শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সরকারের সামনে দুটি পথ খোলা আছে। একটি সমঝোতার অন্যটি সংঘাতের। তাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে- তারা সংঘাতের পথেই এগোচ্ছে।
সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, “সরকারকে বলব, এখনো সময় আছে- সমঝোতার পথ বেছে নিয়ে নবম সংসদ ভেঙে দেয়ার আগেই নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি সংবিধানে সংযোজনের ব্যবস্থা নিন। ”
তা না হলে সরকারের পরিণতি ‘ভয়াবহ’ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, “ প্রধানমন্ত্রীর মনের কথা তার পুত্র বলে দিয়েছেন। তার (সজীব ওয়াজেদ জয়) বক্তব্যে সরকারের নীল নকশার নির্বাচন করার ইঙ্গিত প্রকাশ পেয়েছে। ”
‘নীল নকশা’র কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা হলে বিএনপি কঠোর কর্মসূচি দেবে, যাতে গণবিস্ফোরণ ঘটবে বলে হুঁশিয়ার করেন মওদুদ।
বুধবার যুবলীগের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “আমার কাছে তথ্য আছে আওয়ামী লীগ আগামীবার আবার ক্ষমতায় আসবে। বিএনপির মিথ্যা প্রচার মোকাবেলা করতেই হবে।
”
আগামী ছয় মাস তরুণ ভোটারদের কাছে বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরারও আহ্বান জানান জয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় নাগরিক ফোরামের আলোচনা সভায় মওদুদ বলেন, “সরকার যা বলে এই নির্বাচন কমিশন তা-ই করে। তারা পাঁচ সিটি করপোরেশনে সরকারি দলের প্রার্থীকে জেতাতে নানা কৌশল করেছে। সরকারের লোকজন আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও কোনো ব্যবস্থা বর্তমান ইসি নেয়নি। ”
নির্বাচন কমিশন ‘জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট’ নামের একটি সংগঠনকে ‘বিএনপির লোগো’ ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার অপচেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন মওদুদ।
ইসির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বিএনপিকে দূর্বল করতে ২০০৭ সালের নির্বাচন কমিশন যে রকম তৎপর ছিল। বর্তমান ইসিও একই কাজ করছে। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্ররোচনায়, সহযোগিতা ও অর্থায়নে গঠিত একটি সংগঠনকে আমাদের দলের লোগো দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। এই কাজে নির্বাচন কমিশন সম্পৃক্ত হয়েছে। ’’
জাতীয় নাগরিক ফোরামের সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ও জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া আনোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।