ইসলামের পথে থাকতে চেষ্টা করি...। বিএনপি সমর্থিত ঢাকার ওয়ার্ড কমিশনার সায়েদুর রহমান নিউটন হত্যামামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া তিন জনকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অন্য সাতজনের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে শীর্ষসন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীরও রয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়াদের সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া তিন জনকেও খালাস দেওয়া হয়েছে।
বিচারিক আদালতে দণ্ডাদেশ পাওয়া ১৬ জনের মধ্যে নয় জনের আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ রায় দেয় বিচারপতি মো. ফজলুর রহমান ও বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহের বেঞ্চ।
সংশ্লিষ্ট কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ভীষ্মদেব চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ছয় জনকে খালাস দিয়েছেন।
এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া তিন জনকে বিচারিক আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলো। এই বিবেচনায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বাকি সাত জনকেও দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়াদের মধ্যে আব্বাস ওরফে কিলার আব্বাস, ইব্রাহিম খলিল এবং জাকির হোসেন খান ওরফে জাকির খালাস পেয়েছেন। খালাস পাওয়া অন্য তিন জন হলেন- যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ পাওয়া শওকত হোসেন, নাজমুল হাসান ওরফে বেঙ্গাবাবু এবং মো. কামাল হোসেন।
এছাড়া খোরশেদ (পলাতক), শাহাদাত হোসেন (পলাতক), মুনির হোসেন (পলাতক), কালা জাহাঙ্গীর (পলাতক), কাজী মো. ইসরাইল (পলাতক), কাজী তওফিক আলম পিয়াল (পলাতক), সাদেকুল ইসলাম চৌধুরী সাগরের (পলাতক) মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত মো. আইয়ুব, রাসেল ওরফে ঝন্টু রাসেল ও মো. রুবেল হোসেনের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
২০০২ সালের ১০ মে ধানমণ্ডির অর্কিড প্লাজার সামনে গুলিতে নিহত হন মিরপুর থানার বিএনপি নেতা নিউটন। তিনি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর ভগ্নিপতি।
হত্যাকাণ্ডের দিনই নিউটনের মা রাবেয়া বেগম বাদি হয়ে ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
২০০৬ সালের ২৪মে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ ওই মামলায় দুই জনকে খালাস দিয়ে ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
বিচারিক আদালতে মো. আইয়ুব, মো.রুবেল হোসেন ও শওকত হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ছয় জনসহ আব্বাস, ইব্রাহিম খলিল এবং জাকির হোসেন হাইকোর্টে আপিল করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম এবং নিজামুল হক নিজাম।
আসামি জাকির ও কামালের পক্ষে অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান, ইব্রাহিম খলিলের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী, শওকতের পক্ষে আজিজুল হক হাওলাদার শুনানি করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।