নিজ মাদ্রাসার আয়ার সঙ্গে গভীর রাতে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ওই আয়ার স্বামীর হাতে ধরা পড়েছেন মাদ্রাসা সুপার ছয় সন্তানের জনক হাশিম উদ্দিন।
এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
গত রবিবার গভীর রাতে নান্দাইল উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের মেছেরকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গতকাল সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় সালিসে বসেন গ্রাম্য মাতব্বররা।
খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে রাবেয়াসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই গ্রামের হাজি আবদুল কদ্দুস মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় প্রায় ১০ বছর ধরে আয়া পদে কাজ করছেন মো. জালাল উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন।
মাদ্রাসা সুপার হাশিম উদ্দিন বিভিন্ন সময় তাঁকে কুপ্রস্তাব দিতেন।
তাতে রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
এদিকে, রাবেয়ার লক্ষাধিক টাকা ঋণ থাকায় কয়েক দিন আগে মাদ্রাসা থেকে কিছু টাকা ধার চাইলে সুপার হাশিম উদ্দিন কুপ্রস্তাব দেন।
একপর্যায়ে গত রবিবার রাতে মোবাইলে ফোন করে হাশিম উদ্দিন টাকা নিতে বললে রাবেয়া ঘর থেকে বের হন।
তখন ঘরের বাইরেই ওত পেতে থাকা মাদ্রাসা সুপার পাশের একটি গোয়ালঘরে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
রাবেয়ার স্বামী জালাল জানান, রাত ১টার দিকে স্ত্রীকে ঘরে না পেয়ে ঘরের বাইরে বের হয়ে খোঁজ নিলে আওয়াজ শুনতে পেয়ে পাশের গোয়ালঘরে গিয়ে হাশিম উদ্দিনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি।
পরে তাঁকে দড়ি দিয়ে বেঁধে চিৎকার দেন।
এ সময় প্রতিবেশী আবদুল হান্নান, আবদুর রশিদ, ইসলাম উদ্দিনসহ অনেকে ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত হাশিম উদ্দিনকে ছেড়ে দিলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান।
রাবেয়ার ননদ দিলোয়ারা জানান, রাতে চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে গোয়ালঘরে গিয়ে হাশিম উদ্দিনকে দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান তিনি।
পরে মাতব্বররা এসে তাঁকে ছাড়িয়ে নেন।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার হাশিম উদ্দিন আয়া রাবেয়ার টাকা ধার চাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, টাকা ধার না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
ঘটনাটি সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা ফাইজুল ইসলাম, সবুজ মিয়া ও আবদুল হান্নান জানান, সম্মানিত মানুষের সম্মান রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে, আর ওই মহিলার যাতে একটা ব্যবস্থা হয়, সে চেষ্টাও চলছে।
এ সম্পর্কে পত্রপত্রিকায় না লেখার অনুরোধ জানান তাঁরা।
নান্দাইল থানার ওসি খন্দকার জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার ব্যাপারে তিনি খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।