মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সংসদ ভবনের উল্টো দিকে গতকাল বুধবার সকালে ৪ নম্বর ন্যাম ভবনের ৮০১ নম্বর ফ্ল্যাটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির এ কে এম মাইদুল ইসলামের নেমপ্লেট লাগানো। কলিং বেল টিপতেই সাত-আট বছরের একটি মেয়ে এসে জানালার কাছে দাঁড়িয়ে কাকে খুঁজছি জানতে চায়। এমপি সাহেব আছেন কি না জিজ্ঞেস করলে সে বলে, 'এমপি সাহেব এখানে থাকেন না। '
'কে থাকেন?'
জবাবে মেয়েটি বলে, 'আনিস সাহেব। '
'তিনি এমপি সাহেবের কে হন?'
মেয়েটি একটু ইতস্তত করে বলে, 'ভাই হন।
' এরপর মেয়েটি উল্টো প্রশ্ন করে, 'আপনি কোথা থেকে এসেছেন?'
'আমি সাংবাদিক' বলার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি ভেতরে চলে যায়। এরপর বারবার কলিং বেল বাজিয়েও আর কারো সাড়া পাওয়া গেল না।
একই ভবনের ১০৪ নম্বর ফ্ল্যাটে গিয়ে পাওয়া গেল সাজ্জাদ হোসেন নামের একজনকে। তিনি জানান, এই ফ্ল্যাট সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আমানউল্লাহর নামে বরাদ্দ। কিন্তু তিনি এখানে থাকেন না।
এলাকা থেকে আত্মীয়স্বজন এসে এখানে থাকেন।
এভাবে সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, এমপি হোস্টেলে ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়ে এমপি সেখানে থাকেন না। থাকেন তাঁর ড্রাইভার, কাজের লোক, অফিস সহকারী, আত্মীয়স্বজন, দলীয় নেতা-কর্মী এমনকি নির্বাচনী এলাকার লোকজন। অথচ এটি সংসদ সদস্যদের জন্য সরকারি ফ্ল্যাট বরাদ্দ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আইনপ্রণেতাদের এভাবে বিধি লঙ্ঘনের অনেক ঘটনার সাক্ষাৎ মিলেছে।
সংসদ সদস্যের নামে বরাদ্দ বাসায় যাকে-তাকে থাকতে দেওয়ায় এমপি হোস্টেলের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার অভিযোগ যেমন উঠেছে, তেমনি নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় বহিরাগতদের আশ্রয়দাতা এমপিদের নামে বাসা বরাদ্দ বাতিলের কথা বিবেচনা করছে জাতীয় সংসদের সংসদ (হাউস) কমিটি। ইতিমধ্যে সরেজমিনে তদন্ত শেষে এ রকম ২৮ জন সংসদ সদস্যের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যাঁরা বরাদ্দ পাওয়া বাসায় নিজেরা না থেকে যাকে-তাকে থাকতে দিচ্ছেন। তাঁদের বেশির ভাগই আবার সরকারি দলের বলে জানা গেছে। বিরোধী দলেরও কেউ কেউ আছেন।
এ তালিকার বাইরেও আরো অনেক বিধি লঙ্ঘনকারী সংসদ সদস্য রয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।
এ বিষয়ে সংসদ কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, এমপি হোস্টেলকে বহিরাগতদের দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব এমপির ফ্ল্যাটে বহিরাগতরা রয়েছে, সেই এমপিদের সতর্ক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতিমধ্যে একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। তালিকাটি যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে বলে তিনি জানান।
এদিকে বহিরাগতদের আশ্রয়দাতা এমপিরা সরকারি দলের হওয়ায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংসদ কমিটির বিএনপিদলীয় সদস্য এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান। তিনি বলেন, সংসদ কমিটির নির্দেশে সরেজমিনে তদন্ত করে একটি তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের সতর্ক করা ছাড়া আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বহিরাগতদের আশ্রয়দাতা এমপিরা যে দলেরই হোক, তাঁদের বাসা বরাদ্দ বাতিল হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের ন্যাম ভবনের ছয়টি বিল্ডিংয়ে ২১৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রীর অফিসের পেছনের দিকে নাখালপাড়ায় রয়েছে আরো ১০৮টি ফ্ল্যাট। এসব ফ্ল্যাট সংসদ সদস্যদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাসা বরাদ্দপত্রে সুস্পষ্ট করে বলা আছে, 'সংসদ সদস্য ছাড়া অন্য কেউ এখানে অবস্থান করতে পারবেন না। '
কিন্তু অনেক সংসদ সদস্যই ফ্ল্যাটে না থেকে তাঁদের লোকজনকে থাকতে দিয়েছেন।
কেউ কেউ এটিকে ব্যবহার করছেন বাগানবাড়ির মতো করে। আবার অনেকে দলীয় কার্যালয় হিসেবেও ব্যবহার করেন। কোনো কোনো ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্যদের আত্মীয়স্বজন স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। এমনকি অনেক সংসদ সদস্য সাবলেট দিয়ে প্রতি মাসে ভাড়া আদায় করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র মতে, এসব অভিযোগ ওঠার পর সংসদ কমিটির পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যদের কয়েকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে সতর্ক করার পরও কাজ না হওয়ায় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে ২০১০ সালের ১৪ জুলাই বিষয়টি স্পিকারের দৃষ্টিতে নিয়ে আসেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।
