ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ
আমার প্রিয় বন্ধু রাফি এবং তার মহৎ কাজের ফাঁকে পাওয়া কিছু চোখ ভিজিয়ে ফেলা ঘটনা
সম্পূর্ণ বক্তব্য রাফি'র
মাদ্রাসা ( আরবি ভাষায়: مدرسة, madrasa বহুবচনে مدارس, madāris) আরবি শব্দ দারসুন থেকে উদ্ভূত, এর অর্থ পাঠ। মাদ্রাসা মূলত মুসলমানদের অধ্যয়ন-অধ্যাপনা গবেষণা ইত্যাদির স্থান বা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ শব্দগত ভাবে মাদ্রাসা হওয়া উচিত জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র। কিন্তু মাদ্রাসা শুনলেই আমাদের চোখে ভেসে উঠে এমন এক প্রতিষ্ঠানের কথা,যেখানে শুধু মাত্র কোরআন-হাদিস শিক্ষা দেয়া হয়।
একটা প্রশ্ন দিয়ে শুরু করি।
আপনি কি মনে করেন যারা মাদ্রাসায় পড়তে আসে তাদের কে তাদের বাবা মা ধর্মীয় শিক্ষা দেয়ার জন্য মাদ্রাসায় পাঠায়?অর্থাৎ নিছক ধর্মীয় শিক্ষা দেবার জন্যই কি এরা মাদ্রাসায় আসে?
আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়,তাহলে বলতেই হবে আপনি কিছুই জানেন না এদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা সম্পর্কে।
আমি মৃত্তিকা (সেবার বিনিময় আনন্দ ও ভালবাসা) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনে কাজ করি। এই কাজের সুবাদে কয়েকবার মাদ্রাসার বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। এর মধ্যে বড় কাজ টি করেছিলাম প্রথম আলোর সাথে গত বছর রমযানে। কাজ করতে গিয়ে খুব কাছে থেকে বাচ্চা গুলোকে দেখার ও তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে।
তার আগে চলুন দেখে নেই মুসলমান মনীষী রা কি বলেন।
ইবনে সিনা মাদ্রাসা কে এমন একটি বিশেষ যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন যে সেক্ষেত্রে ছাত্রদের কর্তব্য হল,কোন সামাজিক মর্যাদার প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে প্রায়োগিক যোগ্যতা অর্জন করা। তিনি লিখেছেন যে চৌদ্দ-ঊর্ধ ছেলেমেয়েদেরকে তাদের নিজ ইচ্ছামত কোন বিষয় বেছে নিয়ে সেবিষয়ে বিশেষজ্ঞতা অর্জন করতে দেয়া উচিৎ যাতে সে আগ্রহবোধ করে, তা হতে পারে ব্যবহারিক দক্ষতা, সাহিত্য, দ্বীনের দাওয়াত, জ্যামিতি, ব্যবসা-বানিজ্য, কারূকর্ম অথবা অন্য যেকোন এমন বিষয় বা বৃত্তি যা অনুযায়ী সে ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে তুলতে চায়।
আমাদের দেশের মাদ্রাসায় কি তা হচ্ছে?
আগের প্রশ্নে ফিরে যাই। যারা মাদ্রাসায় পড়তে আসে তাদের অভিভাবকরা কখনই ইসলামি জ্ঞান লাভের জন্য মাদ্রাসায় তাদের সন্তান দের পাঠান না।
তারা মূল যে কারণে সন্তান কে পাঠান সেটি হল-দারিদ্র্য।
মাদ্রাসায় পড়লে থাকা,খাওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয়না। পরিবারের উপর চাপ কমে। সন্তান পড়ালেখা শিখে। উপরি পাওনা হিসেবে বেহেসত অর্জনের সহজ রাস্তাটাও পাওয়া যায়।
এত সুযোগ সুবিধা!!!!
আবার কোন বাচ্চা যদি অতিরিক্ত ডানপিটে হয় তাকে সোজা করার রাস্তা হিসেবেও মাদ্রাসাকে দেখা হয়। তবে এগুলো সব পরোক্ষ কারণ। আসল কারণ হল ঐ অভাব।
মাদ্রাসায় একটা বাচ্চা কি পরিমাণ মানবেতর জীবন যাপন করে সে সম্পর্কে কোন ধারণা আছে?
