অদ্ভুত পৃথিবী হ্যা সত্যি এবার ভারত থেকে ভারতীয় কুমিড়(ঘড়িয়াল-যা মিঠা পানির কুমিড়,লম্বা ঠোট ওয়ালা) প্রধান আমাদের কুমিড় বাহিনির আমন্ত্রনে এই দেশের মাটিতে নেমেছেন। তবে তিনি এই দেশে
এসেছেন বাহিনির প্রধান হিসাবে নয় ,এসেছেন ওঝা হিসেবে । শুনেছি আমাদের কুমিড়দের মধ্যে কি জেন এক বিশেষ রোগ হয়েছে তাই তাকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে ঝাড় ফূ দিতে যাতে এই রোগ দূর হয় । তবে আমি বুঝতেছি না ঘড়িয়াল প্রধান আমাদের কুমিড়দের কিভাবে রোগ সারাবেন ,যদিও তিনি এক বিশাল দেশের শক্তিশালী বাহিনির প্রধান তবুও আপনারা জানেন ঘড়িয়াল এর চেয়ে কুমিড়ের শক্তিকতগুন বেশি যদিও এই কুমিড়রের সংখা কম ।
আমার বিশেষ সন্দেহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গদির চারটা খুটি এই কুমিড়ের পাগালামির কারনে নড়বড় হয়েছে কিনা ? কারন তার এই চার খুটি এই কুমিড়দের পিঠেরে উপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে একটু নড়লেই শেষ।
শুনলাম এই নড়বড় নাকি আগেও হয়েছিল বছর দুয়েক আগে তখনকার ঘড়িয়াল প্রধানের ঔষধে কাজ হয়েছিল তবে তাকে আসতে হয়নাই কারন তিনি তখন টেলিমেডিসিন দিয়েছিলেন তবে ঐ মেডিসিনে কাজ হয়েছিল তাই আবারো চেষ্টা ।
আসুন এবার ঘড়িয়াল প্রধানের অভিজ্ঞতা জান যাক ,তিন ১৯৭০ সালে ভারতীয় বাহিনিতে যোগ দান করেন জুনিয়র অফিসার হিসেবে ১৯৭১ সালের ৩-১৬ ডিসেম্বর তারিখে মিত্র বাহিনি হিসেবে যুদ্ধ করেন।
আমাদের কুমিড় বাহিনির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ভারতীয় ঘড়ীয়াল প্রধান আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে একজন নবীন অফিসার হিসেবে মিত্রবাহিনীর হয়ে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করেছেন। তা ছাড়া স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ঘড়িয়াল কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনিই একমাত্র চাকরিরত আছেন। তাঁর মতো একজন ব্যক্তিত্বকে আমাদের বাহিনির প্যারেডে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোয় আমাদের নবীন কুমিড়দের মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
আমার প্রশ্ন মাত্র (১৬-৩=১৩) দিন যুদ্ধ করে যদি এই ব্যাক্তিকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাহলো এই দেশের যারা ২৬১ দিন যুদ্ধ করে এই দেশকে স্বাধীন করলো তারা কি দোষ করেছে ? তারা কি এই অনুষ্টানে প্রধান অতিথী হিসেবে আমান্ত্রন পেয়েছেন?
আমার এখন একটি কথা হলো কেন এই ব্যাক্তি কে আমন্ত্রন করা হয়েছে ,আসলে আমাদের প্রেসিডেন্ট সাহেব শারিরিক ভাবে এতই দূর্বল যে তিনি এই অনুষ্টানে দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে সালাম ও অভিবাদন নিতে পারবেন না তাই হয়তো এই শক্তি শালী ব্যক্তিকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে । আমার মতে এইরকম ব্যক্তি কেই প্রেসিডেন্ট বানানো উচিৎ তাহলে হয়তো অন্য দেশের বিশেষ বাহিনির প্রধান কে আর ভাড়া করে আনতে হবে না ।
পরিশেষে আমার কথা এই যে,আমার এই লেখা আমার নিজে মনের ক্ষোভ থেকে লেখা ,কারও পক্ষে অথবা কারোও বিপক্ষে নয় সবসময় দেশের পক্ষে থাকতে চাই...। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।