পয়েন্ট অব অর্ডারে তিনি বিষয়টি উত্থাপনের পাশাপাশি ন্যাম ফ্ল্যাটের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন। জবাবে স্পিকার বলেন, 'এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। এখানে হাউস কমিটির সভাপতি প্রধান হুইপসহ আপনারা কয়েকজন আছেন, বিষয়টি আপনারা দেখবেন। ' স্পিকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, সংসদ কমিটি বাসা বরাদ্দ নিয়ে শর্ত ভঙ্গ করেছেন_এমন সদস্যদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়।
ন্যাম ভবনের প্রতিতলায় এক হাজার ৮০০ বর্গফুটের চারটি করে ফ্ল্যাট রয়েছে।
সংসদ সদস্যদের বরাদ্দ দেওয়া প্রতিটি ফ্ল্যাটে তিনটি বেডরুম, একটি ড্রয়িংরুম, একটি ডাইনিংরুম, একটি কিচেন ও দুটি বাথরুম রয়েছে। আর চারটি ফ্ল্যাটের সামনে একটি করে খোলা জায়গা এবং প্রতিটি ফ্ল্যাটের পেছনে ব্যালকনি রয়েছে।
কার বাসায় কে থাকেন : সংসদ কমিটির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নামে বরাদ্দ ন্যাম ফ্লাটের ৪ নম্বর ভবনের ৬০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে সাবেক সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা বসবাস করেন।
দিনাজপুর-৫ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিমন্ত্রী হলেও এখনো নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলের বাসা ছাড়েননি। তাঁর নামে বরাদ্দ ওই হোস্টেলের ৩ নম্বর ভবনের ৩০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তাঁর ব্যক্তিগত স্টাফ ও এমএলএসএস।
চট্টগ্রাম-১৩ আসনের এমপি এলডিপি চেয়ারম্যান ড. অলি আহমেদ বীরবিক্রমের নামে বরাদ্দ নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলের ৩ নম্বর ভবনের ২০২ নম্বর ফ্ল্যাট বন্ধই থাকে। মাঝেমধ্যে তাঁর আত্মীয়স্বজন এখানে এসে থাকেন।
ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য বিএনপির মো. মোশাররফ হোসেনের নামে বরাদ্দ নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলের ১ নম্বর ভবনের ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটে তাঁর ছোট ভাই পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলের ৭ নম্বর ভবনে বরাদ্দ কঙ্বাজার-২ আসনের এমপি জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদের ৩০১ নম্বর ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তাঁর ব্যক্তিগত স্টাফ বাবুল।
কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নামে বরাদ্দ নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলের ১ নম্বর ভবনের ১০৪ নম্বর ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন তাঁর ব্যক্তিগত স্টাফ ও নির্বাচনী এলাকার লোকজন।
ময়মনসিংহ-৯ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামের নামে বরাদ্দ নাখালপাড়া হোস্টেলের ৩ নম্বর ভবনের ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটে তাঁর ব্যক্তিগত স্টাফ রাসেল পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
কুমিল্লা-৩ আসনের বিএনপির কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের নাখালপাড়ার এমপি হোস্টেলের ৩ নম্বর ভবনের ৪০১ নম্বর ফ্ল্যাটে বাস করছেন তাঁর ব্যক্তিগত স্টাফ রাসেল পরিবার নিয়ে।
সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য সালমা ইসলামের নামে বরাদ্দ নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলের ১ নম্বর ভবনের ৪০৪ নম্বর ফ্ল্যাটে সপরিবারে থাকেন তাঁর বোন।
নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির মো. আবু তালহার নামের নাখালপাড়ার এমপি হোস্টেলের ৪ নম্বর ভবনের ২০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তাঁর শ্যালক।
সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য মমতাজ বেগমের নামে বরাদ্দ নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলের ১ নম্বর ভবনের ৫০২ নম্বর ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন তাঁর ব্যক্তিগত স্টাফ ও ভাতিজি।
বরিশাল-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপুর নামে বরাদ্দ নাখালপাড়ার এমপি হোস্টেলের ২ নম্বর ভবনের ৩০২ নম্বর ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তাঁর গাড়িচালক।
