একজন আমি, একজন হারিয়ে যাওয়া এবং একজন দূর প্রবাসী
সংস্কৃতি খুবই আজব একটা জিনিস। কেউ যতই চেষ্টা করুক না কেন বিভিন্ন সংস্কৃতির মিশ্রনকে বন্ধ করতে পারবে না এবং সে চেষ্টা করে লাভও নাই। কারন কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়।
১.এই যে বাঙগালীদের আপন উৎসব “নববর্ষ” এটা তো কেবল মোঘল সম্রাট আকবরের সময় শুরু হল যদিও বাঙ্গালী অনেক পুরানো জাতি। আজকে কফি ওয়ার্ল্ড আর পিজা হাট এ গেলে যারা জিজ্ঞাসা করে কেন ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতি অনুসরন করা হয় তাদের কে বলছি, সংস্কৃতি কি এতোই নরম যে একটা বার্গার বা পিজা খেলেই সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে যাবে? সংস্কৃতি হল একটা জাতির জীবন যাপনের নিয়ম রীতিনীতি আচার ব্যবহার এসব কিছুর মিশ্রন, আর আমাদের হাজার বছরের পুরানো মহীরুহু সংস্কৃতির গায়ে দু একটা বার্গার ছুঁড়ে মারলেও কিছু আসবে যাবে না।
২.মানুষ স্বভাবতই নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আগ্রহী, বিশেষ করে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি। মদ খাওয়া প্রাচীন একটা রীতি কিন্তু আমাদের দেশে এটার প্রচলন খুবই কম। বহির্বিশ্ব বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন দেশগুলোতে মদ খাওয়া ভদ্রতার পরিচায়কে পরিনত হয়েছে। আমাদের দেশেরও কয়েকজন গুটি কয়েক রাতারাতি ভদ্রলোক সাঁজতে মদ খায়, বিশেষ করে যারা “ঘুষ” নামক জিনিষটা ছাড়া একদিনও চলতে পারে না এবং সেই টাকা দিয়ে যারা “পোশ” ক্লাবের মেম্বার হয় তারা। এদের অবস্থা এমন যে ফ্রি দিলে তারা আলকাতরাও খাবে নিজেদের ভদ্র প্রমান করতে।
এখন তাদের মেয়েরাই তো ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতির জামা কাপড় (বর্ননা না হয় নাই দিলাম )পড়ে তাদের বাবা বা মা এর মত ভদ্র এবং “ইস্মার্ট” সাঁজতে চায়, যদিও তাদের কেমন দেখায় তা আর না বললাম।
৩.আজকাল দেখা যায় কেউ যদি দেশের কথা বলে তাকে আতেঁল গাইয়া খেত বলে অপমান করা হয়। নতুন প্রজন্ম এখন দেশের কথা ভুলতে বসেছে। নতুন প্রজন্ম এখন টাকা পয়সার পেছনে ছুঁটে। কার কয়টা গাড়ি আছে, কে কোথায় কোন ক্লাবে নাচে এগুলাই বেশি প্রভাব ফেলে মানুষকে বিবেচনা করতে।
এখন কেউ যদি কন্সার্ট এ যায়, ক্লাব এ নাচে আর দফায় দফায় সিগারেট খায় তাহলে কি সে আধুনিক হয়ে গেল? এ কেমন কথা?
৪.আগে ছেলে মেয়ে দের না দেখেই বিয়ে হয়ে যেত। সেই প্রথা আজ আর নেই কারন তা অনেক বড় ভুল ছিল। কিন্তু আজকাল বাচ্চা পোলাপাইনদের গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড বানানোর হিড়িক দেখে মাঝে মাঝেই মাথা ঘুরে যায়। ক্লাস টু তে পড়ে এমন ছেলের গল্প ওয়েস্টার্ন কালচারকেও হার মানাবে। আমাদের ভবিষ্যত সম্পদ যদি এভাবে নষ্ট হতে থাকে তাহলে আমাদের দেশের ভবিষ্যত অন্ধকার।
অনেক আতলামি করলাম। যিনি যিনি এই লেখা পুরোটা পড়বেন তাদের জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।