আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নওয়াজ শরিফের প্রাণনাশের চেষ্টা পণ্ড

পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী আজ মঙ্গলবার দাবি করেছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে হত্যা করতে লাহোরের রাইওয়ান্দ এলাকায় তাঁর বাড়িতে আত্মঘাতী হামলার একটি চক্রান্ত নস্যাত্ করে দেওয়া হয়েছে।
পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ছেলে আলি হায়দার গিলানি অপহূত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের একটি যৌথ দল নওয়াজকে হত্যার ষড়যন্ত্রের খোঁজ পায়। আলি হায়দার গত মে মাসে দেশটির জাতীয় নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময় অপহূত হয়েছিলেন।
‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলি হায়দারের অপহরণের সঙ্গে উত্তর ওয়াজিরিস্তানভিত্তিক একটি জঙ্গি দলের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে গোয়েন্দারা। এ জঙ্গি দলটি লাহোরেও সক্রিয় আছে এবং এর সদস্যরা রাইওয়ান্দে নওয়াজের বাড়িতে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করছিল।


উত্তর ওয়াজিরিস্তানভিত্তিক জঙ্গি দল তেহরিক-ই-তালিবানের নেতা মতিউর রেহমান ও মুহাম্মদ ইয়াসিন ওরফে আসলামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি উপদলকে ধরতে পুলিশ ও গোয়েন্দারা লাহোরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
ইতিমধ্যেই সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইনভেস্টিগেশনের হামজা শিবিরসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও স্থানের ওপরে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর ঘটনায় মতিউর ও ইয়াসিনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ রয়েছে।
সরকার এ দুই নেতার প্রত্যেককে ধরিয়ে দিতে ৩০ লাখ রুপি (প্রায় ২৩ লাখ টাকা) করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে। ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, তেহরিক-ই-তালিবানের দুটি উপদল আছে। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বান্নু এলাকাভিত্তিক উপদলটির নেতৃত্বে আছেন জাফর, আবদুল্লাহ ও আসাদ।

সম্ভবত উত্তর ওয়াজিরিস্তানভিত্তিক ও লাহোরে সক্রিয় উপদলটির নেতৃত্বে আছেন ফাহিম মেও। তিনি রাইওয়ান্দ এলাকার বাসিন্দা।
গোয়েন্দারা জানান, জঙ্গিরা বিভিন্ন সরকারি টেলিফোন বুথ (পিসিও) ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মুঠোফোনের সাহায্য নেন কদাচিত্।
পুলিশ ও গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিতে ষড়যন্ত্রকারীরা রাইওয়ান্দের তাবলিগ জামাতের সদর দপ্তরে থেকে নিজেদের কাজ সারছিল। ওই স্থানে তাঁদের খুঁজে বের করা ছিল অসম্ভব।

প্রায় এক সপ্তাহ অপেক্ষা করার পর অনুসন্ধানী দলটি মেওকে খুঁজে পায়। তাঁর সুবাদে গোয়েন্দারা বান্নু ও উত্তর ওয়াজিরিস্তানের উপদলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন এক ব্যক্তিকে আটক করে।
এরপর উসমান ওরফে সাইফুল্লাহ মেহমুদ ইকবাল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনি রাইওয়ান্দের পাজিয়ান এলাকার বাসিন্দা। নওয়াজ শরিফের বাড়ির সঙ্গে লাগানো একটি জমির মালিক তিনি।


গোয়েন্দারা আরও জানতে পারে, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা ইতিমধ্যে চার থেকে পাঁচটি আত্মঘাতী হামলাকারী দল রাইওয়ান্দে পাঠিয়েছে। এসব দলকে ঠেকাতে পুলিশ তাবলিগ জামাতের সদস্যদের বহনকারী চার-পাঁচটি বাসে তল্লাশি চালায়। এগুলো বান্নু থেকে লাহোরে যাচ্ছিল। এসব বাস থেকে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মিরান শাহ এলাকার চারজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক করা ব্যক্তিদের থেকে অনেক তথ্য মিললেও তাঁরা অস্ত্রশস্ত্রের খোঁজ দেননি।

তাই হামলার আতঙ্ক এখনই কাটছে না বলে জানিয়েছে ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.