ময়মনসিংহ-১১ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আমান উল্লাহর নামে বরাদ্দ ন্যাম ফ্ল্যাটের ৪ নম্বর ভবনের ১০৪ নম্বর ফ্ল্যাটে তাঁর নির্বাচনী এলাকার লোকজন বসবাস করে।
কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এমপি জাতীয় পার্টির এ কে এম মাইদুল ইসলামের নামে বরাদ্দ ন্যাম ফ্ল্যাটের ৪ নম্বর ভবনের ৮০১ নম্বর ফ্ল্যাটে তাঁর ভাই সপরিবারে বাস করেন।
নীলফামারী-৪ আসনের সদস্য কর্নেল (অব.) এ এ মারুফ সাকলানের ন্যাম ফ্ল্যাটের ৫ নম্বর ভবনের ৪০১ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকছে তাঁর নির্বাচনী এলাকার লোকজন।
কাজী ফারুক কাদেরের নামে বরাদ্দ ন্যাম ফ্ল্যাটের ৫ নম্বর ভবনের ৪০৪ নম্বর ফ্ল্যাটে তাঁর নির্বাচনী এলাকার লোকজন বসবাস করছে।
তিনি নীলফামারী-৩ আসনের এমপি।
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের নামে বরাদ্দ নাখালপাড়ার এমপি হোস্টেলের ১ নম্বর ভবনের ১০৩ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকছেন তাঁর ব্যক্তিগত স্টাফ।
সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য বেগম তহুরা আলীর নামে বরাদ্দ নাখালপাড়ার এমপি হোস্টেলের ১ নম্বর ভবনের ৩০১ নম্বর ফ্ল্যাটে তাঁর ভাগি্ন পরিবার-পরিজন নিয়ে বাস করেন।
সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ও জাপা মহাসচিবের স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্নার নামে বরাদ্দ নাখালপাড়ার এমপি হোস্টেলের ১ নম্বর ভবনের ৪০১ নম্বর ফ্ল্যাট। সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তাঁর ছোট ভাই।
নাখালপাড়ার এমপি হোস্টেলের ৩ নম্বর ভবনের ৪০৪ নম্বর ফ্ল্যাটটি টাঙ্গাইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামানের নামে বরাদ্দ। আর সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তাঁর ব্যক্তিগত স্টাফ।
ওই হোস্টেলের ৩ নম্বর ভবনের ৩০১ নম্বর ফ্ল্যাটটি বরাদ্দ কুমিল্লা-৮ আসনের এমপি নাছিমুল আলম চৌধুরীর নামে। সেখানে সপরিবারে বসবাস করছেন তাঁর নির্বাচনী এলাকার লোকজন ও এক আত্মীয়।
একই হোস্টেলের ৪ নম্বর ভবনের ৩০৪ নম্বর ফ্ল্যাটটি মানিকগঞ্জ-২ আসনের এমপি এস এম আবদুল মান্নানের নামে বরাদ্দ।
কিন্তু সেখানে সপরিবারে বসবাস করছেন সাবেক সংসদ সদস্য সামসুদ্দিন আহমেদ।
নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকীর নামে বরাদ্দ নাখালপাড়ার এমপি হোস্টেলের ৪ নম্বর ভবনের ২০২ নম্বর ফ্ল্যাটে তাঁর বোন পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আনিছুল ইসলাম মণ্ডলের নামে বরাদ্দ নাখালপাড়ার এমপি হোস্টেলের ৪ নম্বর ভবনের ২০৪ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকেন তাঁর আত্মীয়স্বজন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সরেজমিন তদন্ত করে এই তালিকা করা হলেও তা পূর্ণাঙ্গ নয়। কারণ তালিকায় অনেক প্রভাবশালী এমপির নাম আসেনি।
জাতীয় সংসদের হোস্টেল শাখার হিসাব অনুযায়ী মাত্র ১০৭ জন সংসদ সদস্য ন্যাম ফ্ল্যাটে থাকেন। ফলে আরো যাচাই-বাছাই করলে তালিকাও বড় হবে বলে অনেকের ধারণা।
নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলের ৪ নম্বর ভবনের ২০৪ নম্বর ফ্ল্যাট বরাদ্দ পাওয়া রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আনিছুল ইসলাম মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, তাঁর ফ্ল্যাটে কেউ থাকেন না। তিনি মাঝেমধ্যে সেখানে অফিশিয়াল কাজ করেন। বাকি সময় ফ্ল্যাটে তালা দেওয়া থাকে।
তবে সেখানে প্রায়ই এমপির আত্মীয়স্বজন থাকেন বলে ওই ভবনের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান।
নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলের ১ নম্বর ভবনের ৩০১ নম্বর ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্য বেগম তহুরা আলীর ভাগি্নর সপরিবারের বসবাস নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী পরিবারের লোকদের ওই ফ্ল্যাটে থাকতে বাধা নেই। আর তিনি স্থায়ীভাবে না থাকলেও সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
একই কথা বলেন সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী। তাঁর নামে বরাদ্দ ফ্ল্যাটে তাঁর বোন পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
তিনি বলেন, বাইরের কেউ তাঁর ফ্ল্যাটে থাকে না। সংসদ সচিবালয়ের অনুমতি নিয়েই পরিবারের লোকজন সেখানে থাকছে।
সুত্র: কালের কন্ঠ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।