বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৩৫১ জন সরকারি কর্মচারিকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিলো। এরা নিজেদের দুর্নীতির কথা স্বীকার করে সত্য ও জবাবদিহিতা কমিশন থেকে ক্ষমা পেয়েছেন বর্তমান সরকার তাদের ক্ষমা করছে না। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।
দূর্নীতিবাজদের কোনো ক্ষমা নেই সত্যি, এদের প্রতি কোনো সহমর্মিতা দেখানোও এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। প্রশ্ন হলো: তাহলে কি এতো ঘটা করে ট্রুথ কমিশন প্রতিষ্ঠার কোনো দর্কার ছিলো? আর যখন এটা হলো, তখন এর ভবিষ্যত কি? দেশ থেকে দূর্নীতি দুর করা দীর্ঘ ও জটিল এক প্রক্রিয়া বলে মনে করি।
সেটা একদিনে বা একটি দুটি একশনে শেষ হবে, এমনটিও হবার নয়। ট্রুথ কমিশনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দোষ স্বীকার করলে তাদের ক্ষমা পাওয়ার কথা, নৈলে দোষ স্বীকার করবে কেন একজন দূর্নীতিবাজ! কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তে যে দৃষ্টান্ত হবে, তাতে আর কি দূর্নীতিবাজরা এগিয়ে আসবেন দোষ স্বীকারের জন্যে?
দূর্নীতি দমনের হাজারটা উপায় থাকতে পারে; ট্রুথ কমিশন নামক প্রতিষ্ঠানও তো একটি উপায়। নাহলে এটি কেন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে?সরকারের সিদ্ধান্তের মানে হতে পারে সরকার এই ট্রুথ কমিশন নামক তথাকথিত প্রাতিষ্ঠানিকতার বিপক্ষে। >তাহলে তো প্রতিষ্ঠান বিলোপ করলেই হয়।
>প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রেখে তাকে অকার্যকর করার তো মানে নেই।
সেটা হয় গাছের তলা কেটে আগায় পানি ঢালার নামান্তর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।