তৃণমূলে দলীয় নেতা-কর্মীদের খবর জানতে গতকাল থেকে সারা দেশে আনুষ্ঠানিক সাংগঠনিক সফর শুরু করেছেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা। ২৫ মে পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ১৯টি টিমে ভাগ হয়ে সফর করবেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা। এ সফরের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধী বিচার ত্বরান্বিত ও বিরোধী দলের সরকারবিরোধী অপপ্রচারের জবাব দেওয়া হবে।
গতকাল আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সফরের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ।
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের তৃণমূলের খবর জেনে কেন্দ্রে রিপোর্ট করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিগত সরকারের সময় দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। চালের দাম তেলের দাম তারাই বৃদ্ধি করে রেখে গেছে। সরকার গ্যাস, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধী বিচার, জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার বিচারসহ সব অপরাধ ও দুর্নীতির বিচার এ সরকার করবে।
সাজেদা চৌধুরী বলেন, উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত করতে বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বেগম খালেদা জিয়ার আন্দোলনের হুমকির জবাবে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা আন্দোলনে মাথা নতো করে না, হুমকি দিয়ে লাভ হবে না।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ সূত্রে জানা গেছে সারাদেশে সাংগঠনিক সফরের সময় তৃণমূলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক চিত্র জানার চেষ্টা করবেন নেতারা। সূত্র মতে, দল ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থান ক্রমাগত বিপর্যয়ের মুখে। কোন্দল ও বিভক্তিতে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতার খবর প্রধানমন্ত্রীও জানতে পেরেছেন বিভিন্ন মাধ্যমে।
মাঠপর্যায়ে দলের সাংগঠনিক প্রতিবেদন তৈরির পাশাপাশি সরকারের জনপ্রিয়তা এবং সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ব্যবধান সম্পর্কে সঠিক চিত্র জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। এ কারণেই স্বেচ্ছাসেবক লীগের দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর।
সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী সুইজারল্যান্ড রওয়ানা হওয়ার আগেই স্বেচ্ছাসেবক লীগের এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতে গতকাল দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের দিকনির্দেশনা দেন। পর্যায়ক্রমে দলের অন্যান্য সহযোগী সংগঠন এবং প্রধানমন্ত্রীর পারসনাল উইং সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে প্রাক জনমত জরিপ চালাবেন বলে জানা গেছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেবেন বলেও জানিয়েছে দলের শীর্ষস্থানীয় একটি সূত্র।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।