i m lost এইতো কয়েক দিন আগের ঘটনা। আমার ছোট ভাই সাকিব স্কুল থেকে এসে আমাকে বলল ভাইয়া আজকে একটা জিনিস দেখলাম। আমি জিঙ্গেস করলাম কি জিনিস?উক্তরে সে বলল আজ আমাদের মক্তবের হুজুর নিজ হাতে ভাত রান্না করতেছে। আমি তেমন গুরুত্ব দেয় নি। আজ সাকিব আমার কাছে আবার আসল।
কিছু যেন বলতে চাইছে। তার চুখেমুখে কৌতূহল,আমি বল্লাম কি বলতে চাও বল। সে বলল আজ আমাদের মক্তবের হুজুরকে দেখলাম নিজ হাতে বৌ”র শাড়ি ধুয়ে দিচ্ছেন। সাকিব হুজুরকে জিগ্গেস করল হুজুর আপনি কেন শাড়ি ধৌত করতেছেন?হুজুর খানিক হেসে জবাব দিল এটাতো সওয়াবের কাজ। পরে খবর নিয়ে জানলাম হুজুরের স্ত্রী গর্ভবতী।
চাকর চাকরানী রাখবার পয়সা তার নেই। তবে তাদের মধ্যে রয়েছে চরম ভালবাসা,আস্হা ও বিস্বাস।
আর আজ নরপশু সাঈদ তার স্ত্রী রুমানার দু’চোখ নষ্ট করে দেয়। যখন হিংস্র পশুর মত নাকে কামড় বসায় তখন আমি অবাক হই। আমি আরও অবাক হই যখন সাঈদ আর রুমানার ঘটনা শুনে আমাদেরই একজন মন্তব্য করে ব্যাটা সাঈদ নিশ্চয় মাদ্রাসার ছাত্র হবে।
পরে জানলাম সাঈদ মাদ্রাসার কোন ছাত্র নয়। বরং সে দেশের সর্বোচ্ছ বিদ্যাপিঠ বুয়েটেরই একজন মেধাবী ছাত্র। বরং মক্তবের যে হুজুরটি তার স্ত্রীর শাড়ি ধুয়ে দিচ্ছল সেই মাদ্রাসার ছাত্র।
যারা মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে বাঁকা চেখে দেখেন তাদের বলছি সে কিন্তু নিজ ইচ্ছায় মাদ্রাসায় ভতি হয়নি। আমার বাড়ির পাশের হত দরিদ্র এনাম তার সন্তানকে স্বল্প খরচে লেখাপড়া করানোর জন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেয় কিংবা ধর্মপ্রান/অশিক্ষিত পিতা বেহেস্তে যাওয়ার জন্য তার ছোট সন্তানটিকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেন।
এখন ধরুন আপনার বাবা কিংবা আপনার সমাজ আপনাকে আগুনে ধাক্কা দিল আর আপনি পুড়ে মরলেন,এখানে আসামি কে ?আপনি,আপনার বাবা না আপনার সমাজ??????
আজ আমি যখন দেখি মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে দেশের সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বাধা দেওয়া হয় তখন ফারুকীর ভাষায় বললে বলতে হয় মেয়ে মানুষ দুনিয়াতেও থাকতে পারবে না কবরেও যেতে পারবে না। তাহলে যাবে কই????????????????????????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।