কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস
ফেনীতে পরিচিত ডাকতার আছেন কয়েকজন । তাগো কাছে যাওন যাইব না । ঘুইরা ঘুইরা একটা অপরিচিত চর্ম যৌন ও সেক্স বিশেষজ্ঞর কাছে যাই । ডাক্তর পরথমেই বউ আর আমার বয়স জিগান । কই বউয়ের বয়স আঠার বচ্ছর ।
বউরে নিয়া আইলেন না কেন ? বউ পর্দা করে । পুরুষ ডাকতরের সামনে আনন যাইব না । আর এইসব বিষয় নিয়াতো আরো বেশি শরম পায় । ডাকতর জানতে চান বিয়ার পরথম থাইকাই কি এই অবস্থা নাকি ? সিগারেট খান নাকি ? নাউযুবিল্লাহ, সিগারেট খাওয়ার প্রশ্নই আসে না । ডাকতর বলেন প্রথম প্রথম এইরকম হৈতেই পারে ।
অত দুশ্চিন্তার কিছু নাই । আত্নবিশ্বাস রাখতে হৈব। ভাইঙা পড়লে অবস্থা আরো খারাপ হৈয়া যাইতে পারে । ওয়াইফরে নিয়া আইতে পারলে ভালো হৈত । সমস্যাডা মিটাইতে দুইজনেরই সাহায্য লাগব ।
একটা মহিলা ডাকতরের ঠিকানা দিয়া কন বউরে নিয়া ঐখানে যাইতে । ওষুধ দিলেন কিছু । রাইতে খাওনের পর খাইতে । তয় বারবার বৈলা দিলেন ওষুধের চাইতে বেশি দরকার হৈল ভালোমত বুঝাপড়া । দুইজনেরই ।
একটু স্বান্তনা পাই মনে । যেইরকম ভাবছিলাম সমস্যা অত কড়া না । তয় ঔষধ নিয়া পড়লাম ঝামেলায় । একা মানুষ ঔষধ খাইয়া আবার কি সমস্যায় পড়ি কে জানে । একটা খাইয়া দেখলাম পরদিন রাইতে ।
করলাম আকাম । তিনবার এস্তেন্জায় একবার রেললাইনে যাইয়াও দেখি অবস্থা ঠিক হয় না । রাইতে ঘুম হৈল না । পরদিন ঔষধগুলা পুকুরে ফালাইয়া দিলাম । নামডা লেইখা রাখলাম ।
লিবিডেক্স ২ ।
খালেদারে বুঝানির দরকার সমস্যাডা কুন জায়গায় । কিন্তু সাহসে কুলাইতেছিল না ঐদিকে যাওনের । কিছুদিন দোটানায় থাইকা একদিন বাকীর খাতা লৈয়া গেলাম । বাকী বুঝাইতে বুঝাইতে হাত একটু এদিক সেদিক করাতেই খালেদা হাতের উপরে বাথাপ্পর দিয়া হাত সরাইয়া দিল ।
পাত্তাই পাইলাম না । একান্তে সময়ওতো পাওন যাইব না । কেমনে বুঝাই । ওর মিজাজের যে অবস্থা ঐদিনের মত করনের কুনো সাহসই পাইলাম না । বিফল হৈয়া ফিরৎ আইতে হৈল ।
রুজার ঈদ কুরবানির ঈদ দুইডা পার হৈয়া গেল । খান ছাবের বাড়ীতে টেলিফুন কৈরা বড় ভাই খবর দিলেন সামনের সপ্তাতে আইতাছেন । বাড়ীতে একটা খুশি খুশি ভাব । বড় ভাইরে এয়ারপোর্ট থাইকা আননের লাইগা ঢাকা যাইতে হৈব । যাওনের সময় মাধাইয়া বাসস্ট্যান্ড পরা হওনের সময় মনডা হুহু কৈরা উঠল ।
আয়েশার কি হৈল জানিনা । জানতে মন চায় । কিন্তু সাহসে কুলায় না । খারাপ কিছু শুনার আশংকা আছে আবার কাউরে কিছু না বৈলা পলাইয়া আসনের শরমও আছে । এই মুখ কেমনে দেখামু মাহবুবের মায়াবতী আম্মার সামনে ।
ঘটনা সবাই জাইনাও যাইতে পারে । তাইলে পড়ুম আরেক সমস্যায় ।
বড় ভাইরে চিননই যায় না । মোডা হৈয়া গ্যাছে প্রায় দেড়গুন । ধবধবা সাদা লম্বা কুর্টা মাথায় লাল চেকের চাদর ।
তার উপরে আবার কালা একটা রিং এর মত । পুরা নবীর দেশের মাইনষের মত লাগে । আহা কি নুরানি চেহারা । আল্লাহপাকের কি রহমত ঐ দেশডার উপর । ভাইরে নিয়া গেরামে ফিরা যাওনের সময় মাধাইয়া করস করনের সময় আবার খারাপ লাগে ।
ভাই আসাতে ভালও লাগে । জীবনে সুখ দুঃক দুইডাই আছে ভালোমত বুঝি । কিন্তু মনের গভীরের ক্ষত কেন শুকায় না বুঝি না । সারাক্ষণ একটা খচখচ নিয়াই মনে হয় বাঁচতে হয় । খচখচ নাই মনের কোনার এইরকম মানুষ হয়ত নাই দুনিয়ায় ।