আমাদের দেশের আইনে কোন শিশু কে শারীরীক ও মানসিক শাস্তি দেয়া দন্ডনীয় অপরাধ। সাধারণ স্কুলেও এটা হয় তবে তার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব।
কিন্তু মাদ্রাসার দেয়ালের ভিতর এই শাস্তি প্রদান খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
আমি যখন ই কোন মাদ্রাসায় কাজ করতে গিয়ে বাচ্চাদের সাথে কথা বলেছি তখন দেখেছি বাচ্চারা প্রথমে মুখ খুলেনা এসব ব্যাপারে। একটু সহজ হলে আস্তে আস্তে বলে। তবে সেই সুযোগ কম পাওয়া যায় কারণ মাদ্রাসার শিক্ষকরা আশেপাশেই থেকে নজর রাখেন কি কথা বলা হচ্ছে সেটার উপর।
কয়েকটি বিষয় আমি দেখেছি,যেমন-
১,অনেক বড় ক্লাসের বাচ্চাও ইংরেজি তে একটা বাক্য বলতে পারেনা।
২,ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের কোন ধারণা তৈরি হয়না। ভবিষ্যতে যে কিছু হওয়া যায় এটা তাদের ধারণা তেই আসেনা।
৩,বাইরের জগৎ সম্পর্কে তারা খুব কম ই জ্ঞান রাখে।
৪,ক্লাসে বেতের বাড়ি খাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা।
অর্থাৎ আমাদের ঠিক পাশেই আমাদেরই মত অসংখ্য মানুষ একটা অসম্পূর্ণ পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠছে।
ছোট থেকে বড় হতে হতে তাদের কাছে এটাই স্বভাবিক পদ্ধতি হয়ে দাড়িয়েছে। মাদ্রাসা থেকে পাশ করে যাওয়া কারো কাছে জিজ্ঞেস করে দেখুন,কথা গুলো সে স্বীকার করবেনা।
মাদ্রাসার বাচ্চারা বাইরের জগতের সাথে পরিচিত হয়না বলে,বাইরের সাহিত্যের সাথে পরিচিত হয়না বলে তাদের ভিতরে সুকুমার বৃত্তি খুব কম ই গড়ে ওঠে।
এই বিশাল অংশ দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাড়ায়। মাদ্রাসার ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষায় অংশ নিতে পারে।
যেখানে মূল ধারার ছাত্ররাই এই পরিক্ষায় হিমসিম খায় সেখানে মাদ্রাসার ছাত্র রা কতদূর যেতে সক্ষম হয়?
আর দুঃখের বিষয় হল এরা রাজনৈতিক দল গুলোর রিজার্ভ আর্মি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এদের মগজ ধোলাই করা সহজ বলে এদের মধ্যে সহজেই ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করা সহজ হয়। তার উদাহরণ তো আমরা সম-সাময়িক কালেই পাচ্ছি।
আর সবথেকে বড় সমস্যা হল কওমি মাদ্রাসা অর্থাৎ যে মাদ্রাসা গুলোর উপর সরকারি কোন নিয়ন্ত্রন নেই। এরা চলেও বাইরের টাকায়।
মহিলা মাদ্রাসা গুলোর অবস্থা আরো করুন। আমরা নারী অধিকারের কথা বলি। কিন্তু মহিলা মাদ্রাসা গুলো এখনো মধ্যযুগীয় অবস্থায় রয়ে গেছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করতে বললেই বন্ধ করা যাবেনা আর এটা কোন সমাধান ও নয়। তবে কয়েক টি বিষয় নিশ্চিত করা উচিত।
১,কাওমি মাদ্রাসা গুলোতে সরকারি নজর দারি জারি করতে হবে।
২,ধর্মীয় বিষয় গুলো ছাড়া অন্য বিষয় গুলো বাইরের শিক্ষক দ্বারা পড়াতে হবে। অর্থাৎ ইংরেজি পড়াবেন ইংরেজিতে ডিগ্রী পাওয়া কেউ,গণিত পড়াবে সত্যিকারের গণিতের শিক্ষক।
৩,আধুনিক সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে।
তবে আশার কথা এই যে,দারিদ্র্যের হার যত কমছে,প্রাথমিক শিক্ষা যত সহজ লভ্য হচ্ছে-মাদ্রাসায় ভর্তির পরিমাণ তত কমছে।
শিক্ষা ব্যবস্থা যত সুলভ ও সাধারণ মানুষের কাছে পৌছাবে তত দ্রুত আমরা এই সমস্যা গুলো কাটিয়ে উঠতে পারব।
(আমি মূলত আবাসিক মাদ্রাসা গুলো নিয়েই লিখেছি। অনাবাসিক মাদ্রাসা,মসজিদের মক্তব এই লেখার আওতামুক্ত। লেখাটি লিখেছি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে)...
