আমি ছিলাম,আছি এবং থাকব...। । লন্ডনের চলমান সহিংসতার একটি বড় কারণ হলো বিভিন্ন সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট বা বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রচারিত গুজব। বিবিসি প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ তথ্য ওঠে আসে। প্রকাশিত রিপোর্টের একটা উল্লেখযোগ্য দিক হলো এতে টুইটার এবং ফেইসবুকের মাধ্যমে কিভাবে দ্রুত একটা গুজব ছড়িয়ে পড়তে পারে তা সরলভাবে বিবৃত হয়েছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে, মার্ক ডুগান মৃত্যুর পর গুজব ওঠে একটা টিন এজার মেয়ে বিক্ষোভের সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ে মারে। এর পর পরই পুলিশ মেয়েটিকে ব্যাপক মারধর করে।
এ খবর খুব দ্রুতই টুইটারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরই শহর জুড়ে বিভিন্ন বয়সী তরুণরা সংঘর্ষে মেতে ওঠে।
জানা গেছে, সোমবার টুইটারে পোস্ট যেখানে ছিলো ৩ হাজার বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা হয় ১৩ হাজারের বেশি।
একই সময়ে ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ হাজার থেকে ৮ হাজারে পৌছায়।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারটা তদন্ত করছে পুলিশ।
নর্কফোক পুলিশ টুইটার এবং ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছে।
টুইটার ও ফেইসবুক এর অপব্যবহার সম্বন্ধে মনোবিজ্ঞানী আলেক্স ক্রটস্কি বলেন, এসব সাইটের সবচেয়ে খারাপ দিক হলো এর মাধ্যমে গুজব খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট কমিশনার স্টিভ কাভানাহ বলেন, সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর মাধ্যমে ক্রিমিনাল কর্মকান্ড বাড়ছে।
এটা বিভিন্ন জনের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন দাঙ্গায় সোস্যাল সাইটগুলোর অপব্যবহার পর্যালোচনার আহবান জানিয়েছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।