হে নারী তোমায় সালাম ।
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুল চাষ করছেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কান্দিলা গ্রামের স্কুলশিক্ষক খন্দকার পারভীন সুলতানা। স্বামী মাহবুবুর রহমান খান এই ফুল চাষ শুরু করলেও তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর পর এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেন পারভীন সুলতানা। ফুলের চাষ করে এলাকার বেকারদের দেখিয়েছেন সম্ভাবনার পথ। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কামনাশীষ শেখর
আপনি ফুল চাষ করছেন—এর মূল কারণ কী?
ফুলের প্রতি রয়েছে আমার দুর্বলতা।
সৌন্দর্যের প্রতীক ফুল সবাই ভালোবাসে। তা ছাড়া এই ফুল চাষ করে বেশ আয় করাও সম্ভব। তাই আমি ফুল চাষ করছি।
আপনি কীভাবে ফুল চাষে আগ্রহী হলেন?
৮৮ সালের বন্যার পর আমার স্বামী মাহবুবুর রহমান খান ফুলের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। কয়েকটি গোলাপ ফুলের চারা দিয়ে বাড়ির সামনে বাগান করেন।
একসময় দুই শতাধিক জাতের ফুলের বাগান সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। পরে তিনি ভারত থেকে জারবেরা ফুলের চারা এনে বাড়ির পাশের একটি জমিতে চাষ শুরু করেন। ২০০৯ সালে আমার স্বামীর মৃত্যুর পর সব এলোমেলো হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এ সময় আমি হাল ধরি। প্রথম প্রথম বুঝতে একটু অসুবিধা হলেও এখন আর কোনো সমস্যা হয় না।
ফুল চাষ থেকে কেমন আয় হয়?
জানুয়ারি থেকে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত জারবেরা ফুলের ভরা মৌসুম। এ সময় সপ্তাহে তিন দিন ফুল সংগ্রহ করা যায়। প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার ফুল সংগ্রহ হয়। এগুলো ঢাকায় পাইকারি বিক্রি করা হয়। সব খরচ বাদে সময়ভেদে দুই থেকে তিন টাকা প্রতি ফুলে লাভ থাকে।
বছরের অন্য সময় ফুলের উৎপাদন কমে যায়। তবে তখন দাম বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
ফুল চাষে কি স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব?
ফুল চাষ করে মনের আনন্দের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হওয়া যায়। তাই বেকাররা যদি নিজের বাড়ির আশপাশে পতিত জায়গা-জমিতে ফুল চাষ করে, তবে তারা অনায়াসে স্বাবলম্বী হতে পারবে।
প্রথম আলো কে ধন্যবাদ এই প্রতিবেদন টি প্রকাশ করার জন্য ।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।