সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমশ ব্যবসায়ীদের করায়ত্ত হচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক নয়। কারণ, নির্বাচনে শুধু ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব থাকলে অন্য যোগ্য প্রার্থীদের সুযোগ থাকে না।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন আয়োজিত ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেমন জনপ্রতিনিধি পেলাম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এই মন্তব্য করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। সুজনের নির্বাহী সদস্য জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার ও সুজনের ঢাকা জেলা কমিটির সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসনাত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বদিউল আলম মজুমদার তাঁর বক্তব্যে বলেন, হলফনামায় দাখিল করা তথ্যের বিশ্লেষণে দেখা যায়, নির্বাচিত ৭৭ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৬০ জন (৭৭.৯২%) ব্যবসায়ী। তবে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের বাদ দিলে এই হার দাঁড়ায় ৯৮.২৭% (৫৮ জনের মধ্যে ৫৭ জন)। অর্থাত্ ব্যবসায়ীরাই গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে করায়ত্ত করেছেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নবনির্বাচিত মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে বর্তমানে দুটি মামলা আছে; অতীতে ছিল পাঁচটি। ৫৭ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মধ্যে বর্তমানে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
তাঁদের মধ্যে ৭০.৫৮% (১২ জন) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং ২৩.৫২% (চারজন) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-সমর্থিত।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘অন্যান্য সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো গাজীপুর সিটি করপোরেশনেও ব্যবসায়ীরা অধিক হারে নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও ব্যবসায়ী হওয়াটা দোষের কিছু নয়, তবে আশঙ্কার দিকটি হলো, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ধীরে ধীরে অন্যান্য শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব কমছে। ’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।