কিছু বুললে তো বুলবে বুলছি.... অত্যন্ত বিচিত্র রকমের ভয়ঙ্কর একটি জিনিস। ‘লোকের কথা’কে ভয় পায় না এমন লোক খুব কমই আছে। নিজের মত করে, স্বাধীনভাবে যদি আপনি কিছু একটা করতে চান বা যান, সবার আগে একটা চিন্তাই মাথায় আসবে- “লোকে কি বলবে!” একজন প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের যেকোন মানুষের অধিকার আছে ভাল-মন্দ বুঝে নিজের ইচ্ছায় কিছু করার। তবে কেন লোকের ভয়ে থেমে যাওয়া? ব্যক্তিস্বাধীনতা পরের কথার তুলনায় কি এতটাই নগন্য?
সমাজে অনেক কিসিমের মানুষের সাথে মিলেমিশেই আমাদের বাস করতে হয়। এর মধ্যে ‘কথা বলা’ মানুষ যারা থাকেন, তারা সুযোগ পেলে তো কথা বলেনই, কখনো সুযোগ করে নিয়েও বলেন।
অধিকাংশ সময়েই সেইসব কথার বাউন্ডারি বলে কিছু থাকে না। মনের মাধুরী মিশিয়ে তারা বলেন। যা নয়, তা-ও বলেন। মরণের ডাক আসার আগ পর্যন্তও বলে যান। আর এই ধারাবাহিক কথার ভয়ে জড়সড় হয়ে থাকেন ‘কথা’ না বলা মানুষেরা।
এই বুঝি পাড়ায় ঢিঢি পড়ল, মাথাটা কাটাই গেল, মুখটা রাখি কোথায়…….. এমনি কত অনিশ্চয়তায় ঘিরে থাকেন সেইসব ‘বোবা’ মানুষ। একটি বার সাহস করে ভাবেন না- আরে, আমি লোকের খাই না পরি? আমার কাছে যেটা প্রয়োজন, করা উচিত, সেটা সবার কাছে ‘কবুল’ হওয়ার দিব্যি কে দিয়েছে আমাকে? আমার জীবন নিয়ে অন্যের মাইগ্রেনের তো কারণ নেই। তাহলে কেন “সংশয় সংকল্প সদা টলে, পাছে লোকে কিছু বলে?” নিজে ঠিক তো সব ঠিক। আমার দৃষ্টিভঙ্গিই আমার জীবনের অপারেটিং সিস্টেম। সেধে কেন Hacked হব?
আপনার দৃঢ়তা, অবিচল মনোভাব আর আত্মবিশ্বাস লোকের মুখে ঝামা ঘষে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
তবে খেয়াল রাখবেন, ব্যক্তিস্বাধীনতার উপভোগটা যেন কালিমালিপ্ত না হয়। কাউকে আঘাত করে, কারো প্রতি অন্যায় করে আপনি ভাল থাকতে পারবেন না। আত্মায় যদি শান্তি না থাকে, সব কিছু ব্যর্থ!
মনে রাখবেন— সততা, স্থিরতা, সুনীতি- এই তিনে উন্নতি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।