ঘাস ফড়িং এর স্বপ্নমালা
এ লেখাটার নাম হতে পারত ওয়ার রিমন্যান্ট মিউজিয়াম পর্ব ২... কিন্তু দিতে ইচ্ছে করল না। কারণ সভ্যতার পতাকাধারী ইউ,এস,এ র ততোধিক সুশৃংখল আর্মির বর্বরতার একটু হলেও আভাস দিতে চেয়েছি শিরোনামে... যাতে সবাই এক নজর হলেও চোখ বুলিয়ে যায়... ওদের হয়তো এর চেয়েও বিভীৎসতার নজির আছে ... যায় হোক ছবিগুলোতে একবার চোখ বুলান ...
গিলোটিন শিরোচ্ছেদ করার মেশিন ... সভ্য আর্মির মধ্যযুগীয় পন্থা... বুঝতেই পারছেন কতটা ঐতিহ্যপ্রিয়..
হতভাগা মৃত্যুর পরও শান্তি পায়নি
দুই বীরঙ্গনা (নাগো থি টোন এবং কিউ থি তু) ... বশ্যতা স্বীকার না করায় ফসফরাস হ্যান্ড গ্রেনেড দিয়ে মুখ ঝলসে দেওয়া হয়েছে... আহা কি মহান সেনা আহা কি বীরত্ব নিরস্ত্র নারীর উপর ..
বিদ্রোহী ট্রান ভ্যান... আসলেই অকুতোভয় ছিল নইলে একজনকে মারতে কি এতগুলো সেনা বন্দুক তাক করে... আসলে বেটারা বন্দি ভ্যানকেও ভয় পাচ্ছিল সম্ভবত...
নির্যাতিত বন্দিনী... মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন
ওর গন্তব্য কোথায় ছিল কে জানে???
নৃশংস .... গ্রেনেডে ছিন্ন বিছিন্ন এক নিরীহ কৃষকের দেহাং শ নিয়ে শকুনের উল্লাস... ছি:
আরো কিছু ছবি ছিল দিতে ইচ্ছে করছে না.... তারচেয়ে একটা কৌতুক বলে লেখাটা শেষ করি কেমন?
ভিয়েতনাম যুদ্ধে প্যাদানি খেয়ে যখন ইউ,এস আর্মি দেশে পালাচ্ছে ... তখন যুদ্ধের মূলহোতা নিক্সন বলে উঠেন, 'আমরা সাধারণ ভিয়েতনামিজদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম কিন্তু হায় তারা বুঝতে পারল না' ওদের সাহায্যের নমুনা উপরের ছবিগুলোতে কিছুটা হলেও দৃশ্যমান হয়েছে নিশ্চয়... এর চেয়ে নির্মম কৌতুক আর কি হতে পারে??
ওয়ার রিমন্যান্ট মিউজিয়াম পর্ব ১
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।