আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংগ্রামের ৪০ বছর ,স্বাধীনতা সম্মাননা পুরস্কার এবং নিজের মৃত্যুদন্ডের দাবী

তবে তাই হোক, ক্লান্তিহীন তিল তিল আরোহনে সত্য হোক বিক্খুব্ধ এই জীবন _____ . . শিরোনামটা একটু বিদঘুটে হলেও স্বাধীনতার ৪০ বছরে আমরা কি পেয়েছি একটুও স্বত্বির রেশ ? দেশ স্বাধীন হলো, গনতান্ত্রিক সরকার গঠন হলো , তবুও আমরা পরাধীন ছিলাম নিজেদেরই কাছে। গনতান্ত্রিক সরকার কতদিন ছিল সবার জানা। তারপর সৈরশাসন+??????+ সৈরশাসন+তত্বাবধায়ক সরকার+ গনতান্ত্রিক সরকার+ তত্বাবধায়ক সরকার+ গনতান্ত্রিক সরকার+ তত্বাবধায়ক সরকার+ গনতান্ত্রিক সরকার+!!!!!!!!???????+ তত্বাবধায়ক সরকার(সৈরশাসন)+ গনতান্ত্রিক সরকার (!) অদ্ভুত হলেও সত্য এ দেশ সরকার শূন্য ছিল দু’দিন(!)। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক ঘটনা জানা আপনার আমার, কিন্তু এদেশের নজীর বিহীন ঘটনাগুলো একটু অন্য রকম বলেই স্বাধীনতার ৪০ বছরেও , সংগ্রামের ৪০ বছর বলতে হচ্ছে। আজ স্বাধীনতার ৪০ বছরে জুলাই মাসের ২৫ তারিখে হঠাৎ করেই / কাকতালিয়ভাবেই স্বাধীনতা সম্মাননা পুরস্কার দেয়া হলো ভারতের প্রয়াত ‘‘প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে” মূলত পুরস্কারটি কি ‘‘ শ্রীমতি সোনীয়া গান্ধীকে” দেয়া হলো না , বর্তমান সরকারের অবস্থান শক্ত করার জন্য? এর পক্ষে আমার যুক্তিগুলো হচ্ছে ঃ ১।

মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য প্রথমে পুরস্কারটি কি ‘জর্জ হ্যারিসন’ কে দেওয়া যেতনা? ‘জর্জ হ্যারিসন’ নিশ্চই ‘শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর’ চেয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনেক বেশী অবদান রেখেছেন। ২। কংগ্রেস যখন বিরোধী দলে তখন কেন পুরস্কারটি দেওয়া হলোনা? ৩। আমার জানা মতে ‘সোনীয়া’ বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করার পরই ‘স্বাধীনতা সম্মাননা পুরস্কার’ এর পরিকল্পনা করা হয়। ৪।

আমরা জানি কোন একটি ‘সম্মাননা পুরস্কার’ এর জন্য আলাদাভাবে আমন্ত্রন জানানো হয় কিন্তু এখানে আমন্ত্রণ জানিয়ে পুরস্কার দেওয়া হলো। ৫। আমরা জানি ‘সোনীয়া’ বাংলাদেশে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন, আর এসেই নিয়ে গেলেন অনেক কিছু। ৬। ১২ হাজারেরও বেশী নিরাপত্তারক্ষী।

উপরের যুক্তিগুলো একান্তই আমার এবং একান্ত আমিই বলছি কি প্রয়োজন ছিল পুরস্কারটির মূল্য ৮০ লক্ষাধিক টাকা করার? আমি সম্মাননার বিপক্ষে নই সম্মাননা তো সম্মাননাই সেটা পিতলের হোক আর স্বর্ণের, এটা দেশের সবোর্চ্চ সম্মাননা পুরস্কার এটাই যথেষ্ট। নাকি আমাদের সরকার এদেশটাকে অনেক ধনী ভাবছেন/ভাবাচ্ছেন, ভাবছেন কি এদেশের সকল সমস্যা তারা সমাধান করে ফেলেছেন ? তাদের বলতে চাই ঃ মাত্র একদিন পাবলিক বাসে করে অফিসে চলেন অফিস থেকে বাসা যান, আমার বিশ্বাস তার পরদিন আপনি অফিস করতে পারবেন না ! মাত্র একদিন এই গরমে প্রটোকল ছাড়া থাকেন (লোড শেডিং এ) আমার বিশ্বাস তার পরদিন আপনাকে হাসপাতালে নিতে হবে। মাত্র একদিন প্রটোকল ছাড়া সরকারী কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান , চিকিৎসার অভাবে শেষ পর্যন্ত আপনি মরে যাবেন। কিন্তু আমরা ম্যাংগো ম্যানরা বছরের পর বছর এভাবেই মরে গিয়ে বেছে আছি। আমরা কিভাবে আছি ? আপনাদের সুযোগ সুবিধা বাড়ছে যা কমার নয়, আমাদের কষ্ট বাড়ছে যা কমার নয়।

এ সংগ্রাম আমাদের এবং আমাদের পরবর্তি প্রজন্মের। আর তাই মাঝে মাঝে নিজের মৃত্যুদন্ডের দাবী তুলতে ইচ্ছে হয় খুব সংগ্রামে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.