আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতিকে এই সংঘাতের মুখোমুখি করার প্রয়োজন ছিল কি?

এম এ জোবায়ের সর্ব্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী তত্ববধায়ক সরকার পদ্ধতী বাতিল হলেও আরো দুই বছর এই পদ্ধতীতে জাতীয় নির্ব্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। সরকারী দল তাড়াহুড়া করে তত্ববধায়ক সরকার পদ্ধতী বাতিল করে সংবিধান সংশোধন করলো। বিরোধী দল ঘোষনা দিল ক্ষমতায় গেলে তারা এই সংশোধনী বাতিল করবে। সংবিধান চোত্রা পাতার থেকেও মর্যাদাহীন হল। ধর্ম নিরপেক্ষতার সাথে যোগ হলো রাষ্ট্র ধর্ম।

হায়রে সংবিধান হায়রে তার মর্যাদা! সরকারী দলের বক্তব্য সংবিধানের সংশোধনীতে তাড়াহুড়া করা হয়নি। ড: আলী আকবর খানের মন্তব্য; আগামী ছয় মাসের মধ্যেও জাতীয় নির্ব্বাচন হচ্ছেনা, বিরোধী দল সংসদে নেই এবং তারা তত্ববধায়ক সরকার পদ্ধতী বাতিলেরও বিরোধিতা করছে এই অবস্থায় সংবিধান সংশোধন করলে সন্দেহের অবকাশ থেকেই যায়। তত্ববধায়ক সরকার পদ্ধতীর প্রয়োজন আছে কি নেই এ প্রশ্নে জাতি আজ দ্বিধাবিভক্ত এবং মুখোমুখি। বিরোধী দল প্রধানের স্পষ্ট হুংকার “সংঘাত অনিবার্য”। রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে কোন সমঝোতা, আলোচনা, সমাধান বা মিমাংসার কোন প্রচেষ্টা নেই আছে শুধু উস্কানি।

এর পরিনতি কি ভাল হবে? সবাই দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছে সেই পুরানো ঘটনার পুনরাবৃত্তি, প্রকাশ্য রাস্তায় মানুষ হত্যা করে লাশের উপর লাফালফি পরিনতিতে বন্দুকের ক্ষমতা দখল। আইন করে বন্দুকের ক্ষমতা দখল বন্ধ করা যাবে না। রাজনীতিবিদদের কারনেই বন্দুকের ক্ষমতা দখল অনিবার্য হয়ে পড়ে। ছোট্ট, হত দরিদ্র একটা দেশ, রাজনৈতিক অস্থিরতা , হরতাল, বন্দুকের ক্ষমতা দখল বার বার এ দেশটাকে পিছিয়ে দিচ্ছে। মাথায় পরাচ্ছে ব্যর্থ রাষ্ট্র, দরিদ্রতম রাষ্ট্র, সর্ব্বচ্চো দুর্নীতিগ্রস্থ রাষ্ট্রের অসন্মান।

দেশ পরিচালনা করার দয়িত্ব যাদের সেই রাজনীতিবিদদের কারনেই দেশের আজ এই অসন্মান। রাজনীতিবিদদের কাছে আবেদন দয়া করে জাতিকে এই সংঘাতের মুখোমুখি করবেন না জাতির মাথয় পরিয়ে দেবেন না ব্যর্থ রাষ্ট্র, দরিদ্রতম রাষ্ট্র, সর্ব্বচ্চো দুর্নীতিগ্রস্থ রাষ্ট্রের মুকুট । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.