আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রবাসী মিশনগুলোর রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত হবে আজ

গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে বিদেশে বাংলাদেশের ৪৫টি মিশনের মধ্যে ২৬টি মিশন রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বলছে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলেও এসব মিশনের প্রবৃদ্ধি বেশ ভালো।
এ অবস্থায় আজ বুধবার চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের মিশনভিত্তিক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) রুহুল আমীন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় এটি চূড়ান্ত হবে।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করার সময় একটু বেশিই ঠিক করি, যেন তা অর্জন করতে না পারলেও কাছাকাছি থাকে।

লক্ষ্যমাত্রা বেশি হওয়ার কারণেই মিশনগুলোতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কিন্তু অনেক বেশি হচ্ছে। ’
এবারের লক্ষ্যমাত্রা: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চলতি অর্থবছরের সার্বিক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে তিন হাজার ৫০ কোটি ডলার। এবারের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এর প্রেক্ষিতে মিশনগুলোর রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রারও একটি খসড়া তৈরি করেছে ইপিবি।
ইপিবি সূত্র জানায়, এবার সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ওয়াশিংটন মিশনের।

আগের অর্থবছরের রপ্তানির সঙ্গে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে এবারের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৬৪১ কোটি ডলার। এর পরে আছে বার্লিন মিশন। ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ওই মিশনের লক্ষ্যমাত্রা এবার ৪৬৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলার।
লন্ডন মিশনের লক্ষ্যমাত্রাও বেড়েছে আগের বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে। এবারের লক্ষ্যমাত্রা ৩৩৯ কোটি ডলার।

এ ছাড়া মাদ্রিদ মিশনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪৭ কোটি, হেগ মিশনের লক্ষ্যমাত্রা ১২৯ কোটি, স্টকহোম মিশনের লক্ষ্যমাত্রা ১২৪ কোটি ২৯ লাখ, অটোয়া মিশনের লক্ষ্যমাত্রা ১২২ কোটি ৮৪ লাখ ও রোম মিশনের লক্ষ্যমাত্রা ১১৬ কোটি ডলার।
সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে নয়াদিল্লির মিশনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি ৪১ লাখ ডলার। এই মিশনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৬ শতাংশ।
এবার কয়েকটি মিশনের জন্য বেশি হারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। এর মধ্যে মাসকাট মিশনের জন্য ৫০ শতাংশ; ব্যাংকক, জাকার্তা, ম্যানিলা ও কুয়ালালামপুর মিশনের ৪০; মস্কো মিশনের ৩৫ শতাংশ; দুবাই মিশনের ৩০ শতাংশ ধরা হয়েছে।


জানা গেছে, সার্বিক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের দিনই মিশনভিত্তিক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করার কথা ছিল। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আপত্তিতে সেদিন তা করা যায়নি। তিনি জানান, ইপিবি আগের বছরের অর্জন অনুযায়ী পরের বছরের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে এবং একটু বেশি হারে প্রবৃদ্ধি ধরেই লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আপত্তি হলো, বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরার কারণে প্রায়ই মিশনগুলো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না। সেগুলো গণমাধ্যমে নেতিবাচকভাবে প্রকাশিত হয়।

সে কারণে লক্ষ্যমাত্রা যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করার কথা জানায় মন্ত্রণালয়। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.