আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় রাজাকার ও মানবতাবিরোধীমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে আসামির কাঠগড়ায় জামায়াতে ইসলামী ও তার অঙ্গসংগঠন সমূহ

আমি একজন ছাএ বহুদিন ধরেই আমরা অনেকেই বলে আসছি- জামায়াত একটি সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিস্ট সংগঠন আর তার সন্ত্রাসীদের প্রজননের ইনকিউবেটর হচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির; সুতরাং এই দুটি সংগঠনকেই নিষিদ্ধ করা হোক, যেমনটি বঙ্গবন্ধু সরকার স্বাধীনতার অব্যবহিত পরই কোন দ্বিধা না করেই তা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর জিয়া ক্ষমতা দখল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার নামে জামায়াতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত ধর্মান্ধ বাংলাদেশবিরোধী মধ্যযুগীয় দলগুলোকে এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। এটি ছিল একজন সামরিক শাসকের সুবিধাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করার প্রথম পদক্ষেপ। অনেকে কথায় কথায় বলেন, জিয়া শুধু যে জামায়াত বা মুসলিম লীগকে স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দিয়েছেন তা নয়, তিনি আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন, যা বঙ্গবন্ধুর আমলে নিষিদ্ধ ছিল। এটি একটি কুতর্ক; কারণ আওয়ামী লীগ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেনি বরং এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে; আর ঠিক উল্টোটা করেছিল জামায়াত-মুসলিম লীগ, পিডিপি অথবা নেজামে ইসলামী।

জামায়াত শুধু যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাই নয়, তারা তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘকে (বর্তমানে ইসলামী ছাত্রশিবির) নিয়ে দেশে তাদের নিজস্ব কিলিং স্কোয়াড আল-বদর বাহিনী গঠন করেছিল এবং অধিকৃত বাংলাদেশে পুরো সময় ধরে তারা পাকিস্তানী বাহিনীর সহযোগী সংগঠন হিসেবে সারা দেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ আর গণহত্যা চালিয়েছিল। দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাঙালী জাতিকে মেধাশূন্য করাও আল-বদর বাহিনীর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। জামায়াত সক্রিয়ভাবে পাকিস্তানী বাহিনীকে সহায়তা না করলে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর পক্ষে কখনও এত দ্রুত বাংলাদেশ দখল করা সম্ভব হতো না এবং এত প্রাণহানিও হতো না। বাংলাদেশে জামায়াতের জনসমর্থন কোনভাবেই ৫%-এর বেশি নয়; সুতরাং তাদের নিষিদ্ধ করলে দেশের কল্যাণ ছাড়া তেমন কোন ক্ষতি নেই। জানি, বঙ্গবন্ধু কন্যা একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন।

ইতোমধ্যে পাকিস্তান জামায়াত তাঁকে এবং আওয়ামী লীগকে গোলাম আযম ও অন্য জামায়াত নেতাদের দ- দেয়ার কারণে ইসলামবিরোধী বলে গালাগাল করে সে দেশের বিভিন্ন শহরে সমাবেশ করেছে এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে বলেছেন। তবে এটি ঠিক, অনাগত দিনের ইতিহাস শেখ হাসিনাকে স্মরণ করবে। সুতরাং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তার অঙ্গসংগঠন ছাত্রশিবির এসব রাজনৈতিক জঞ্জালকে সময় থাকতে নিষিদ্ধ না করলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত কেমন হবে তা সহজে অনুমেয় । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.