নয় কোটি নাগরিককে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সাড়ে ১৯ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে সরকার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব আরাস্তু খান ও বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর তাহসিন সাইদ বৃহস্পতিবার এই চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, 'আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সড এক্সেস টু সার্ভিস' নামের এই প্রকল্পের আওতায় জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের জন্য একটি 'পূর্ণাঙ্গ ও নির্ভুল' তথ্যভাণ্ডার ও নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে।
আরাস্তু খান বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় 'নিরাপদ, নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য' জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এছাড়া এর মাধ্যমে আরো কার্যকর ও স্বচ্ছ সেবা দেওয়ার ভিত্তি গড়ে উঠবে।
"নতুন এ পরিচয়পত্রে একজন নাগরিকের প্রয়োজনীয় সব ধরনের তথ্য থাকবে, যা তার জীবনের সব ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। "
তিনি বলেন, বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্রের নিরাপত্তা যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। কেউ চাইলে নীলক্ষেত থেইে একটি নকল জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে নিতে পারেন।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সেবা পেতে নাগরিকদের 'সুবিধা' হবে বলেও উল্লেখ করে অতিরিক্ত সচিব বলেন, জমি কেনা-বেঁচা (হস্তান্তর), কর প্রদান বা একটি নতুন ব্যাংক হিসাব চালু এবং মোবাইল ফোনের সিমকার্ড কেনার ক্ষেত্রেও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
"এই কার্ডের ফলে সরকারি ও বেসরকারি- উভয় খাতই তথ্য যাচাইয়ের সুবিধা পাবে এবং সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বাড়বে", বলেন তিনি।
এই পরিচয়পত্র জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার হবে কি না জানতে চাইলে আরাস্তু খান বলেন, "সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। "
ইআরডি বিভাগের অতিরিক্তি সচিব বলেন, ভোটার সম্পর্কিত তথ্যভাণ্ডার নির্বাচন কমিশনের সংগ্রহে রয়েছে এবং কোনো ভোটারকে চ্যালেঞ্জ করা হলে তিনি প্রমাণ হিসেবে তার পরিচয়পত্র দেখাতে পারেন।
এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের তথ্যকেন্দ্রকে আরো বি¯তৃত করার পাশাপাশি কুমিল্লায় একটি 'ব্যাক-আপ তথ্যকেন্দ্র' গড়ে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।
এ প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। বিশ্বব্যাংকের ঋণের বাইরে প্রয়োজনীয় ২০ লাখ ডলার সরকারই যোগাবে।
এই ঋণের বিপরীতে বিশ্বব্যাংক কোনো সুদ নেবে না। তবে বছরে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে 'সার্ভিস চার্জ' দিতে হবে সরকারকে। প্রথম ১০ বছরের রেয়াতসহ ৪০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র শাখা চলতি মাস থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার পর এ পর্যন্ত সাড়ে আট কোটি ভোটরের অধিকাংশই ছবিসহ লেমিনেটেড পরিচয়পত্র পেয়েছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।