মাদ্রাসা ( আরবি ভাষায়: مدرسة, madrasa বহুবচনে مدارس, madāris) আরবি শব্দ দারসুন থেকে উদ্ভূত, এর অর্থ পাঠ। মাদ্রাসা মূলত মুসলমানদের অধ্যয়ন-অধ্যাপনা গবেষণা ইত্যাদির স্থান বা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
অর্থাৎ শব্দগত ভাবে মাদ্রাসা হওয়া উচিত জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র। কিন্তু মাদ্রাসা শুনলেই আমাদের চোখে ভেসে উঠে এমন এক প্রতিষ্ঠানের কথা,যেখানে শুধু মাত্র কোরআন-হাদিস শিক্ষা দেয়া হয়।
একটা প্রশ্ন দিয়ে শুরু করি।
আপনি কি মনে করেন যারা মাদ্রাসায় পড়তে আসে তাদের কে তাদের বাবা মা ধর্মীয় শিক্ষা দেয়ার জন্য মাদ্রাসায় পাঠায়?অর্থাৎ নিছক ধর্মীয় শিক্ষা দেবার জন্যই কি এরা মাদ্রাসায় আসে?
আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়,তাহলে বলতেই হবে আপনি কিছুই জানেন না এদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা সম্পর্কে।
আমি মৃত্তিকা (সেবার বিনিময় আনন্দ ও ভালবাসা) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনে কাজ করি।
এই কাজের সুবাদে কয়েকবার মাদ্রাসার বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। এর মধ্যে বড় কাজ টি করেছিলাম প্রথম আলোর সাথে গত বছর রমযানে। কাজ করতে গিয়ে খুব কাছে থেকে বাচ্চা গুলোকে দেখার ও তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে।
তার আগে চলুন দেখে নেই মুসলমান মনীষী রা কি বলেন।
ইবনে সিনা মাদ্রাসা কে এমন একটি বিশেষ যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন যে সেক্ষেত্রে ছাত্রদের কর্তব্য হল,কোন সামাজিক মর্যাদার প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে প্রায়োগিক যোগ্যতা অর্জন করা।
তিনি লিখেছেন যে চৌদ্দ-ঊর্ধ ছেলেমেয়েদেরকে তাদের নিজ ইচ্ছামত কোন বিষয় বেছে নিয়ে সেবিষয়ে বিশেষজ্ঞতা অর্জন করতে দেয়া উচিৎ যাতে সে আগ্রহবোধ করে, তা হতে পারে ব্যবহারিক দক্ষতা, সাহিত্য, দ্বীনের দাওয়াত, জ্যামিতি, ব্যবসা-বানিজ্য, কারূকর্ম অথবা অন্য যেকোন এমন বিষয় বা বৃত্তি যা অনুযায়ী সে ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে তুলতে চায়।
আমাদের দেশের মাদ্রাসায় কি তা হচ্ছে?
আগের প্রশ্নে ফিরে যাই। যারা মাদ্রাসায় পড়তে আসে তাদের অভিভাবকরা কখনই ইসলামি জ্ঞান লাভের জন্য মাদ্রাসায় তাদের সন্তান দের পাঠান না। তারা মূল যে কারণে সন্তান কে পাঠান সেটি হল-দারিদ্র্য।
মাদ্রাসায় পড়লে থাকা,খাওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয়না।
পরিবারের উপর চাপ কমে। সন্তান পড়ালেখা শিখে। উপরি পাওনা হিসেবে বেহেসত অর্জনের সহজ রাস্তাটাও পাওয়া যায়। এত সুযোগ সুবিধা!!!!
আবার কোন বাচ্চা যদি অতিরিক্ত ডানপিটে হয় তাকে সোজা করার রাস্তা হিসেবেও মাদ্রাসাকে দেখা হয়। তবে এগুলো সব পরোক্ষ কারণ।
আসল কারণ হল ঐ অভাব।
মাদ্রাসায় একটা বাচ্চা কি পরিমাণ মানবেতর জীবন যাপন করে সে সম্পর্কে কোন ধারণা আছে?
