বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যঅধিবেশন শেষে আইন মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সংবিধানের ২২ অনু্চ্ছেদে পরিষ্কারভাবে লেখা আছে রাষ্ট্র বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। ”
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ফৌজদারী কার্যবিধি সংশোধন করে বিচারিক ক্ষমতা বিচারিক হাকিমদের হাতে দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “নির্বাহী ম্যাজিস্টেটদের বিচারিক ক্ষমতা সংবিধান ও উচ্চ আদালতের মাজদার হোসেন মামলার রায় অনুযায়ী সমর্থনযোগ্য নয়। ”
ফৌজদারী কার্যবিধি সংশোধনের উদ্যেগ নেয়া হলে তাতে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের বত্যয় ঘটবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আইন মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন করা যাবে না।
আর তেমন কেনো আইন করলেও উচ্চ আদালত তা বাতিল করে দেবে।
বর্তমানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্টেটরা বিচারের ক্ষমতা পাচ্ছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা বিচার করছেন্ তবে সামনে কোনো ঘটনা ঘটলে তবেই তারা শাস্তি দিতে পারছেন।
মন্ত্রী বলেন, “বিদ্যামান মোবাইল কোট আইনে নির্বাহী ম্যাজিস্টেটদের সামনে কোনো ঘটনা ঘটলেও দোষ স্বীকার না করলে দণ্ড দেয়ার সুযোগ নেই। এ বিষয়টি সংশোধন করে বাদ দেয়া যায় কিনা তা দেখা হবে। ”
গত মঙ্গলবার সম্মেলনের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেস্টা এইচ টি ইমাম সাংবাদিকদের জানান, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্টেটেদের সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষমতা চেয়েছেন জেলা প্রশাসকরা।
এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং বিচার বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানিয়েছিলেন উপদেস্টা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।