের মধ্যে জীবন নির্বাহের ব্যয় বৃদ্ধি পায় কয়েক গুণ। বৃদ্ধি পায় ভোগান্তি। একই সময়ে বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে কমিশন শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করে ২৭ সেপ্টেম্বর। ফলে আগামী ঈদেও বাড়তি বেতন পাচ্ছেন না রাষ্ট্রায়ত্ত কলকারখানাগুলোর লক্ষাধিক শ্রমিক।
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করে। বাদ পড়ে যায় রাষ্ট্রায়ত্ত জুট, চিনি, ইস্পাত ও লৌহ এবং রসায়ন শিল্পের লক্ষাধিক শ্রমিক। সে সময় বাজারদর অতি মাত্রায় বৃদ্ধি হওয়ার কারণে শ্রমিকদের জীবন নির্বাহের খরচ বেড়ে যায়। এ জন্য শ্রমিকরাও বেতন বৃদ্ধির জোর দাবি জানাতে থাকে। চিনিসহ কয়েকটি সেক্টরের শ্রমিকরা আন্দোলন করে।
ফলে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া তিন মাসের মধ্যে বেতন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিলে শ্রমিকরা কর্মসূচি স্থগিত করে। এবং এর পরপরই চার মাস সময় দিয়ে সাবেক সচিব মাহে আলমকে প্রধান করে গঠিত হয় 'জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১০'। সময় দেয়া হয় চার মাস কিন্তু মাহে আলম কমিশন ছয় মাসে একটিও বৈঠক করতে পারেনি। এ সময় শ্রমিকরা আবার বেতন বৃদ্ধির জোরালো দাবি জানায়, কমিশনের বিরুদ্ধে সমালোচনাও উঠে বিভিন্ন মহল থেকে। ফলে কমিশন গঠন হওয়ার সাড়ে আট মাস পর বসে কমিশনের প্রথম বৈঠক।
সে সময় মাহে আলম কমিশনের ব্যর্থতা নিয়ে লেখালেখিও হয় বিভিন্ন সংবাদপত্রে। আবার নতুন করে সময় নির্ধারণ করা হয় এবং তারই ধারাবাহিকতায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৭ সেপ্টেম্বর।
এ ব্যাপারে জুটকল শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের নেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এটা খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত যে মজুরি কমিশন চার মাস সময় নিয়ে এক বছর অতিক্রম করলেও শ্রমিকদের জন্য মজুরি ঘোষণা করতে পারেনি। জানা গেছে, মজুরি বোর্ড সবেমাত্র কাজ শুরু করেছে। যে দিনই কাজ শুরু করুক দ্রুততম সময়ের মধ্যে মজুরি ঘোষণা করতে হবে এবং ২০০৯ সাল থেকে তা কার্যকর করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, গত বছর ঈদের আগে শ্রমিকদের ২ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছিল, জীবন নির্বাহের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার সে টাকা বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করতে হবে।
এ ব্যাপারে চিনি শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল হক বলেন, শ্রমিকদের কথা দিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমাদের কথা রাখেননি। সেপ্টম্বরেও যদি মজুরি ঘোষণা না হয়, আমরা আবার আন্দোলনে যাব।
রসায়ন শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, মজুরি কমিশন চলছে ইচ্ছামতো। স্বাধীনতার পর থেকে যাদের নিয়ে কমিশন গঠিত হয়েছে তাদের কেউই রসায়ন শিল্পের ছিলেন না।
মজুরি কমিশনের ফাইনাল রিপোর্ট দেয়ার আগে সব সেক্টরের শ্রমিকদের মতামত শোনা উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জাফর আহমেদ
এক বছর আগে 'জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন' গঠিত হলেও ঈদের আগে কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারছে না। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কমিশন গঠিত হওয়ার সময় চার মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়। এরপর নানা অজুহাত দেখিয়ে কমিশন ছয় মাস কোন কাজই শুরু করতে পারেনি। এ সময়ের মধ্যে জীবন নির্বাহের ব্যয় বৃদ্ধি পায় কয়েক গুণ।
বৃদ্ধি পায় ভোগান্তি। একই সময়ে বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে কমিশন শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করে ২৭ সেপ্টেম্বর। ফলে আগামী ঈদেও বাড়তি বেতন পাচ্ছেন না রাষ্ট্রায়ত্ত কলকারখানাগুলোর লক্ষাধিক শ্রমিক।
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করে। বাদ পড়ে যায় রাষ্ট্রায়ত্ত জুট, চিনি, ইস্পাত ও লৌহ এবং রসায়ন শিল্পের লক্ষাধিক শ্রমিক।
সে সময় বাজারদর অতি মাত্রায় বৃদ্ধি হওয়ার কারণে শ্রমিকদের জীবন নির্বাহের খরচ বেড়ে যায়। এ জন্য শ্রমিকরাও বেতন বৃদ্ধির জোর দাবি জানাতে থাকে। চিনিসহ কয়েকটি সেক্টরের শ্রমিকরা আন্দোলন করে। ফলে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া তিন মাসের মধ্যে বেতন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিলে শ্রমিকরা কর্মসূচি স্থগিত করে। এবং এর পরপরই চার মাস সময় দিয়ে সাবেক সচিব মাহে আলমকে প্রধান করে গঠিত হয় 'জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১০'।
সময় দেয়া হয় চার মাস কিন্তু মাহে আলম কমিশন ছয় মাসে একটিও বৈঠক করতে পারেনি। এ সময় শ্রমিকরা আবার বেতন বৃদ্ধির জোরালো দাবি জানায়, কমিশনের বিরুদ্ধে সমালোচনাও উঠে বিভিন্ন মহল থেকে। ফলে কমিশন গঠন হওয়ার সাড়ে আট মাস পর বসে কমিশনের প্রথম বৈঠক। সে সময় মাহে আলম কমিশনের ব্যর্থতা নিয়ে লেখালেখিও হয় বিভিন্ন সংবাদপত্রে। আবার নতুন করে সময় নির্ধারণ করা হয় এবং তারই ধারাবাহিকতায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৭ সেপ্টেম্বর।
এ ব্যাপারে জুটকল শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের নেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এটা খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত যে মজুরি কমিশন চার মাস সময় নিয়ে এক বছর অতিক্রম করলেও শ্রমিকদের জন্য মজুরি ঘোষণা করতে পারেনি। জানা গেছে, মজুরি বোর্ড সবেমাত্র কাজ শুরু করেছে। যে দিনই কাজ শুরু করুক দ্রুততম সময়ের মধ্যে মজুরি ঘোষণা করতে হবে এবং ২০০৯ সাল থেকে তা কার্যকর করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, গত বছর ঈদের আগে শ্রমিকদের ২ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছিল, জীবন নির্বাহের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার সে টাকা বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করতে হবে।
এ ব্যাপারে চিনি শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল হক বলেন, শ্রমিকদের কথা দিয়ে শিল্পমন্ত্রী আমাদের কথা রাখেননি।
সেপ্টম্বরেও যদি মজুরি ঘোষণা না হয়, আমরা আবার আন্দোলনে যাব।
রসায়ন শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, মজুরি কমিশন চলছে ইচ্ছামতো। স্বাধীনতার পর থেকে যাদের নিয়ে কমিশন গঠিত হয়েছে তাদের কেউই রসায়ন শিল্পের ছিলেন না। মজুরি কমিশনের ফাইনাল রিপোর্ট দেয়ার আগে সব সেক্টরের শ্রমিকদের মতামত শোনা উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।