হট নিউজ উভয়ে একে অপরকে বি এন পির দালাল বলেছেন। আসলেও কি তাই? কথায় বলে যা রটে তা কিছুটাও হলে বটে!
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে ‘কীর্তি’ স্থাপন করেছে তার একদিকে জাতীয় সংসদের সদস্য, একদা চলচ্চিত্রের ‘মিষ্টি মেয়ে’, অধুনা সাহারা খাতুনের ভবিষ্যত্ উত্তরাধিকারী হিসাবে খ্যাত সারাহ বেগম কবরী, অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জকে যিনি মৃত্যু উপত্যকা বা আতঙ্কের জনপদে পরিণত করে শহরবাসীর ঘুম হারাম করে, নিজের বীরত্ব জাহির করে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, সন্ত্রাসের ‘গডফাদার’ হিসেবে কুখ্যাত হয়েছিলেন সেই শামীম ওসমান। ঘটনা সামান্য, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম ২০ জুন নারায়ণগঞ্জ শহরে আধাবেলা হরতাল আহ্বান করে। বর্ধিত বাস ভাড়া কমানোর জন্যই ছিল এই উদ্যোগ। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সংগঠন এতে সমর্থনও জোগায়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক পরিবহন মালিক কমিটির যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম এবং আওয়ামী লীগের এমপি ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন। সভার শুরুতেই শামীম ওসমান ও পরিবহন মালিকরা ছিলেন মারমুখী। বাস ভাড়া কমানোর পক্ষে নাগরিক কমিটির সেক্রেটারি বক্তব্য দিতে শুরু করলেই তাদের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন শামীম ওসমান। শামীম ওসমানকে তার বক্তব্য প্রদানে বাধা দেন এমপি কবরী। দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ।
শুরু হয় ধুন্দুমার কাণ্ড। শামীম ওসমান তেড়ে যান কবরীকে মারতে। তাতে বাধা দিলে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে হজম করতে হয় ঘুষি ও গলাধাক্কা। আওয়ামী লীগে কোনো পদ বা পদবি না থাকলেও কোন রহস্যজনক কারণে শামীম ওসমানকে ওই মিটিংয়ে ডাকা হয়েছিল, তাও এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশ্চর্যরকম নীরবতারই বা হেতু কী—তাও এখন ক্ষোভের কারণ।
তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতেই স্বমূূূর্তিতে ফিরে আসতে শুরু করেছেন শামীম ওসমান।
পরিস্থিতির এতই অবনতি ঘটে যে শেষ পর্যন্ত র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ ডাকতে হয়েছিল প্রশাসনকে। এদিকে শামীম ওসমানের ভাই সেলিম ওসমান ক্রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার কীর্তিমান ভ্রাতা শামীম ওসমানের ওপর। গোস্বার কারণ—কেন তিনি কবরীর মতো অসভ্য মহিলাকে চপেটাঘাত করেননি!
তেড়ে যাওয়া, ঘুষি মারা, গালাগালি, চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি ইত্যাদির ভেতর দিয়ে মহা উত্তেজনাকর সভাটি পণ্ড হয়ে গেলেও হরতাল অবশ্য শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার হয়েছে, যদিও বাসভাড়া রয়ে গেছে বহাল তবিয়তে-পরিবহন মালিকদের মর্জি মোতাবেক। তবে এই তাণ্ডবের মধ্যে শামীম ওসমান ও কবরী দু’জনই দু’জনকে বিএনপির দালাল আখ্যায়িত করে আত্মতৃপ্তি লাভ করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।