যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
চোরের মায়ের বড় গলা....... এই প্রবচনটির মানে কখনওই প্রত্যক্ষ করবার সুযোগ না হলেও রাষ্ট্র নিজ দায়িত্বে তার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে ।
সরকার ট্রুথ কমিশন নামে চোরের এবং চোরের মায়ের জন্য বড় গলার ব্যবস্থা করছে । চোর তার চৌদ্দ গুষ্ঠি নেয়ে এসে ট্রুথ কমিশনে বলবেঃ আমি চোর, আমি আমার যাবতীয় স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি অন্যের গলায় পা দিয়ে চুরি করছি ।
এই চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা কেননা রাষ্ট্র আমাকে ধরিতে পারে নাই । কিন্তু তুদপরি আমি চোর হইলেও সৎ । তাই সেই সব চুরির কাহিনী নিজেই বলতে এসেছি । আমার এই মহানুভবতার জন্য আমার কোন শাস্তি হইতে পারেনা । এই সকল সম্পত্তি আমি যেন নির্বিঘ্নে ভোগ করিতে পারি তার নিশ্চয়তা দেয়া হোক ।
কথায় বলে না, এক মাঘে তো শীত যায় না, তাই যাহারা সম্পত্তি ভর্জন করছে পরবর্তী সরকার যেন তাহাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে না পারে তাই এই ব্যবস্থা বলে অনেকেই বলছে । কেননা কোন কোন সরকারী কর্মকর্তা বর্তমান সরকারের আমলে যাহা অর্জন করছে তা যেন তারা ভোগ করতে পারে, সেজন্যই নাকি ট্রুথ কমিশনের দরকার ।
তবে সন্দেহবাদীদের মতামত হলো, রাজাকারদের মাফ করার ফন্দি হিসেবে নাকি প্রথমে এই ট্রুথ কমিশনের আইডিয়া দেয়া হয়েছিল .... কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যাক কাহাদের রক্ষা করিতে এই বন্দোবস্ত করা হচ্ছে !!!
কিন্তু জনমনে প্রশ্ন উঠছে একই চুরির দুরকম দন্ড নিয়ে কেননা বর্তমান সরকার খুব দ্রুত গতির সাহায্যে অনেকের চুরির দায়ে নানারকম দণ্ড দিচ্ছে আবার সেই একই রকম চুরির দায়ে অন্যদের মাফ করার নীতি অনেকটা পরস্পরবিরোধী কার্যক্রম । কেননা একই অপরাধের দুইজনের জন্য দুইরকম দণ্ড অন্যায় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।