থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। [ বিস্তারিত]
বাংলাদেশ আর্মির ট্রেনিং-এ যখন যুদ্ধের ময়দান বোঝানো হয়, তখন আমাদের আর্মিকে শত্রুপক্ষ হিসাবে ভারতীয়দের গণ্য করা হয়। কেননা আমাদের সীমান্তের চার ধারেই ভারত, আর তাদের অনেক সেনা মোতায়েন করা আমাদের দেশের দিকে মুখ করে।
আগে কি হত?
ভারত এবং বাংলাদেশের দুই দেশের দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ন্ত্রাস মোকাবিলায় দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী কমান্ডোদের সঙ্গে এই যৌথ মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন অংশ নেয়।
এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে একজন কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা নেতৃত্বে দেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে যায়। এর মধ্যে কতগুলো কোর্স রয়েছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক। স্টাফ কলেজ ও ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ভারতের সেনাবাহিনীর সদস্যরাও কোর্স করতে বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও ভারতের স্টাফ কলেজে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য যাওয়ার রেওয়াজ আগে থেকেই চালু রয়েছে।
এইবারে এক্টুস খানি ইতিহাস থেকে পাঠ। স্বাধীনতার পরে পরেই দিল্লীস্থ স্টাফ কলেজ থেকে আমাদের সেনাবাহিনীর [ এবং পরবর্তীকালের রাজনীতিতে ] এক উজ্জ্বল নক্ষত্র স্টাফ কোর্স করেছিলেন। এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম হো মো এরশাদ। সে সময়ে বিখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ আলী মিয়া ওরফে সুধা মিয়া সপরিবারে ভারতে ছিলেন। এর পরে ওয়াজেদ মিয়া সপরিবারে চলে যান পশ্চিম জার্মানীর বন শহরে।
তার কিছু পরে পশ্চিম জার্মানিতে বাংলাদেশের রাস্ট্রদূত হন হুমায়ুন রশিদ চৌধুরি। [ কার সাথে যে কোথায় মিলে ….... ! ]
এখন কি হতে যাচ্ছে?
বিভিন্ন সেমিনার, যৌথ পর্বত অভিযান, সেনাবাহিনীর কুকুর প্রশিক্ষণ, গরু, ছাগল ও মুরগি জবাই কোর্স, ঘোড়া প্রজনন প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন যাচ্ছে ভারতে।
২০০৯ সালের জুন মাসে ঘোড়া প্রজনন প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চারটি টিম ভারতে গেছে।
গেল ২০১০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত আর্মির কুকুর প্রশিক্ষণ অফিসার টিম কোর্স করতে ভারতে যায়।
এর পরে ২০১০ সালেই ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত একটি টিম গরু, ছাগল, মুরগি জবাই প্রশিক্ষণ নিয়েছে ভারতে।
প্রশ্ন হচ্ছে, হালাল ভাবে পশু জবাই করতেও কি আমাদের আর্মি পারে না?
আসলেই অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের। জ্ঞানের কোন সীমা নাই!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।