আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সে আমার প্রিয় বন্ধু....

আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই..পাই যদিবা.ক্ষণেক্ষণে হারাই আমার বন্ধু ছিল মেয়েটা। এত জ্বালাতাম তাকে আমি! যখন তখন ডাক দিতাম আসতে, কখনও ছড়া কেটে, কখনও গান গেয়ে। মা যখন রান্নাঘরে ব্যস্ত কিংবা বা তাঁর প্রিয় বান্ধবীর সাথে গল্পরত, আমি তখন জানালার সারশি ধরে তার নাম ধরে ডাকতাম। আমি আমার প্রিয় লাল মখমলের জামাটা পরে কখনও ফ্রকটাকে দুলিয়ে দুলিয়ে গান গাইতাম ওর জন্য আমার ছোট বারান্দায়। ও ঠিকই আসত।

আর ও আসলে বাবার বকুনি খাওয়াকে পাশ কাটিয়ে, মাকে উৎকোচস্বরুপ পুরোটা ভাত খেয়ে আমি একছুটে ছাদে দৌড়ে যেতাম। দৌড়!!! সেখানে গিয়ে প্রথমে কিছুক্ষণ ওর নাম ধরে ডেকে চিৎকার করতাম। তারপর ওর সাথে খেলতাম, নাচতে থাকতাম। আর ওকে ছুঁয়ে দিতাম। এক আঙুল, দুই আঙুল, তারপর পুরোটা মুঠো খুলে আস্তে আস্তে পুরোটা হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিতাম অস্পৃশ্য এই আমিও।

ওকে গান শুনাতাম আমি... ....যাও পাখি বল... ...আজ ঝরঝর মুখরও বাদলও দিনে ...মমচিত্তে নিতি নৃত্যে... ...মোর ভাবনারে... ....নয়নও তোমারে পায়না দেখিতে..... আমার গানের তালিকা শুনেও ও বিরক্ত হতনা, চুপ করে শুনে যেত আমার গান। আমি তারপর ওকে ধরে দু’হাত পাশে তুলে প্রজাপতির মত উড়ে বেড়াতাম আর ঘুরে ঘুরে নাচতাম। তবে মেয়েটা সবসময় কাঁদত আমার সামনে। কখনও কষ্টে, কখনও আনন্দে! নাহ! আমি ওকে কখনও থামতে বলিনি। বরং স্বার্থপরের মত আমি চিৎকার করে উঠতাম... জোরে.... আরও জোরে.... স্বার্থপরের মত ওর এই কান্নাকে নিয়েই মাতি আমি।

ওর কান্না দেখতেই যে বেশি ভাললাগে আমার। ওর কান্না দেখতেই মুখিয়ে থাকতাম আমি। আর শব্দের উপমায় ওর নাম দেই বৃষ্টি বলে....... ও আমার বন্ধু ........বৃষ্টি..............  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.