বাড়ীতে চান্দের হাট চলে সপ্তাহখানেক । বড় ভাইর বন্ধুরা আসেন গেরামের, গেরামের বাইরের । সাথে দেয়া জিনিস নিয়া বিভিন্ন জায়গায় যাই আমি । টর্চলাইট, ক্যামেরা, সুনো পাউডার শ্যাম্পু , কম্বল এইগুলা নিয়া ছাগলনাইয়া চৌদ্দগেরাম এমনকি নোয়াখালি পইর্যন্ত যাইতে হয় । ভালোই লাগে ।
যে বাড়ীতেই যাই আদর সমাদর করে । খবর বার্তা জিগায় নিজ নিজ আপনজনের ।
সন্ধ্যায় সন্ধ্যায় ছুড ভাইবোনডি আমি আম্মা মিলা বড় ভাইরে নিয়া গোলা হৈয়া বৈসা নবীর দেশের কাহিনী শুনি । আহা কি বিস্তীর্ণ দেশ । শতশত মাইল মরুভুমি ।
তার মইধ্যে একেকটা পাক পবিত্র শহর । পাথরের ঘরবাড়ি । একেক খাজুর আপেলের সমান । বাংলাদেশে আসে যেইগুলা সেইগুলা চিটাগুলা যেগুলা নিচে ঝইরা পইড়া থাকে । নবির দেশের চিটাগুলাই যদি আমাগো কাছে এত মজা লাগে তাইলে আসলগুলা না জানি কত মজা ।
আর লুকজনের কি দরাজ দিল । মাদরাছার জৈন্য চাঁদা চাইলেই ৫০/৬০ রিয়াল বাইর কৈরা দেয় । বাংলাদেশি ট্যাকায় হাজারের উপরে । রুজার একমাস বড় ভাইর নিজে ইফতার করতে হয় নাই । মসজিদে মসজিদে কত ইফতারি ।
সেহেরীর খাবারও পাঠাইয়া দেন শেখরা । খাওনের লুক নাই । শেখেরা সব নিজেগো বাসায় ইফতারি করেন । মিছকিনদের লগে বৈসা উনারা খাইতে চান না । আহা কত সম্পদ উনাগো ।
কত বাহারি খাওনদাওন । মিছকিন গো লগে বৈসা ওদের ভাগে কম দিতে চান না । কি দরাজ দিল ।
আর নবির দেশে মাডির কি গুন । বড় ভাইর কাহিনীগুলা স্বপ্নের মত লাগে ।
ফল ফলাদির জৈন্য গাছ লাগাইয়া অপেক্ষা করতে হয় না । একই ক্ষেতে একদিক দিয়া চারা লাগানো হৈতাছে আরেক দিয়া ফল পাইড়া নিয়া যাইতাছে কামলারা । আল্লাহপাক বাবা আদমরে যখন দুনিয়ায় পাঠান বাবা আদম লাঙল নিয়া মাঠে গেলে মাটি তারে কয়, আপনিতো আমারা যৌবনে আসেন নাই । যৌবনে যদি আসতেন এখনই ফসল নিয়া যাইতে পারতেন । এখনতো আমার বৃদ্ধকাল ।
বীজ ছড়াইয়া একটু ঘুইরা আসেন , ফসল নিয়া যাইয়েন । সেই মোজেজার দেশ আরব । আল্লাহপাকের খাস নেয়ামতের দেশ । সেইদেশের মাইনষের ঈমান মজবুত হৈব না ত কি আমাগো মত বেদ্বীন দেশের মাইনষের ঈমান মজবুত হৈব ?
এর মধ্যে আব্বাজান আবার একটা প্যাঁচ লাগাইয়া বসেন । বড় ভাইরে নিয়া একদিন নারানকরা মাদরাছার এক হুজুরের বাড়িতে যান ।
সন্ধ্যায় দেখি মিষ্টি নিয়া আইছেন । কেম্নে কি কিছুই বুঝলাম না । বড় ভাইরে বিয়া পড়াইয়া ফালানো হৈছে । আমি জানি না । আমারে একটু জানানোরও প্রয়োজন দেখলেন না আব্বা ? মতামত না নেন ঠিকাছে তাই বৈলা জানানোও হৈব না ? আম্মারে গিয়া জিগাইলাম ।
আম্মা জানেন । কিন্তু স্বামীর হুকুম তিনি অমান্য করতে পারেন না । স্বামীর কড়া হুকুম ছিল আর কাউরে যেন জানানো না হয় কাম হৈয়া যাওয়ার আগ পইর্যন্ত । ঘরে এখন আমার একটু পাওয়ার আছে । আব্বারে গিয়া জিগাইলাম ।
আব্বা পাত্তাই দিলেন না । যা করছি তোমাগো ভালোর লাইগাই করছি । দ্বীনি পথের মাইয়া পাইছ । শুকুর আলহামদুলিল্লাহ কৈরা থাক । মাইয়ার বাপ খালি তাবলীগ করে দেইখা ।
নাইলে সেই বংশে যাওয়ার সাধ্য আমাগো ছিল না ।
মিজাজটা খিঁচড়াইয়া গেল । এত করলাম সংসারের জৈন্য । আর এত বড় একটা কাজে আমার মতামত নেয়ার দরকার মনে করল না কেউ ? অপমান হজম কৈরা ঠিক করি । বন্ধুবান্ধব আত্নীয়গো কাছে মুখ দেখোনোর লাইগা হৈলেও একটা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হৈব ।
আব্বা নিজের ক্ষেমতা দেখাইছে । আমি আমারডা দেখামু ।
------------------------------------------------
কওমি হুজুরের এক হাত ঘুরা আত্নকাহিনী-১১
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।