পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ওপর করা বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ দলের চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি ‘ঠিকই আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সচিবালয়ে নিজ কার্যালয় থেকে আজ বুধবার দুপুরে কয়েকজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। অর্থমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটি তিনি মোটামুটি পড়েছেন। তবে পরিশিষ্টসহ আরও কিছু পড়ার বাকি আছে।
আগের দিন গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে এ প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেন বিশ্বব্যাংকের নবনিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহানেস জাট।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি বা দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের ওপর করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি—বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, দুদকের অভিযুক্তের তালিকায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নাম নেই। অথচ তিনিই হলেন ষড়যন্ত্রের মূল ব্যক্তি।
দুদকে প্রতিবেদন যায়নি
বিশ্বব্যাংকের কোনো প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন তাঁদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হওয়ার কথা, তাঁদের প্রতিবেদন দুদকে কেন পাঠাবে?’
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
দুদকের তদন্তে বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ কমিটি সন্তুষ্ট নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে—এ সম্পর্কে জানতে চাইলে গোলাম রহমান বলেন, ‘দুদকের তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। ’ কিসের ভিত্তিতে সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়েছে বলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন। বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ দুদক তদন্ত দল ব্যবহার করবে কি না জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। প্রতিবেদনই চোখে দেখলাম না, সুপারিশ কী, সেটা কীভাবে জানব?’
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে মামলায় ছাড় দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘তদন্তে প্রাপ্ত অপরাধীদের কখনোই ছাড় দেওয়া হবে না, তা আবুল সাহেব হোক বা অন্য কেউ?’
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে সহযোগিতা না করায় ২০১২ সালের জুনে প্রতিশ্রুত ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। এরপর শর্ত সাপেক্ষে অর্থায়নে ফিরে আসতে সম্মতি দিয়েছিল সংস্থাটি।
তবে গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারই সিদ্ধান্ত নেয়, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ না নিয়ে বরং নিজেদের অর্থায়নেই নির্মাণ করবে পদ্মা সেতু। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।