শীর্ষ নিউজ ডটকম
: সত্য ও জবাবদিহিতা (ট্রুথ কমিশনের) কমিশনকে অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দেননি সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আজ সোমবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে ট্রুথ কমিশনকে অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রইলো।
আদালতের আদেশের পর রিটকারীর আইনজীবী আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ট্রুথ কমিশনকে অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রইলো। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন ইচ্ছে করলে ট্রুথ কমিশনে অনুকম্পা পাওয়াদের বিরুদ্ধে এখন ব্যবস্থা নিতে পারবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আইন করা হয় যে, অনিয়মভাবে অর্থ আয় করা হলেও যারা সত্য ও জবাবদিহিতা কমিশনের কাছে দোষ স্বীকার করবে তাদের ক্ষমা করে দেয়া হবে। এ প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের জুলাই মাসে 'ভলান্টারি ডিসক্লোজার অফ ইনফরমেশন অর্ডিন্যান্স' জারি করে মাত্র ৫ মাসের জন্য সত্য ও জবাবদিহিতা কমিশন (ট্রুথ কমিশন) গঠন করা হয়। ২০০৮-এর ৩ আগস্ট ট্রুথ কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। অধ্যাদেশ অনুযায়ী ২০০৯-এর ২ জানুয়ারি এটি বিলুপ্ত হয়। এই কমিশনের আওতায় নিজ দোষ স্বীকার করায় প্রায় ৫শ' লোককে ক্ষমা করে দেয়া হয়।
এ কমিশনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৮ সালের ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আদিলুর রহমান খান শুভ্র, উন্নয়ন বিকল্প নীতি-নির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) নির্বাহি পরিচালক ফরিদা আক্তার, আওয়ামী লীগের তখনকার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং অধিকারের তখনকার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন এলান হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। রিটের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ১১ নভেম্বর ওই কমিশনকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপর সরকার পক্ষের আবেদনে ওই বছরের ১৬ নভেম্বর চেম্বার জজ হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে।
পরে সরকার পক্ষে আপিল না করলেও 'দায়মুক্তি; পাওয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মঞ্জুর আহমেদসহ তিনজন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে লিভ টু আপিল আবেদন করেন।
রিটকারীদের পক্ষে ড. তৌফিক নেওয়াজ, এডভোকেট আসাদুজ্জামান এবং আপিলকারীদের পক্ষে এডভোকেট আজমালুল হোসেন কিউসি ও এএম আমীন উদ্দিন শুনানিতে অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, পাঁচ মাসে ৪৯১ জন আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ অনুকম্পার জন্য ট্রুথ কমিশনে আবেদন করেন। আবেদন করেও কমিশনের সামনে উপস্থিত হননি ৩০ জন। অপরাধ স্বীকার করেও জরিমানার টাকা দিতে অস্বীকার করায় ৯ জনের মামলা দুদকে ফেরত পাঠানো হয়। বাকি ৪৫২ জনকে মার্জনা করা হয়। এদের কাছ থেকে মোট ৩৬ কোটি ৯৯ লাখ ২৬ হাজার ২৪৩ টাকা জরিমানা আদায়ের ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত ৪১৬ জনের কাছ থেকে ৩৩ কোটি ৮০ লাখ ২১ হাজার ৬৬৮ টাকা আদায় করতে সক্ষম হয় কমিশন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।