শুক্রবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা এ হামলার জন্য বিএনপি নেতারা যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে।
তবে আওয়ামী লীগ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি শুক্রবার স্থানীয় খেপুপাড়া মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ইফতার ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করে।
বিএনপির দাবি, এ হামলায় বিএনপি ও অংগ সংগঠনের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহসম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবিএম মোশারেফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ছাত্রলীগ-যুবলীগের ‘ক্যাডাররা’ তাদের ইফতার পার্টি বানচালের জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ৩৫/৪০টি মোটরসাইকেল শহরের বিভিন্ন সড়কে মহড়া দিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে।
উপজেলার কলাপাড়া পৌর শহর, আলীপুর ফেরিঘাট, মহিপুর ফেরিঘাট, হাজীপুর ফেরিঘাট, কলাপাড়া ফেরিঘাট, লোন্দা খেয়াঘাট ও বালিয়াতলি খেয়াঘাটে এ হামলা চালানো হয়।
তিনি জানান, আহতদের মধ্যে ছাত্রদল নেতা হুমায়ুন কবির (২২), মাসুদ (২৪) ও যুবদল ডাবলুগঞ্জ ইউনিটের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেনকে (৩৫) আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, আব্দুর রহমান, ইউসুফ মাতবর, জাহাঙ্গীর মাঝি, সবুজ মিয়া, ছাত্রদল নেতা আনোয়ার হোসেন, জাকির খান, হুমায়ুন আহমেদ ও মাকসুদসহ কয়েকজন কুয়াকাটা, মহিপুর ও কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাধমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র এস এম রাকিবুল আহসান বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী এ হামলার সঙ্গে জড়িত নয়।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরে র্যাব ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।