আগের পর্ব-
Click This Link
এবার আসা যাক ইয়াসমীন বোনদের প্রসঙ্গে। ফরিদা ইয়াসমীন, ফৌজিয়া ইয়াসমীন (খান), নীলুফার ইয়াসমীন আর সাবিনা ইয়াসমীন এ চার বোন গত শতকের ষাটের দশক থেকে আমাদের সংগীতজগতে আলো ছড়িয়ে চলেছেন। এই চার বোন আবার বিবাহসূত্রেও সংগীত জগতের তারকাদের সাথে জড়িয়েছেন। ফরিদার বর কাজী আনোয়ার হোসেন আমাদের কাছে এখন মাসুদ রানা হলেও এক কালে ছিলেন জনপ্রিয় শিল্পী। বেলা বয়ে যায় মধুমতি গাঁয় বা রিকশা ওয়ালা বেচারার মতো বিখ্যাত গানের গায়ক তিনি।
তার বোনদের গানের কথাতো আগেই বলেছি। ফরিদা এখন আর গানের জগতে নেই। ফৌজিয়ার বর মোবারক হোসেন খান হলেন ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর ছেলে। বাকী বিবরণ আগেই দিয়েছি। নীলুফার ইয়াসমীনের বর খান আতা নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান।
গায়ক, নায়ক, চলচ্চিত্র পরিচালক, সুরকার, সংগীত পরিচালক কি ছিলেন না তিনি। নীলুফার-আতা দম্পতির ছেলে আগুনকে এই প্রজন্মের সবাই এক নামে চেনেন। তাঁদের কন্যা রুমানা ইসলামও ভালো গায়িকা হিসাবে নাম করেছেন। সাবিনার আগের বর ছিলেন চলচ্চিত্রের নৃত্য পরিচালক। পরে তো ওপার বাংলার নামী গায়ক সুমনের সাথে তাঁর বিয়ে হয়।
রুনা লায়লার বোন দীনা লায়লা ষাটের দশকে পশ্চিম পাকিস্তানে জনপ্রিয় শিল্পী ছিলেন। তাঁর অসুস্থতার কারণে রুনাকে গাইতে হয় মঞ্চে। আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। তাঁর মা আমিনা লায়লাও গান করতেন। রুনার বর্তমান বর আলমগীরকে আমরা নায়ক বলে জানলেও তিনি গায়কও।
তাঁর কন্যা আঁখি আলমগীর গায়িকা হিসাবে এ প্রজন্মের কাছে চেনা নাম। রুনার ফুপু লায়লা আর্জুমান্দ বানু অল ইণ্ডিয়া রেডিওতে গান গাইতেন। ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা বেতারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম গানটি গেয়েছেন তিনি। রুনার মেয়ে তানিও গান গাইছেন।
লোক সংগীতের প্রবাদ পুরুষ আব্বাস উদ্দিন আহমদ।
তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ব্যারিস্টার মোস্তফা কামাল আব্বাসী এক সময় ছিলেন বিটিভির জনপ্রিয় উপস্থাপক। পরে তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন। তাঁর কন্যা ড. নাশিদ কামালও নামকরা কণ্ঠশিল্পী। আব্বাস উদ্দিনের অপর পুত্র মোস্তফা জামান আব্বাসী খ্যাতিমান গায়ক। তাঁর স্ত্রী অধ্যাপিকা আসমা আব্বাসী লেখালেখি করেন।
তাঁদের বোন ফেরদৌসী রহমান ১৯৬৪ সালে বিটিভির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম গানটি গেয়েছিলেন। সকল প্রকার গানে তাঁর মতো সমান দক্ষতাসম্পন্ন শিল্পী আমাদের দেশে আর কেউ আছেন বলে আমার জানা নেই।
আমাদের গানের জগতে সুলতানা বোনেরা আছেন চার জন। সালমা সুলতানা (আলী), আবিদা সুলতানা, রেবেকা সুলতানা আর চিত্রা সুলতানা। তাঁদের আরো বোন আছেন।
তবে গানে নেই। সালমরা বর আলা উদ্দিন আলী প্রখ্যাত সুরকার ও সংগীত পরিচালক। তাঁদের কন্যা আলীফ এই প্রজন্মের নামী উপস্থাপক ও কণ্ঠশিল্পী। আবিদার বর রফিকুল আলম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এক জন শিল্পী। চিত্রার মেয়ে নওরীনতো ''নাতি খাতি বেলা গেলো শুতি পারলাম না রে ছদরুদ্দির মা'' এই গান গেয়ে পিচ্চি বয়সেই তারকা বনে গিয়েছিলো।
তাদের ভাই শওকত আলী ইমন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় সুরকার ও সংগীত পরিচালক। ইমনের স্ত্রী বিজরী রবকত উল্লাহ জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল। বিজরীর মা জিনাত রবকত উল্লাহ আমাদের শীর্ষস্থানীয় নৃত্যশিল্পী। বিজরীর বাবা বরকত উল্লাহ ছিলেন বিটিভির নাট্য প্রজোজক।
(চলবে)
পরের পর্ব-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।