আমাদের দেশের আইনে কোন শিশু কে শারীরীক ও মানসিক শাস্তি দেয়া দন্ডনীয় অপরাধ। সাধারণ স্কুলেও এটা হয় তবে তার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব। কিন্তু মাদ্রাসার দেয়ালের ভিতর এই শাস্তি প্রদান খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
আমি যখন ই কোন মাদ্রাসায় কাজ করতে গিয়ে বাচ্চাদের সাথে কথা বলেছি তখন দেখেছি বাচ্চারা প্রথমে মুখ খুলেনা এসব ব্যাপারে।
একটু সহজ হলে আস্তে আস্তে বলে। তবে সেই সুযোগ কম পাওয়া যায় কারণ মাদ্রাসার শিক্ষকরা আশেপাশেই থেকে নজর রাখেন কি কথা বলা হচ্ছে সেটার উপর।
কয়েকটি বিষয় আমি দেখেছি,যেমন-
১,অনেক বড় ক্লাসের বাচ্চাও ইংরেজি তে একটা বাক্য বলতে পারেনা।
২,ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের কোন ধারণা তৈরি হয়না। ভবিষ্যতে যে কিছু হওয়া যায় এটা তাদের ধারণা তেই আসেনা।
৩,বাইরের জগৎ সম্পর্কে তারা খুব কম ই জ্ঞান রাখে।
৪,ক্লাসে বেতের বাড়ি খাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা।
অর্থাৎ আমাদের ঠিক পাশেই আমাদেরই মত অসংখ্য মানুষ একটা অসম্পূর্ণ পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠছে। ছোট থেকে বড় হতে হতে তাদের কাছে এটাই স্বভাবিক পদ্ধতি হয়ে দাড়িয়েছে। মাদ্রাসা থেকে পাশ করে যাওয়া কারো কাছে জিজ্ঞেস করে দেখুন,কথা গুলো সে স্বীকার করবেনা।
মাদ্রাসার বাচ্চারা বাইরের জগতের সাথে পরিচিত হয়না বলে,বাইরের সাহিত্যের সাথে পরিচিত হয়না বলে তাদের ভিতরে সুকুমার বৃত্তি খুব কম ই গড়ে ওঠে।
এই বিশাল অংশ দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাড়ায়। মাদ্রাসার ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষায় অংশ নিতে পারে। যেখানে মূল ধারার ছাত্ররাই এই পরিক্ষায় হিমসিম খায় সেখানে মাদ্রাসার ছাত্র রা কতদূর যেতে সক্ষম হয়?
আর দুঃখের বিষয় হল এরা রাজনৈতিক দল গুলোর রিজার্ভ আর্মি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এদের মগজ ধোলাই করা সহজ বলে এদের মধ্যে সহজেই ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করা সহজ হয়।
তার উদাহরণ তো আমরা সম-সাময়িক কালেই পাচ্ছি।
আর সবথেকে বড় সমস্যা হল কওমি মাদ্রাসা অর্থাৎ যে মাদ্রাসা গুলোর উপর সরকারি কোন নিয়ন্ত্রন নেই। এরা চলেও বাইরের টাকায়।
মহিলা মাদ্রাসা গুলোর অবস্থা আরো করুন। আমরা নারী অধিকারের কথা বলি।
কিন্তু মহিলা মাদ্রাসা গুলো এখনো মধ্যযুগীয় অবস্থায় রয়ে গেছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করতে বললেই বন্ধ করা যাবেনা আর এটা কোন সমাধান ও নয়। তবে কয়েক টি বিষয় নিশ্চিত করা উচিত।
১,কাওমি মাদ্রাসা গুলোতে সরকারি নজর দারি জারি করতে হবে।
২,ধর্মীয় বিষয় গুলো ছাড়া অন্য বিষয় গুলো বাইরের শিক্ষক দ্বারা পড়াতে হবে।
অর্থাৎ ইংরেজি পড়াবেন ইংরেজিতে ডিগ্রী পাওয়া কেউ,গণিত পড়াবে সত্যিকারের গণিতের শিক্ষক।
৩,আধুনিক সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে।
তবে আশার কথা এই যে,দারিদ্র্যের হার যত কমছে,প্রাথমিক শিক্ষা যত সহজ লভ্য হচ্ছে-মাদ্রাসায় ভর্তির পরিমাণ তত কমছে। শিক্ষা ব্যবস্থা যত সুলভ ও সাধারণ মানুষের কাছে পৌছাবে তত দ্রুত আমরা এই সমস্যা গুলো কাটিয়ে উঠতে পারব।
(আমি মূলত আবাসিক মাদ্রাসা গুলো নিয়েই লিখেছি।
অনাবাসিক মাদ্রাসা,মসজিদের মক্তব এই লেখার আওতামুক্ত। লেখাটি লিখেছি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে)..
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।