ভালো থাকার জন্য ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীরে পড়তে পারে বিরূপ প্রভাব।
যাদের রাত জাগার অভ্যাস আছে কিংবা যারা রাতে কাজ করেন তাদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হতে পারে। তবে এই দেরি করে ঘুম আসার কারণ বংশগত নাকি অভ্যাসগত তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন ড. মাইকেল ব্রুস।
আপনি হয়তো বলবেন, এসব তো জানি।
কিন্তু তাড়াতাড়ি ঘুম আসার উপায় কি? ব্রুস তাড়াতাড়ি ঘুম আসার জন্য সাতটি উপায়ের কথা বলেছেন।
১. ইলেক্ট্রোনিক যন্ত্রকে না বলুন: আপনি হয়তো ঘুমানোর জন্য তাড়াতাড়িই বিছানায় গেলেন। আপনার হাতে মোবাইল। মোবাইল থেকে ফেসবুকে গিয়ে কখন যে দুই ঘণ্টা পার হয়ে গেছে আপনি টেরও পাননি! তাই তাড়াতাড়ি ঘুমের অভ্যাস করতে যেকোনো ধরনের ইলেক্ট্রোনিক যন্ত্র বিছানা থেকে দূরে রাখুন। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে সব ইলেক্ট্রোনিক যন্ত্র বন্ধ রাখুন।
2. কর্মপরিকল্পনা করুন, ডায়রি লিখুন: সন্ধ্যার সময় আপনার পরবর্তী পরিকল্পনা ঠিক করে নিন। গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখুন। যে বিষয়গুলো নিয়ে আপনি চিন্তিত তা লিখে ফেলুন। দেখবেন আপনার মন অনেক হালকা হয়ে গেছে। তাই নিশ্চিত মনে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতেও পারছেন।
৩. অ্যার্লাম দিয়ে রাখুন: অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমাতে যাওয়া কিন্তু তাড়াতাড়ি ঘুম আসার জন্য সহায়ক।
৪. কাজ অফিসেই রেখে আসুন: কাজের সময় কাজ আর বিশ্রামের সময় বিশ্রাম। তাই অফিসের কাজ বাসায় টেনে আনবেন না। সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ইমেইল চেক করবেন না।
৫. সকালে ব্যায়াম করুন: দিনটি শুরু করুন ব্যায়াম করা দিয়ে।
কারণ রাতের চেয়ে সকালের ব্যায়াম সুনিদ্রার জন্য সহায়ক। সকালের ব্যায়াম আপনার দিনটি তাড়াতাড়ি শুরু করতেও সাহায্য করে।
৬. কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করুন: কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম আসার জন্য সহায়ক।
৭.ক্লান্ত থাকার সময় ঘুমাতে যান: জোর করে রাত জাগতে যাবেন না। যখন আপনার ক্লান্ত লাগে তখনই ঘুমিয়ে পড়ুন।
তাড়াতাড়ি ঘুম আসার উপায়গুলো তো জানলেন। এবার চেষ্টা করেই দেখুন না, রাতজাগা পাখি থেকে সকালবেলার পাখি হতে পারেন কিনা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।