আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'এ মাস্ট রিড' [ A Must Read ] লেখা

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। বিস্তারিত পড়তে চাইলে এখানে টুকা দেন। এতো সুন্দর করে আম্লীগের ভন্ডামী কেউ আগে লিখতে পারে নাই। ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান। আমাদের নীতিবিহীন রাজনীতিকদের আসল চরিত্র তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ পাবেন আপনি।

তবে এটাও ঠিক, আম্লীগের চামচারা আপনার চামড়া তুলে নেবার সব ব্যবস্থাই করবে। আজকালের ভেতরেই আওয়ামী লীগের বুদ্ধিবিক্রেতারা আপনার বিরুদ্ধে কি কি লেখে, তার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত শ্রদ্ধেয় মাহমুদুর রহমান, আপনার লেখা আমরা পড়তে থাকব। পাঠক, আসুন আপনিও পড়ে নিন, যদি এখনও না পড়ে থাকেন এই লেখাটি। Click This Link চুম্বক অংশঃ আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে আজ যারা বিজয়ীর বেশে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে হাস্যোজ্জ্বল মুখে দাঁড়িয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঝেড়ে ফেলার সদর্প ঘোষণা দিচ্ছেন, তাদের ১৯৯৪ সালে ফিরে তাকানোর অনুরোধ করি।

প্রধানমন্ত্রীর ভাই শেখ সেলিম এমপি বলেছেন, "আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে, সেই অবৈধ বোঝা আমরা ঘাড়ে নেব কেন?" ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং সংসদের তত্কালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় পার্টি সম্মিলিতভাবে দুই বছরব্যাপী সফল, সহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ সেলিম বর্ণিত অবৈধ বোঝাটি জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ নেত্রী সংবাদ সম্মেলন করে বর্তমানে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কারারুদ্ধ জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী , সালাহ্উদ্দিন কাদের চৌধুরী (তখন এনডিপি প্রধান) ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে (তখন জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারক) পাশে বসিয়ে সর্বপ্রথম বর্তমানে কথিত অবৈধ ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলেন। সেই সংবাদ সম্মেলনেই আজকের সংবিধান সংশোধন কমিটির কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত , দল নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে যুগান্তকারী আখ্যা দিয়ে তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বক্তব্য রেখেছিলেন। তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ‘পাগল এবং শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নন’ বক্তব্য দিয়ে আওয়ামীপন্থী সংবাদ মাধ্যম, বুদ্ধিজীবী এবং কলামিস্টদের দ্বারা দারুণভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন। দেশের বিশিষ্ট সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকেও সংবিধান সংশোধন কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এবং কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বা অপর কোন সদস্যই "প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন" এমন কোনো ইঙ্গিত দেন নি ।

সর্বমহলের সঙ্গে আলোচনার নামে এই কালক্ষেপণ এবং তামাশার কোনো প্রয়োজন ছিল না । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.